মেইকিং প্রডাক্ট বাই ফ্রিহ্যান্ড প্রসেস
৬ সপ্তাহ

সূচিপত্র

বিষয়

যেভাবে সক্ষমতাভিত্তিক এই শিখন উপকরণ ব্যবহার করতে হবে

ভিডিও ভিত্তিক বিষয়বস্তুু

১. ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদন - কয়েল পদ্ধতি

২. পিঞ্ছিং প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি

3. স্লাপ মেথড এ দ্রব্য প্রস্তুত ও সংরক্ষণকরণ

মডিউল বিষয়বস্তুু

শিখনফল ১ : ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্তকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ১.১-১: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল

সেলফ চেক ১.১-১

উত্তর পত্র ১.১-১

শিখনফল ২: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্তকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ১.২-১: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস

সেলফ চেক ১.২-১

উত্তর পত্র ১.২-১

শিখনফল ৩ : ক্লে বডি প্রস্তুত ও সংরক্ষণকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ১.৩-১: ক্ল বডি প্রস্তুত ও সংরক্ষণ

সেলফ চেক ১.৩-১

উত্তরপত্র ১.৩-১

শিখনফল ৪: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরিকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ১.৪-১: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি

সেলফ চেক ১.৪-১

উত্তরপত্র ১.৪-১

কার্যক্রমপত্র১.৪-১

স্পেসিফিকেশন শিট ১.৪-১

শিখনফল ৫: কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ১.৫-১:কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা

সেলফ চেক ১.৫-১

উত্তরপত্র ১.৫-১

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা

সক্ষমতাসমূহের পুনরালোচনা

রেফারেন্স

অকুপেশন

বিষয়   

যেভাবে সক্ষমতাভিত্তিক এই শিখন উপকরণ ব্যবহার করতে হবে    

ভিডিও ভিত্তিক বিষয়বস্তুু

. ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদন - কয়েল পদ্ধতি

. পিঞ্ছিং প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি

3. স্লাপ মেথড দ্রব্য প্রস্তুত সংরক্ষণকরণ

মডিউল বিষয়বস্তুু  

শিখনফল : ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্তকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট .-: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল

সেলফ চেক .-

উত্তর পত্র .-           

শিখনফল : ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্তকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট .-: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস

সেলফ চেক .-

উত্তর পত্র .-

শিখনফল : ক্লে বডি প্রস্তুত সংরক্ষণকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট .-: ক্ল বডি প্রস্তুত সংরক্ষণ

সেলফ চেক .-

উত্তরপত্র .-

শিখনফল : ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরিকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট .-: ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি

সেলফ চেক .-

উত্তরপত্র .-

কার্যক্রমপত্র১.-

স্পেসিফিকেশন শিট .-       

শিখনফল : কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা     

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট .-:কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা

সেলফ চেক .-

উত্তরপত্র .-

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা

সক্ষমতাসমূহের পুনরালোচনা

রেফারেন্স


সম্পন্ন হয়েছে



এই মডিউলে প্রশিক্ষণ উপকরণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই কার্যক্রমগুলো আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে। মেইক প্রডাক্ট বাই ফ্রিহ্যান্ড প্রসেস (হতেরসাহয্যেদ্রব্যতৈরিরপ্রক্রিয়া) একটি অন্যতম সক্ষমতা। এই সক্ষমতাটি নটিভিকিউ লেভেল-১ পেশার জন্য প্রয়োজন। এই পেশার একজন মিডিয়াম পর্যায়ের দক্ষ কর্মীর জন্য যে জ্ঞান, দক্ষতা ও আচরণ প্রয়োজন তা এই কোর্সে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

এই মডিউলে বর্ণিত শিখনফল অর্জনের জন্য আপনাকে কত গুলো ধারাবাহিকভাবে শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এইসব কর্মকান্ড একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে বা অন্যত্রও সম্পন্ন করা যেতে পারে। শিখনফল অর্জনে যে জ্ঞান ও দক্ষতা আয়ত্ব করা প্রয়োজন তা অর্জনের জন্য এই কর্মকান্ডের সাথে সাথে ইনফরমেশন শিট, শিখন কার্যক্রম ও সেলফ চেক অনুশীলন করতে হবে। নির্দিষ্ট কর্ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য শিক্ষণীয় বিষয়ও কর্মীদেরকে আয়ত্ব করতে হবে।

শিক্ষা কার্যক্রমের ধারা জানার জন্য মডিউলে বর্ণিত “শিখন কার্যক্রম” অংশটি অনুসরণ করুন। ধারাবাহিকভাবেজানার জন্য সূচিপত্রে ইনফরমেশন শিট, কার্যক্রম পত্র, শিখন কার্যক্রম, শিখন ফল এবং উত্তরপত্রে পৃষ্ঠা ন¤¦র ব্যবহার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট পাঠের সাথে সঠিক সহায়ক উপাদান সম্পর্কে জানার জন্য “শিখন কার্যক্রম” অংশটি দেখতে হবে। এই শিখন কার্যক্রম অংশ আপনার সক্ষমতা অর্জনের জন্য রোড ম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।

ইনফরমেশন শিটটি পড়–ন। এতে কাজ সম্পর্কে এবং সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করার সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। ইনফরমেশন শিটটি পড়া শেষ করে‘সেলফ চেক শিট’ এ উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করুন। শিখন গাইডের ইনফরমেশন শিট অনুসরণ করে‘সেলফ চেক’ করুন। একজন কর্মী কীভাবে কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে সেটি জানতে ‘সেলফ চেক’ আপনাকে সহযোগিতা করবে। ‘সেলফ চেক’ কতটা সঠিক হয়েছে তা জানার জন্য উত্তরপত্র দেখুন। একজন কর্মী কীভাবে কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে সেটি জানতে ‘সেলফ চেক শিট’ আপনার সহযোগিতা করবে। ‘সেলফ চেক শিট’ কতটা ভালো করেছেন তা জানতে ‘উত্তরপত্র’ দেখুন।

কার্যক্রমপত্রে নির্দেশিত উপায়ে যাবতীয় কর্মসম্পাদন করুন।এখানেই আপনি নতুন সক্ষমতা অর্জনের পথে আপনার নতুন জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবেন।

এই মডিউল অনুযায়ী কাজ করার সময় নিরাপত্তা বিষয়টি সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকবেন। কোনো বিষয়ে জানার থাকলে ফ্যাসিলিটেটরকে প্রশ্ন করতে সংকোচ করবেন না।

এই শিখন গাইডে নির্দেশিত সব কাজ শেষ করার পর অর্জিত সক্ষমতা অ্যাসেস করা হবে যে, আপনি পরবর্তী মূল্যায়নের জন্য কতটুকু উপয্ক্তু। প্রয়োজনীয় সব সক্ষমতা অর্জন হয়েছে কিনা তা জানার জন্য মডিউলের শেষে সক্ষমতা মানদন্ড এর একটি চেকলিস্ট দেয়া হয়েছে। এই তথ্যটি কেবলমাত্র আপনার নিজের জন্য। এটি কোনো দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য নয়।


মডিউলের শিরোনাম ঃ মেইকিং প্রডাক্ট বাই ফ্রিহ্যান্ড প্রসেস। 

মডিউলের বর্ণণা 

এই মডিউলে ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা এবং আচরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। এটি আপনাকে ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্ত করতে সহায়তা করবে এবং দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার টুলস চিহ্নিতকরণে সহায়তা করবে। এছাড়াও এই মডিউলে ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরির বিভিন্ন কৌশন সম্পর্ক আলোচনা করা হয়েছে। 

এই মিডিউলে আরও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ইনফরমেশন শিট, সেলফ চেক এবং কার্যক্রম পত্র।

সময়কাল ঃ ৮০ ঘন্টা

শিখনফল ঃ

এই মডিউলেটি শেষ করার পর আপনি যা করতে সমর্থ হবেন তা হলো-

১। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্ত করতে পারবেন। 

২। ক্লে বডি প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। 

৩। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্ত করতে পারবেন।

৪। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করতে পারবেন। 

৫। উৎপাদিত দ্রব্যের ত্রুটি চিহ্নিত ও প্রতিকার করতে পারবেন। 

৬। কর্মক্ষেত্র পরিস্কার করতে পারবেন।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া 

প্রশিক্ষনার্থীকে নিম্নোক্ত কর্মসম্পাদন মানদন্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে হবে-

১। প্রয়োজনীয় টুলস ও উপরকণ ব্যবহার পূর্বে, পরে এবং ব্যবহারের সময় সকল নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

২। ক্রটি পূর্ণ টুলস সনাক্ত করতে এবং স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসারে মেরামত করতে পারবেন।

৩। ফ্রিহ্যান্ড পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্ত করতে পারবেন।

৪। কাঁচামালের ভৌত গুনাবলি নির্ণয় করতে পারবেন।

৫। প্রত্যেক কাঁচামালের ব্যবহার জানতে পারবেন।

৬। কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করে দ্রব্য উৎপাদনের উপযোগী করতে পারবেন।

৭। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসের বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করতে পারবেন।

৮। উৎপাদিত দ্রব্যের সাধারণ ক্রটি এবং ক্রটির কারণ সমূহ চিহ্নিত করতে পারবেন।

৯। চিহ্নিত ক্রটির প্রতিকার করতে পারবেন। 

১০।উৎপাদিত দ্রব্যের গুনগত মান যাচাই করতে পারবেন।

১১। কর্মক্ষেত্রের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র এবং টুলস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারবেন।

১২। শিল্প কারখানার নিয়ম অনুসারে বর্জ্য অপসারণ করতে পারবেন।


বিষয়বস্তু

১। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের কাঁচামাল সনাক্ত করা।

২। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ভৌত গুনাগুণ নির্ণয় করা।


অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া 

১। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের কাঁচামাল সনাক্ত করতে পারবেন।

২। কাঁচামালের অপদ্রব্য চিহ্নিত করতে পারবেন।

৩। কাঁচামালের ভৌত গুণাগুণ নির্ণয় করতে পারবেন।


শর্তাবলি 

প্রশিক্ষণার্থীদের অবশ্যই নিচের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে। 

* বিভিন্ন ধরণের কাঁচামাল

* বিকার

* পানি


শিখনফলঃ ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্তকরণ।

 

শিখন কার্যক্রম 

বিশেষ নির্দেশনা 

  ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্তকরণ।

 ইনফরমেশন শিট১.১-১ পড়ুন।

সেলফ চেক ১.১-১ এর উত্তরকরুন।

উত্তর পত্র ১.১-১ এর সাথে মিলিয়ে নিন।



শিখন উদ্দেশ্য 

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল সনাক্তকরণে সক্ষম হবেন। 


কাঁচামাল 

ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ক্লে (Clay) ব্যবহৃত হয়। Clay এর অভিধানিক অর্থ কাঁদামাটি। কাঁদামাটি আঠালতা গুনসম্পন্ন হওয়ায় এর সাহায্যে সিরামিকের দ্রব্যাদি যে কোন আকৃতি প্রদান করা যায়। শুষ্ক অবস্থায় ইহা যথেষ্ট শুষ্কশক্তি (dry strength) সম্পন্ন হয়। ফলে দ্রব্যকে আকৃতি দেওয়ার পর কোন রূপ ক্ষতি ছাড়াই নাড়াচাড়া করা যায়। 

আগ্নেয় শীলা (গ্রানাইট) বায়ু, পানি ও ভূ- আলোড়নের ফলে এবং তাপ ও চাপের ক্রিয়ায় বিশ্লিষ্ট হয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্লে উৎপন্ন হয়। একে কেওলিনাইজেশন বলে। ক্লের প্রধান উপাদান অ্যালুমিনিয়াম ও সিলিকন, তবে অন্যান্য উপাদন আয়রণ এবং ক্ষারীয় উপাদান (যেমনঃ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম অক্সাইড ইত্যাদি) বিদ্যমান থাকে। ক্লেতে অপদ্রব্য হিসাবে আয়রণ, টিটেনিয়াম, সালফার, কার্বন এবং বিভিন্ন ক্ষার জাতীয় পদার্থ উপস্থিত থাকে।

অ্যালুমিনা ও সিলিকা রাসায়নিক সংযুক্ত পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন করে তাকে ক্লে বলে।

ক্লের সংকেতঃ Al2O3.2SiO2. 2H2O



ক্লের গুনাবলি 

ক। মাটি আঠালতা গুন সম্পন্ন হওয়ায় ইহা সিরামিকের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মাটির তৈরি দ্রব্য সহজে আকার দেয়ার জন্য মাটি যথেষ্ট নমনীয় (plasticity) ও আঠালতা সম্পন্ন হওয়া দরকার।

খ। মাটির দ্রব্য শুকালে সংকুচিত হয় তবে বডির শুষ্ক শক্তি (dry strength) বৃদ্ধি করে, ফলে দ্রব্যকে আকৃতি দেওয়ার পর কোনরূপ ক্ষতি ছাড়াই নাড়াচাড়া করা যায়। 

গ। মাটি পোড়ালে সংকুচিত হয় এবং অতি তাপমাত্রায় পোড়ালে মাটির দ্রব্য কাঁচময় (glassy)হয়।

ঘ। মাটিকে পোড়ালে যদি আয়রণের পরিমান বেশি থাকে তবে তা লাল বর্ণের হবে। তবে যদিআয়রণের পরিমান কম থাকে তবে তা সাদা বা হলুদাভ সাদা বা আইভরী (ivory) বর্ণের হয়।

ঙ। প্রত্যেক মাটিতে এক ধরণের কলয়েডাল পদার্থ থাকে যা মাটিকে আঠালো করে। এ আঠালতা বডিকে অন্যান্য উপাদানের সাথে সংযুক্ত করে কাজের উপযোগী করে।


ক্লে জাতীয় কাঁচামালের শ্রেণি বিভাগ 

উৎপত্তি অনুসারে ক্লেকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(ক) প্রাইমারি বা রেসিডুরাল ক্লে।

(খ) সেকেন্ডারি বা সেডিমেন্টারী ক্লে।


প্রাইমারি ক্লে 

আদি অবস্থায় পৃথিবী পাথরে পরিপূর্ণ ছিল। এ পাথর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন, ঘর্ষণ ও আবহাওয়ার ক্রিয়া দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে উৎপন্ন হয় এবং উৎপন্ন স্থানেই থেকে যায়। তাকে প্রাইমারি ক্লে বলে। যেমন- কেওলিনাইট, চায়না ক্লে।

প্রাইমারি ক্লের বৈশিষ্ট্য 

ক। প্রাইমারি ক্লের কণাগুলো মোটা দানাযুক্ত হয়।

খ। ইহা অল্প আঠালতা সম্পন্ন কাঁচামাল।

গ। ইহার গলন তাপমাত্রা বেশি হয়।

ঘ। প্রাইমারি ক্লে বিশুব্ধ ও সাদা বর্ণের হয়।

ঙ। আঠালতা কম থাকায় এই ক্লে একমাত্র ক্লে হিসেবে ব্যবহার করা যায়না।

চ। ইহাতে অপদ্রব্য হিসাবে চুনা পাথর আয়রণ, টিটোনিয়াম ডাই অক্সাইড ইত্যাদি মিশ্রিত থাকে। তবে এতে অপদ্রব্যের পরিমান কম থাকে।

ছ। প্রাইমারি ক্লের শুষ্ক ও পোড়ানো সংকোচন কম হয়।


সেকেন্ডারি ক্লে

যে সব ক্লে পাথর হতে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপত্তি হয়ে উপত্তি স্থান হতে নদীর পানি, বাতাস এবং ভূ-আলোড়নের ফলে স্থানান্তরিত হয়ে সৃষ্টি হয় তাকে সেকেন্ডারি ক্লে বলে। যেমন-বল ক্লে, বেন্টোনাইট ক্লে, ফায়ার ক্লে।


সেকেন্ডারিক্লের বৈশিষ্ট্য

ক। সেকেন্ডারি ক্লের কণার গঠন খুব মসৃণ হয়।

খ। ইহা বেশি আঠালতা সম্পন্ন ক্লে।

গ। ইহাতে অপদ্রব্য বেশি থাকে। অপদ্রব্য হিসাবে আয়রণ, টিটেনিয়াম, সালফার, কার্বন এবং বিভিন্ন ক্ষারীয় উপাদান বিদ্যমান থাকে। 

ঘ। ইহা সর্বদাই রঙিন বর্ণের ও অবিশুব্ধ ক্লে। তবে পোড়ানোর পর সাদা বা হলুদাভ বর্ণের হয়।

ঙ। এ প্রকারের ক্লে অনেক শক্ত হয় তাই ব্যবহারের পূর্বে গ্রাইন্ডিং করার প্রয়োজন হয়।

চ। ইহাতে অপদ্রব্য থাকার দরুন গলন তাপমাত্রা কম হয়।

ছ। ইহার শুষ্ক ও পোড়ানোসংকোচন বেশি হয়।

জ। সেকেন্ডারি ক্লেতে মুক্ত সিলিকার পরিমান কম থাকে ।

ঝ। ইহার দ্বারা দ্রব্যের গঠন ও আকৃতি প্রদান করা সহজ হয়।



বাংলাদেশে প্রাপ্ত ক্লে জাতীয় কাঁচামাল 

বাংলাদেশে সিরামিক শিল্পে ব্যবহার উপযোগী কিছু ক্লে রয়েছে। কিন্তু এসব ক্লে দিয়ে উন্নত মানের সিরামিক দ্রব্য তৈরি করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ক্লের মধ্যে বিজয়পুর ক্লে, শেরপুর ক্লে, ময়মনসিংহ ক্লে, দূর্গাপুর ক্লে, সিলেট ক্লে, মিরপুর ক্লে, সাভার ক্লে, পটীয়া ক্লে অন্যতম। শেরপুর নালিতাবাড়ী, নেত্রকোনা দূর্গাপুর, চট্টগ্রাম পটীয়া, নওগাঁ পত্নীতলা, কক্সবাজার হিমছড়ি, দিনাজপুর বড় পুকুড়িয়া, সিলেট খাদিমনগর ইত্যাদি এলাকায় অল্প পরিমানে সিরামিকে ব্যবহৃত মাটি পাওয়া যায়। 

বিজয়পুর ক্লে বাংলাদেশে প্রাপ্ত একমাত্র সাদা ধরণের ক্লে। এটি বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলায় বিজয়পুর মৌজায় সুসং দূর্গাপুর এলাকায় পাওয়া যায়। ইহা প্রাইমারি গ্রুপের ক্লে। এই ক্লেতে যথেষ্ট পরিমান সিলিকা এবং অপদ্রব্য হিসেবে আয়রণ বিদ্যমান আছে। এতে মুক্ত সিলিকার জন্য সাধারণ পটারী তৈরিতে কোন অসুবিধা হয় না। কিন্তু উন্নত সিরামিক দ্রব্য তৈরি করা সম্ভব নয়। এই ক্লে ব্যবহার করে আর্দেন ওয়্যার, ষ্টোন ওয়্যার, টাইল্স ইত্যাদি পণ্য সামগ্রীতৈরি করা যায়। এই ক্লের আঠালতা কম। ইহা পোড়ালে হলদে সাদা বর্ণের হয়। 


ঢাকার মিরপুর ও সাভারের নিম্নাঞ্চলে কালো মাটি পাওয়া যায়। উৎসের দিক হতে এটি সেকেন্ডারি প্রকৃতির। এটি আঞ্চনিক সিরামিক দ্রব্য, পটারী, সাধারণ ইট এবং সিরামিক ইট উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। এতে অপদ্রব্য হিসেবে বালি, মাইকা, কার্বণ জাতীয় পদার্থ ও আয়রণ উপস্থিত আছে। এ প্রকার ক্লেতে কার্বণ জাতীয় জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এগুলো কালো বর্ণের হয়। তবে পোড়ানো পর আয়রণের উপস্থিতির কারণে লাল বর্ণের হয়। এই প্রকার মাটির আঠালতার পরিমান অনেক বেশি।

লাল মাটি ঢাকা, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ জেলায় প্রচুর পরিমানে বিরাজমান। উৎসের দিক দিয়ে এগুলো সেকেন্ডারি প্রকৃতির ক্লে। বিভিন্ন প্রকার পটারী, টাইলস্, রুফটালী এবং সাধারণ ইট উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। এ প্রকার ক্লেতে আয়রণও আয়রণ জাতীয় আকরিক বেশী থাকার দরুন ইহা লাল বর্ণের হয়। এর আঠালতার পরিমান অন্যান্য ক্লের তুলনায় অনেক বেশি।


নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন -

প্রশ্ন-১: ক্লে বলতে কি বুঝায় লিখুন?

প্রশ্ন-২: ক্লের ৫টি গুনাবলি লিখুন?

প্রশ্ন-৩:ক্লের শ্রেণি বিভাগ লিখুন?

প্রশ্ন-৪:প্রাইমারি ক্লে এবং সেকেন্ডারি ক্লে বলতে কি বুঝায় লিখুন?

প্রশ্ন-৫:প্রাইমারি ক্লের বৈশিষ্ট লিখুন?

প্রশ্ন-৬:সেকেন্ডারি ক্লের বৈশিষ্ট লিখুন?

প্রশ্ন-৭:বাংলাদেশে প্রাপ্ত ক্লে জাতীয় কাঁচামাল গুলোর নাম লিখুন?


উত্তর-১

ক্লেঃ অ্যালুমিনা ও সিলিকা রাসায়নিক সংযুক্ত পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন করে তাকে ক্লে বলে।

ক্লের সংকেতঃ Al2O3.2SiO2. 2H2O

উত্তর-২

ক্লের ৫টি গুনাবলিঃ

ক। মাটি আঠালতা গুন সম্পন্ন হওয়ায় ইহা সিরামিকের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মাটির তৈরি দ্রব্য সহজে আকার দেয়ার জন্য মাটি যথেষ্ট নমনীয় (plasticity) ও আঠালতা সম্পন্ন হওয়া দরকার।

খ। মাটির দ্রব্য শুকালে সংকুচিত হয় তবে বডির শুষ্ক শক্তি (dry strength) বৃদ্ধি করে, ফলে দ্রব্যকে আকৃতি দেওয়ার পর কোনরূপ ক্ষতি ছাড়াই নাড়াচাড়া করা যায়। 

গ। মাটি পোড়ালে সংকুচিত হয় এবং অতি তাপমাত্রায় পোড়ালে মাটির দ্রব্য কাঁচময় (glassy)হয়।

ঘ। মাটিকে পোড়ালে যদি আয়রণের পরিমান বেশি থাকে তবে তা লাল বর্ণের হবে। তবে যদি আয়রণের পরিমান কম থাকে তবে তা সাদা বা হলুদাভ সাদা বা আইভরী (ivory) বর্ণের হয়।

ঙ। প্রত্যেক মাটিতে এক ধরণের কলয়েডাল পদার্থ থাকে যা মাটিকে আঠালো করে। এ আঠালতা বডিকে অন্যান্য উপাদানের সাথে সংযুক্ত করে কাজের উপযোগী করে।

উত্তর-৩

ক্লের শ্রেণি বিভাগঃ

উৎপত্তি অনুসারে ক্লেকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(ক) প্রাইমারি বা রেসিডুরাল ক্লে।

(খ) সেকেন্ডারি বা সেডিমেন্টারী ক্লে।

উত্তর-৪

প্রাইমারি ক্লেঃআদি অবস্থায় পৃথিবী পাথরে পরিপূর্ণ ছিল। এ পাথর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন, ঘর্ষণ ও আবহাওয়ার ক্রিয়া দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে উৎপন্ন হয় এবং উৎপন্ন স্থানেই থেকে যায়। তাকে প্রাইমারি ক্লে বলে। যেমন- কেওলিনাইট, চায়না ক্লে।

সেকেন্ডারি ক্লেঃযে সব ক্লে পাথর হতে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপত্তি হয়ে উপত্তি স্থান হতে নদীর পানি, বাতাস এবং ভূ-আলোড়নের ফলে স্থানান্তরিত হয়ে সৃষ্টি হয় তাকে সেকেন্ডারি ক্লে বলে। যেমন-বল ক্লে, বেন্টোনাইট ক্লে, ফায়ার ক্লে।

উত্তর-৫

প্রাইমারি ক্লের বৈশিষ্টঃ

ক। প্রাইমারি ক্লের কণাগুলো মোটা দানাযুক্ত হয়।

খ। ইহা অল্প আঠালতা সম্পন্ন কাঁচামাল।

গ। ইহার গলন তাপমাত্রা বেশি হয়।

ঘ। প্রাইমারি ক্লে বিশুব্ধ ও সাদা বর্ণের হয়।

ঙ। আঠালতা কম থাকায় এই ক্লে একমাত্র ক্লে হিসেবে ব্যবহার করা যায়না।

চ। ইহাতে অপদ্রব্য হিসাবে চুনা পাথর আয়রণ, টিটোনিয়াম ডাই অক্সাইড ইত্যাদি মিশ্রিত থাকে। তবে এতে অপদ্রব্যের পরিমান কম থাকে।

ছ। প্রাইমারি ক্লের শুষ্ক ও পোড়ানো সংকোচন কম হয়।

উত্তর-৬

সেকেন্ডারি ক্লের বৈশিষ্টঃ

ক। সেকেন্ডারি ক্লের কণার গঠন খুব মসৃণ হয়।

খ। ইহা বেশি আঠালতা সম্পন্ন ক্লে।

গ। ইহাতে অপদ্রব্য বেশি থাকে। অপদ্রব্য হিসাবে আয়রণ, টিটেনিয়াম, সালফার, কার্বন এবং বিভিন্ন ক্ষারীয় উপাদান বিদ্যমান থাকে। 

ঘ। ইহা সর্বদাই রঙিন বর্ণের ও অবিশুব্ধ ক্লে। তবে পোড়ানোর পর সাদা বা হলুদাভ বর্ণের হয়।

ঙ। এ প্রকারের ক্লে অনেক শক্ত হয় তাই ব্যবহারের পূর্বে গ্রাইন্ডিং করার প্রয়োজন হয়।

চ। ইহাতে অপদ্রব্য থাকার দরুন গলন তাপমাত্রা কম হয়।

ছ। ইহার শুষ্ক ও পোড়ানো সংকোচন বেশি হয়।

জ। সেকেন্ডারি ক্লেতে মুক্ত সিলিকার পরিমান কম থাকে ।

ঝ। ইহার দ্বারা দ্রব্যের গঠন ও আকৃতি প্রদান করা সহজ হয়।

উত্তর-৭

বাংলাদেশে প্রাপ্ত ক্লে জাতীয় কাঁচামাল গুলোর নামঃ

বাংলাদেশে প্রাপ্ত ক্লের মধ্যে বিজয়পুর ক্লে, শেরপুর ক্লে, ময়মনসিংহ ক্লে, দূর্গাপুর ক্লে, সিলেট ক্লে, মিরপুর ক্লে, সাভার ক্লে, পটীয়া ক্লে অন্যতম। শেরপুর নালিতাবাড়ী, নেত্রকোনা দূর্গাপুর, চট্টগ্রাম পটীয়া, নওগাঁ পত্নীতলা, কক্সবাজার হিমছড়ি, দিনাজপুর বড় পুকুড়িয়া, সিলেট খাদিমনগর ইত্যাদি এলাকায় অল্প পরিমানে সিরামিকে ব্যবহৃত মাটি পাওয়া যায়। 



বিষয়বস্তু 

১। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্ত করা।

২। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলসের ব্যবহার।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া 

১। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্ত করতে পারবেন।

২। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস ব্যবহার করতে পারবেন।

শর্তাবলি 

প্রশিক্ষণার্থীদের অবশ্যই নিচের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে। 

* টুলস 

* ম্যানুয়াল 


শিখনফলঃ ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্তকরণ।

 

শিখন কার্যক্রম 

বিশেষ নির্দেশনা 

 ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্তকরণ।

 ইনফরমেশন শিট ১.২-১ পড়ুন।

সেলফ চেক ১.২-১ এর উত্তর করুন।

উত্তর পত্র ১.২-১ এর সাথে মিলিয়ে নিন।

   


শিখন উদ্দেশ্য 

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি ফিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস সনাক্ত করতে সমর্থ হবেন।

টুলস


                  চিত্রঃ ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে বিভিন্ন টুলস

ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে বিভিন্ন ধরণের টুলস ব্যবহার করা হয়। নিম্নে কিছু টুলস এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ-

১। মডেলিং টুলস (modeling tools)

২। লুপ/ট্রিমিং টুলস (loop/trimming tools)

৩। রিবন (ribbon)

৪। নিডল (needle)

৫। স্ক্র্যাপার (scraper)

৬। রিব (rib)

৭। ওয়্যার ক্লে কাটার (wire clay cutter)

৮। ক্লে হ্যামার (clay hammer)

৯। ক্লে মালেট (clay mallet)

১০। ক্লে প্যাডেল (clay paddle)

১১। ক্লে রোলিং পিন (clay rolling pin)

১২। স্পাউট মেকার (spout maker)

১৩। ক্লে সেপার (clay shaper)

১৪। ক্লে কাটার (clay cutter)

১৫। কারভিং নাইফ (carving knife)

১৬। কারভিং বুউ (carving bow)

১৭। সুইজেল ষ্টিক (swizzlestick)

১৮। ক্যালিপার্স (calipers)

১৯।  স্ল্যাব ম্যাট (slab mat)

২০। স্ল্যাব রোলার (slab roller)

২১। ক্যানভাস কভার্ড বোর্ড (canvas covered board)

২২। ব্রাশ (brush)

২৩। স্পঞ্জ (sponge)

২৪। স্কেল (scale)

২৫। ব্যান্ডিং হুইল (banding wheel)

২৬। এক্সট্রডার (extrude)

বিভিন্ন প্রকার টুলস এর গঠন ও ব্যবহার

মডেলিং টুলসঃ ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করতে কোন দ্রব্যের বিভিন্ন আকার ও আকৃতি প্রদান করার জন্য মডেলিং টুলস ব্যবহার করা হয়। এই প্রকার টুলস কাঠ,বাঁশ বাষ্টীল দ্বারা নির্মিত। বিভিন্ন আকারের মডেলিং টুলস বা টুলস সেট বাজারে পাওয়া যায়। যা কাজের ধরণ অনুযায়ী সংগ্রহ করা যায়।

             

                               চিত্রঃ মডেলিং টুলস

         Xiem 9-Piece Stainless Steel Double-Ended Modeling & Carving Tool Set (Red) - Image 2

                               চিত্রঃ মডেলিং টুলস

লুপ/ট্রিমিং টুলসঃ লুপ টুলস একটি কাঠের হাতল যুক্ত এক পার্শ্বে ষ্টীলের লুপ দ্বারা তৈরি টুলস। এই টুলস দ্বারা সিরামিক দ্রব্যাদির সুক্ষè জায়গায় কারুকাজ করা যায়।

                                       Dolan Tools

                                 চিত্রঃ লুপ/ ট্রিমিং টুলস

রিবনঃ রিবন টুলস কাঠের একটি দন্ডের দুই পার্শ্বে ষ্টীলের রিবন যুক্ত টুলস। এটির দুই পার্শ্বে দুই আকৃতির রিবন লাগানো থাকে, ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রব্যের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় একে কাজে লাগানো যায়।

                                  

                                    চিত্রঃ রিবন টুলস 

নিডলঃ অতি সুক্ষè সুচের মত টুলস যা একটি হাতলে সাথে যুক্ত থাকে। এটি কাঠের অথবা ষ্টীলের দ্বারা তৈরি টুলস।এই নিডল অতি সুক্ষ ও নিখুত ডিজাইনের কাজে ব্যবহৃত করা যায়।

                   

                      

                               চিত্রঃ নিডল টুলস

                          

স্ক্র্যাপারঃ স্ক্র্যাপার একটি অতি গুরুত্ব পূর্ণ টুলস কারণ এর দ্বারা দ্রব্যের স্ক্র্যাপিং, টেক্সচারিং, রিফাইনিং, কাটা, মুভিং, প্রেসিং, সেপিং, মসৃণকরণ সহ অনেক গুরুত্ব পূর্ণ কাজ করা যায়। স্ক্র্যাপার কাঠ বা ষ্টীলের তৈরি টুলস এর এক পার্শ্ব সার্প অথবা দাঁত যুক্ত খাজ কাঁটা আকৃতির হয়ে থাকে। এটি প্রায় অর্ধবৃত্ত আকৃতির হয়।

           

                                 চিত্রঃ স্ক্যাপার টুলস

রিবঃ রিব সাধারণ পটারী দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে আকৃতি প্রদান করতেও এটি ব্যবহৃত হয়। ইহা কাঠ বা ষ্টীলের তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ধনুকের মত বাকা যার পার্শ্ব বরাবর ধারানো থাকে এবং মাঝ বরাবর একটি ছিদ্র থাকে যাতে হাতের আঙ্গুল ঢুকিয়ে শক্ত করে ধরে দ্রব্যের আকৃতি প্রদান করা যায়। এটি গোলাকার দ্রব্যের আকৃতি প্রদানে ব্যবহৃত হয়।

                     MKM Wood Ribs, Set of 22 - Image 1

                                  চিত্রঃ রিব টুলস

ওয়্যার ক্লে কাটারঃ ওয়্যার ক্লে কাটার হলো একটি লম্বা ষ্টীলের তার যার দুই পার্শ্বে কাঠের বা প্লাষ্টিকের দুটি হাতল থাকে। এর সাহায্যে অতি সহজে ক্লে কাটা যায়।

     

                          চিত্রঃ ওয়্যার ক্লে কাটার টুলস

ক্লে হ্যামারঃ ক্লে হ্যামার অন্যসব হ্যামারের মতই দেখতে তবে এটি নরম কাঠের তৈরি যাতে সহজেই হালকা আঘাতে দ্রব্যের আকৃতি প্রদান করা যায়। ক্লে হ্যামারের দুইটি অংশ থাকে প্রথম অংশ হেড (head), এটি উল্লম্ব (vertical) অবস্থায় থাকে এবং দ্বিতীয় অংশ হেন্ডেল (handle), এটি আনুভূমিক (horizontal) অবস্থায় থাকে।

                            

                    চিত্রঃ ক্লে হ্যামার টুলস

ক্লে মালেটঃ ক্লে মালেট হ্যামারের চেয়ে একটু আলাদা। এর দুইটি অংশ থাকে প্রতিটি অংশই গোল আকৃতির। প্রথম অংশ হেড (head) এবং দ্বিতীয় অংশ হেন্ডেল (handle) দুটি অংশই একই বরাবর থাকে। এটি দ্বারা হালকা আঘাতের মাধ্যমে দ্রব্যের আকৃতি প্রদান করা হয়।             

                    চিত্রঃ ক্লে মালেট টুলস

ক্লে প্যাডেলঃ ক্লে প্যাডেল হলো পাতলা কাঠের তৈরি ক্লে মালেটের মত একটি টুলস যা দ্রব্যে অল্প আঘাতের জন্য ব্যবহার হয়। এটির মাথা ও হাতল একটি অখন্ডিত পাতলা চ্যাপটা কাঠের তৈরি যার মাথাটি আয়তাকার প্রশস্ত এবং হাতলটি সরু লম্বা আকৃতির হয়।

                                

                    চিত্রঃ    ক্লে প্যাডেল

 ক্লে রোলিং পিনঃ ক্লে রোলিং পিন হলো এক ধরণের বেলন যা দ্বারা ক্লেকে রুটির মত পাতলা করে সমান পূরুত্বের স্লাব তৈরি করা যায়। এটি সিলিন্ডিক্যাল আকৃতির দন্ড যার দুই পার্শ্বে দুটি হাতল রয়েছে। 

                                 

                    চিত্রঃ  ক্লে রোলিং পিন টুলস

স্পাউট মেকারঃ স্পাউট মেকার এক প্রকার সরু লম্বা গোল আকৃতির কাঠের তৈরি টুলস যার সাহায্যে দ্রব্যে বিভিন্ন প্রকার ছিদ্র বা সুক্ষè কারুকাজ করা যায়। (উদাহরণঃ টি পটের নালির ছিদ্র করতে স্পাউট মেকার ব্যবহার করা যায়)

                                      

                       চিত্রঃ  স্পাউট মেকার টুলস

ক্লে সেপারঃ ক্লে সেপার কাঠের তৈরি বিভিন্ন আকৃতির পাতলা এক পার্শ্বে অথবা উভয় পার্শ্বে  ধারালো হ্যান্ড টুলস। যার সাহায্যে দ্রব্যের বিভিন্ন অংশের আকৃতি প্রদান করা, ছিদ্র করা অথবা খোদাই করে নকশা করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

                              

                    চিত্রঃ ক্লে সেফার টুলস

ক্লে কাটারঃ ক্লে কাটার এক ধরণের ছুরি যার দুটি অংশ একটি অংশ হাতল এবং অন্য অংশ হলো ধারালো ষ্টীলের ব্লেড। এর সাহায্যে ক্লেকে সাইজ অনুযায়ী কাটা যায়।

                      

                                                    

                              চিত্রঃ ক্লে কাটার টুলস

কারভিং নাইফঃ কারভিং নাইফ এক ধরণের ক্লে কাটার যা ক্লেকে বাঁকা ভাবে কাটতে সাহায্যে করে। এর দুটি অংশ থাকে এক অংশে কাঠের হ্যান্ডেল থাকে এবং অন্য অংশে ষ্টীলের বাঁকা একটি বেøড থাকে। কোন কোন কারভিং নাইফেদুই পার্শ্বে দুই আকৃতির বেøড লাগানো থাকে, ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রব্যের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কাটতে একে কাজে লাগানো যায়।

                

                            চিত্রঃ  কারভিং নাইফ টুলস

কারভিং বুউঃ কারভিং বুউ দিয়ে সহজে ক্লেকে কাটা যায়। এটির দুটি অংশ থাকে এক অংশে কাঠ বা প্লাষ্টিকের হ্যান্ডেল থাকে অন্য অংশটি ষ্টীলের বাকানো অংশ। যার দুই প্রান্তে শক্ত করে একটি ষ্টীলের তার লাগানো থাকে। 

                  

                         চিত্রঃ কারভিং বুউ টুলস

সুইজেল ষ্টিকঃ সুইজেল ষ্টিক দিয়ে দ্রব্যের অতিরিক্ত অংশ সহজেই কাটা যায়। এর দুটি অংশ এক অংশে কাঠের বা প্লাষ্টিকের হ্যান্ডেল থাকে এবং অন্য অংশে দুটি শক্ত গোলাকার ব্লেডের মত থাকে যার সাহায্যে ক্লে কাটা যায়। 

                  

                        চিত্রঃ সুইজেল স্টিক টুলস

ক্যালিপার্সঃ  ক্যালিপার্স একটি মাপার টুলস। যার সাহায্যে দ্রব্যের ভিতর ও বাহিরের মাপ নেওয়া যায়।ক্যালিপার্সসাধারণত এ্যালুমিনিয়াম বা ষ্টীলের তৈরি। তবে সিরামিক শিল্পে কাঠারে তৈরি ক্যালিপার্স বেশি ব্যবহৃত হয়।

                      Kemper CA10 Hardwood Calipers - Image 2

                     চিত্রঃ ক্যালিপার্স টুলস

স্ল্যাব ম্যাটঃ  ম্যাটকে নন-ওভেন ফেব্রিক বলা হয়। কারণ এর পৃষ্ঠ খুব মসৃণ যা ক্লের পৃষ্ঠকে চাপে মসৃণ করে এবং ক্লে থেকে সহজে উঠে আসে। এটি ক্লে বডির পৃষ্ঠকে মসৃণ করতে এবং পাতলা স্লাবে পরিণত করতে ব্যবহৃত হয়।  

                      

                       চিত্রঃ স্ল্যাব ম্যাটটুলস

স্ল্যাব রোলারঃ স্ল্যাব রোলার ক্লে বডিকে পাতলা সমতল পৃষ্ঠ তৈরি করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি সমতল প্লেটের উপর নির্দিষ্ট পূরুত্ব ফাঁকা রেখে একটি গোলাকার রোলার যুক্ত থাকে এবং এই রোলারের সাথে একটি হাতল লাগানো থাকে যাতে রোলারটি ঘুরানো যায়। এই রোলারটি এডজাষ্টেবল যা ইচ্ছে মত পূরুত্ব নির্ধারণ করা যায়। রোলারটি ঘুরানোর সাথে সাথে ক্লে বডি পিষ্ট হয়ে রোলারের নিচের অংশে এবং টেবিলের উপরের অংশের চাপে সমতল স্ল্যাবে পরিণত হয় এবং সামনের দিকে এগিয়ে আসে। 

      

                     চিত্রঃ স্ল্যাব রোলার টুলস

ক্যানভাস কভার্ড বোর্ডঃ ক্যানভাস কভার্ড বোর্ড এক প্রকারের সমতল বোর্ড যার উপর ক্লে বডিকে রেখে দ্রব্যের বিভিন্ন আকৃতি প্রদান করা হয়। কাজের সুবিধা অনুসারের এর আকৃতি নির্ভর করে। 

                    

                    চিত্রঃ ক্যানভাস কভার্ড বোর্ড টৃলস

ব্রাশঃ ব্রাশ বা তুলি, যার সাহায্যে দ্রব্যের বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগানোর সময় পানি বা ক্লে স্লিপ দ্রব্যের গায়ে সহজে লাগানো যায়। এটি দ্বারা গ্লেজ প্রয়োগ অথবা বিভিন্ন রং এর নকশা অংকন করা যায়। এটির দুটি অংশ এক অংশে কাঠ বা প্লাষ্টিকের হ্যান্ডেল এবং অন্য অংশে পশুর চুল বা কৃত্রিম ফাইবার ষ্টীলের পাত দ্বারা যুক্ত থাকে। 

                        

                           চিত্রঃ ব্রাশ টুলস

স্পঞ্জঃ স্পঞ্জ অতি গুরুত্ব পূর্ণ একটি টুলস। কারণ দ্রব্যের আকৃতি প্রদান কালে বারবার স্পঞ্জের ব্যবহার করতে হয়। দ্রব্যের পৃষ্ঠ মসৃণ করতেও এটি ব্যবহার করা হয়। 

                    

                            চিত্রঃ স্পঞ্জ টুলস

স্কেলঃ মাটির তৈরি দ্রব্য উৎপাদনে স্কেল একটি গুরুত্বপূর্ণ টুলস। কারণ মাপ ছাড়া কোন কিছিু তৈরি করা আর্দশ নয়। স্কেল সাধারণত কাঠ বা ষ্টীলের তৈরি নির্দিষ্ট মাপ অংকন করা লম্বা দন্ড।

                  

                 

                     চিত্রঃ স্কেল টুলস

ব্যান্ডিং হুইলঃ ব্যান্ডিং হুইল একটি গোলাকার চাকতি বিষেশ। যা একটি বেইজের উপর সরু দন্ডের সাথে বিয়ারিং এর উপর লাগানো থাকে। দ্রব্যের চতুর্দিক নকশা বা কারুকাজ করার জন্য ব্যান্ডিং হুইল উপরের চাকতির সেন্টার বরাবর দাগ কাটা থাকে। যেন দ্রব্যটি কেন্দ্র মুখি ঘুরে এবং কাজে করতে সহজ যায়।

          Laguna NL-276  Banding Wheel - Image 1  Amaco Decorating Wheel  - Image 2

                   চিত্রঃ  ব্যান্ডিং হুইল টুলস

এক্সট্রুডারঃ এক্সট্রুডার মাটির কয়েল তৈরি করার জন্য একটি যন্ত্র। যার সাহায্যে অতি সহজে চাপের মাধ্যমে মাটিকে ডাইয়ের মধ্যদিয়ে ঠেলে বিভিন্ন সাইজের ল¤¦া রোল তৈরি করা যায়। এটি ব্যবহারে একই মাপের অনেক কয়েল কম সময়ে তৈরি করা যায়। এটি দেওয়ালে স্থাপন করা যায় এবং হ্যান্ডেলে চাপ প্রদান করে ডাইয়ের মাধ্যমে কয়েল তৈরি করা হয়।

          

                    চিত্রঃ এক্সট্রুডার টুলস 


নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন -


প্রশ্ন-১:ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত টুলস এর তালিকা প্রদান করুন?

প্রশ্ন-২:টিকা লিখুনঃ

ক) স্ল্যাব রোলার খ) ব্যান্ডিং হুইল গ) এক্সট্রুডার


উত্তর-১

ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে বিভিন্ন ধরণের টুলস ব্যবহার করা হয়।  নিম্নে কিছু টুলস এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ-

১। মডেলিং টুলস (modeling tools)

২। লুপ/ট্রিমিং টুলস (loop/trimming tools)

৩। রিবন (ribbon)

৪। নিডল (needle)

৫। স্ক্র্যাপার (scraper)

৬। রিব (rib)

৭। ওয়্যার ক্লে কাটার (wire clay cutter)

৮। ক্লে হ্যামার (clay hammer)

৯। ক্লে মালেট (clay mallet)

১০। ক্লে প্যাডেল (clay paddle)

১১। ক্লে রোলিং পিন (clay rolling pin)

১২। স্পাউট মেকার (spout maker)

১৩। ক্লে সেপার (clay shaper)

১৪। ক্লে কাটার (clay cutter)

১৫। কারভিং নাইফ (carving knife)

১৬। কারভিং বুউ (carving bow)

১৭। সুইজেল ষ্টিক (swizzlestick)

১৮। ক্যালিপার্স (calipers)

১৯। স্ল্যাব ম্যাট (slab mat)

২০। স্ল্যাব রোলার (slab roller)

২১। ক্যানভাস কভার্ড বোর্ড (canvas covered board)

২২। ব্রাশ (brush)

২৩। স্পঞ্জ (sponge)

২৪। স্কেল (scale)

২৫। ব্যান্ডিং হুইল (banding wheel)

২৬। এক্সট্রুডার (extruder)


উত্তর-২

ক) স্ল্যাব রোলারঃ স্ল্যাব রোলার ক্লে বডিকে পাতলা সমতল পৃষ্ঠ তৈরি করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি সমতল প্লেটের উপর নির্দিষ্ট পূরুত্ব ফাঁকা রেখে একটি গোলাকার রোলার যুক্ত থাকে এবং এই রোলারের সাথে একটি হাতল লাগানো থাকে যাতে রোলারটি ঘুরানো যায়। এই রোলারটি এডজাষ্টেবল যা ইচ্ছে মত পূরুত্ব নির্ধারণ করা যায়। রোলারটি ঘুরানোর সাথে সাথে ক্লে বডি পিষ্ট হয়ে রোলারের নিচের অংশে এবং টেবিলের উপরের অংশের চাপে সমতল স্ল্যবে পরিণত হয় এবং সামনের দিকে এগিয়ে আসে। 


খ) ব্যান্ডিং হুইলঃ ব্যান্ডিং হুইল একটি গোলাকার চাকতি বিষেশ। যা একটি বেইজের উপর সরু দন্ডের সাথে বিয়ারিং এর উপর লাগানো থাকে। দ্রব্যের চতুর্দিক নকশা বা কারুকাজ করার জন্য ব্যান্ডিং হুইল উপরের চাকতির সেন্টার বরাবর দাগ কাটা থাকে। যেন দ্রব্যটি কেন্দ্র মুখি ঘুরে এবং কাজে করতে সহজ যায়।


গ) এক্সট্রুডারঃ এক্সট্রুডার মাটির কয়েল তৈরি করার জন্য একটি যন্ত্র। যার সাহায্যে অতি সহজে চাপের মাধ্যমে মাটিকে ডাইয়ের মধ্যদিয়ে ঠেলে বিভিন্ন সাইজের লম্বা রোল তৈরি করা যায়। এটি ব্যবহারে একই মাপের অনেক কয়েল কম সময়ে তৈরি করা যায়। এটি দেওয়ালে স্থাপন করা যায় এবং হ্যান্ডেলে চাপ প্রদান করে ডাইয়ের মাধ্যমে কয়েল তৈরি করা হয়।



বিষয়বস্তু 

১। ক্লে সংগ্রহ করে নিডিং পদ্ধতিতে অপদ্রব্য অপসারণ করণ।

২। ক্লে বডিতে পানি মিশ্রিত করা।

৩। ক্লে বডি হাতের সাহায্যে পাগিং করা।

৪। ক্লে বডি এজিং এর জন্য সংরক্ষণ করা।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১। নিডিং পদ্ধতিতে কাঁচামাল থেকে অপদ্রব্য অপসারণ করতে পারবেন। 

২। প্রয়োজন অনুযায়ী ক্লে বডিতে পানি যোগ করতে পারবেন।

৩। হাতের সাহায্যে ক্লে বডি পাগিং করতে পারবেন।

৪। এজিং প্রক্রিয়ার জন্য ক্লে বডি সংরক্ষণ করতে পারবেন।

শর্তাবলি 

প্রশিক্ষণার্থীদের অবশ্যই নিচের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে-

* কাঁচামাল

* বিকার

* পানি



শিখনফলঃ ক্লে বডি প্রস্তুত ও সংরক্ষণকরণ।

শিখন কার্যক্রম

বিশেষ নির্দেশনা

ক্লে বডি প্রস্তুত ও সংরক্ষণকরণ। 

ইনফরমেশন শিট ১.৩-১ পড়ুন।

সেলফ চেক ১.৩-১ এর উত্তরকরুন।

উত্তর পত্র ১.৩-১ এর সাথে মিলিয়ে নিন।


শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি ক্লে বডি প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করতে সমর্থ হবেন।

ক্লে সংগ্রহ

ফ্রি হ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ক্লে ব্যবহার করা হয়। ক্লে প্রকৃতিতে প্রচুর পরিমানে বিরাজমান রয়েছে। কিন্তু সকল ক্লে দ্রব্য উৎপাদনের জন্য উপযুগী নয়। অপেক্ষাকৃত বিশুব্ধ এবং আঠালতা সম্পন্ন মাটি কাজের জন্য উপযুগী। উপরের স্তরের মাটির চেয়ে নিচের স্তরের মাটি ব্যবহার করা উত্তম। উপরের স্তরের মাটিতে অপদ্রব্য অধিক পরিমানে থাকতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী মাটি প্রকৃতি হতে সংগ্রহ করতে হবে।

ক্লে হতে অপদ্রব্য অপসারণ

মাটি সংগ্রহের পর মাটিতে থাকা বর্জ্য বা অপদ্রব্য  (যেমন- গাছের পাতা, কাকর, শামুক, ঝিনুক, কাঠের টুকরা ইত্যাদি) অপসারণ করা প্রয়োজন। মাটিতে পাথর কণা থাকলে বা ধারালো কোন কিছু থাকলে নিডিং (kneading) করার সময় আঘাত পাওয়া সম্ভাবনা থাকে তাই তা দক্ষতার সাথে খেয়াল করে ভালভাবে অপসারণ করা উচিৎ। মাটির ভিতরে থাকা সুক্ষè কণার অপদ্রব্য গুলো আস্তে আস্তে হাতের সাহায্যে অপসারণ করাকে নিডিং বলে। প্রয়োজনে মাটিকে চালনী দ্বারা চালতে হবে অথবা মাটিকে পানি দ্বারা ধুয়ে অপদ্রব্য অপসারণ করে মাটিকে শুকাতে হবে। মাটিকে নিডিং করার সময় দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি (thumb) ব্যবহার করে মাটিকে নিষ্পিষ্ট (mash) করতে হবে ফলে যদি কোন কাকর বা অন্য কোন কণা থাকে তবে তা অনুভব করা যাবে। যদি কোন অপদ্রব্য অনুভূত হয় তবে তা হাতের সাহায্যে অপসারণ করতে হবে। 

ক্লে বডি তৈরি 

প্রকৃতি হতে প্রাপ্ত মাটিতে ময়েশচার (moisture) বা পানি পরিমাণ কাজের উপযুগী অনুসারে থাকে না। তাই মাটিকে কার্যউপযুগী করতে মাটির সাথে কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি মিশ্রিত করতে হবে। মাটিতে পানি প্রয়োগ করলে মাটি আঠালো (plasticity) হয় যা দ্রব্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। কিন্তু মাটিতে যে কোন পরিমান পানি প্রয়োগ করা যাবে না। তার জন্য প্রয়োজন কার্যউপযুগী করার সমপরিমান পানি মিশ্রিত করা। আদর্শ আঠালোক্লে বডিতে ময়েশচারের পরিমাণ ১৮%-২৫% হওয়া উচিৎ। 

মাটিকে হাতের সাহায্যে চাক ভেঙ্গে যথা সম্ভব পাউডার করে নিতে হয়। এভাবে পাউডার করা মাটিতে প্রয়োজন মত পানি দিয়ে ২৪ ঘন্টা ফেলে রাখা হয়। এতে করে মাটি কিছুটা এজিং (aging) হয়। পানি মিশানো মাটিকে এবার হাত বা পা দিয়ে দলিত মথিত করে নেওয়া হয় যেন মাটিতে কোন শক্ত কণা না থাকে। এভাবে দলিত মথিত কালে মাটি বেশ নরম হবে অথচ হাতে বা পায়ে মাটি লেগে থাকবে না এরূপ পর্যায়কে সঠিক ধরে নিতে হবে। এতে করে মাটি প্রয়োজনীয় আর্দ্র হয়। যদি আদ্রর্তা বেশি হয় তবে আরো কিছু সময় দলিত মথিত করতে হবে অথবা কিছু অতিরিক্ত শুস্ফমাটি যোগ করা যেতেপারে। এ কাজ বারবার করে উপয়ুক্ত মাটি তৈরি করতে হয়।



ক্লে বডি পাগিং

ক্লে বডিকে পাগিং করা অতি জরুরী। কারণ ক্লে বডির অভ্যন্তরে প্রচুর পরিমানে বায়ু থাকে। তাছাড়া মাটিতে ময়েশচারের (moisture) পরিমান সমসক্ত রাখার জন্যেও ক্লে বডি পাগিং (pugging) করা প্রয়োজন। 

প্রথমে প্রয়োজন অনুযায়ী মাটি একটি শক্ত টেবিলের উপররাখতে হবে। তার পার মাটিকে দুই হাতের তালুতে নিয়ে টেবিলের উপর নিক্ষেপ করতে হবে এবং দলিত মথিত করতে হবে। মথিত করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটির বডিটি স্কয়ার কা কিউব সেপের হয় তারপর একটি হাতে ক্লে বডিকে আলতো ভাবে ধরতে হবে এবং অন্য হাতের তালুর নিম্নাংশ বরাবর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে দশ থেকে বিশ বার বডিটি নিচের দিকে টেবিলের উপর মথিত করার পর আবার দুই হাতের তালু দিয়ে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে বডিকে মথিত করতে হবে এবং বডিকে টেবিলের উপর বারবার নিক্ষেপ করতে হবে। যদি বডি বেশি শক্ত হয় তবে বডিতে অল্প পানি মিশ্রিত করা যেতে পারে। এভাবে মাটিকে দলিত মথিত করার পর ক্লে কাটার দিয়ে মাটিকে দ্বিখন্ডিত করে দেখতে হবে বডির ভিতরে কোন ছিদ্র কা ফাঁকা আছে কিনা। যদি ছিদ্র পরিলক্ষিত হয় তবে বডিকে আবার দলিত মথিত করতে হবে পূর্বের নিয়মে। এভাবে বডিকে দলিত মথিত করার প্রক্রিয়াকে ফোরওয়ার্ড ওএজিং (forward wedging) বা কাউস্ হেড (caws head) প্রক্রিয়া বলা হয়। কারণ বডিকে এভাবে দলিত মথিত করলে বডি দেখতে অনেকটা গরুর মূখমন্ডলীর ন্যায় আকৃতি ধারণ করে। ক্লে বডি পূর্ণ ছিদ্র বা বাতাস মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। 

    

                       


     

    চিত্রঃ ক্লে বডিপাগিং প্রক্রিয়া

 

মাটির সাথে পানি মিশ্রিত করা অথবা মাটির সাথে অণ্য মাটি মিশ্রিত করাকে ওএজিং (wedging) বা গদাগার্দি করণ প্রক্রিয়া বলা হয়। এছাড়াও অন্য একটি পদ্ধতি রয়েছে যার সাহায্যে মাটি প্রস্তুত করা যায় যেমন- স্পাইরাল ওএজিং (spiralwedging) বা শেল ওএজিং (shellwedging) প্রক্রিয়া। স্কয়ার সাইজের ক্লে বডিকে টেবিলের উপর লম্বা লম্বি ভাবে রেখে দুই হাতের তালুর শেষ অংশ দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে স্পাইরাল বা প্যাঁচানোর আকৃতিতে নিচের দিকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ক্লে বডিটি আস্তে আস্তে গোল প্যাঁচানো আকার ধারণ করবে। এভাবে ত্রিশ থেকে একশত বার এই ভাবে দলিতমথিত করতে হবে। ক্লে বডির ময়েশচার (moisture) বা পানি পরিমান ১৮%-২৫% হলে সবচেয়ে বেশি আঠালতা (plasticity) গুনাগুন সম্পন্ন হয়।

ময়েশচার কনটেন্ট (moisture content)

কোন কাঁচামালকে 1100 সেঃ তাপমাত্রায় স্থির ওজনে আসা পর্যন্ত তাপ দিলে কাঁচামাল কর্তৃক হারানো ওজকে উহার ময়েশচার কনটেন্ট বলে। ময়েশচার কনটেন্টকে শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়। কাঁচামালের সঠিক পরিমান জানার জন্য ময়েশচার কনটেন্ট জানা দরকার। ময়েশচার কনটেন্টকে দুই ভাবে হিসাব করা হয়। প্রাথমিক ওজনের ভিত্তিতে ও চূড়ান্ত ওজনের ভিত্তিতে। একে যদি কোন কাঁচামালের প্রাথমিক ওজন W এবং একে 1100 সেঃ তাপমাত্রায় স্থির ওজনে আসার পর ওজন W­1 হয় তাহলে প্রাথমিক বা সিক্ত ওজনের ভিত্তিতে ময়েশচার কনটেন্টের শতকরা হার 

­   

আর শুষ্ক বা চূড়ান্ত ওজনের ভিত্তিতে ময়েশচার কনটেন্ট এর শতকরা হার 

প্লাস্টিসিটি (plasticity)

ক্লেকে পানির সাথে সমসত্বভাবে মিশ্রিত করলে যে ধর্ম সৃষ্টি হয়, যার কারণে চাপ প্রয়োগে ক্লের বিকৃতি হয় এবং ঐ চাপ সরিয়ে নিলে তা বিকৃত অবস্থায়ই থেকে যায়। তাকে ক্লের প্লাস্টিসিটি বলে। অথবা

কাঁচামালের যে গুণাবলির সাহায্যে কোন দ্রব্য গঠন করা যায় এবং দ্রব্যকে সঠিক আকার দেওয়ার পর তা বজায় থাকে তাকে প্লাস্টিসিটি বলে। 

ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটি  (water ofplasticity)

কোন দ্রব্য আকৃতি প্রদান করার সময় এর বডিকে কার্যপোযগীতা আনায়নের জন্য যে পরিমান পানি যোগ করার প্রয়োজন হয় তাকেই ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটি বলে। 

ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটিকে শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়। 

ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটির শতকরা হার, 

এখানে, নমুনার আঠালো অবস্থায় ওজন = wp

নমুনা ১১০০ সেঃ তাপমাত্রায় শুকানোর পর ওজন = wd

ওজনের পরিবর্তন = wp-wd

ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটি শতকরা হার = T

ক্লে বডি এজিং (aging)

ক্লেকে পানির সাথে মিশ্রিত করে রেখে দিলে উহার ভিতর বিভিন্ন ক্রিয়া সৃষ্টির ফলে ক্লের কার্যাবলী উন্নয়ন হয়। ক্লেকে পানির সাথে মিশ্রিত করে সমসত্ব মিশ্রনে পরিণত করে পচানোর মাধ্যমে উহার কাজের গুনাবলী উন্নয়ন বা আঠালতার গুনাবলি উন্নয়ন করা হল এজিং অব ক্লে।

এজিং এর প্রয়োজনীয়তা 

ক্লে জাতীয় কাঁচামালের ভৌত গুনাবলি বৃদ্ধি করতে এজিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ক্লের আঠালতা বৃদ্ধি করতে এজিং এর প্রয়োজন হয়। আর্দ্র ক্লে কে গরম জায়গায় রেখে দিলে বা ক্লেকে এজিং করে অনেক দিন রেখে দিলে উহাতে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাকটেরিয়া এসিডের অবশেষ উৎপন্ন করে এর ফলে ক্লে জেলির মত অবস্থায় উন্নয়ন হয়। যাহা আঠালতা উন্নয়নে সাহায্য করে। ক্লে বডিতে কিছু দ্রবনীয় ক্ষারীয় পদার্থ বিদ্যমান থাকে। এর ফলে উক্ত ক্লে এজিং করলে ক্ষারীয় পর্দাথ ডিফ্লুকোলেন্ট হিসাবে কাজ করে ক্লেকে আঠালতা সম্পন্ন করে। এজিং এর ফলে ক্লেকে যে সমস্ত জৈব পদার্থ থাকে এটি পচানোর মাধ্যমে জৈব যৌগের উন্নয়র হয়, যার ফলে ক্লের আঠালতার উন্নয়নে সাহায্যে করে। ক্লে বডিতে আঠালতা উন্নয়নের ফলে ক্লে বডি দ্বারা সহজেই দ্রব্যের আকৃতি প্রদান করা যায়। ক্লে বডি সাধারণত এক থেকে তিন সপ্তাহ এজিং করার প্রয়োজন হয়। ক্লে বডি এজিং না করলে মাটির আঠালতা কম থাকে ফলে অতিরিক্ত বাইন্ডার মিশ্রিত করে দ্রব্যতৈরি করতে হয়। তাই ক্লে বডিকে এজিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

ক্লে বডি সংরক্ষণ

ক্লে বডি মুক্ত অবস্থায় রেখে দিলে মাটি হতে জ্বলীয় বাষ্পের মাধ্যমে ময়েশচার অপসারিত হবে। ফলে মাটি শক্ত হয়ে প্লাস্টিসিটি গুনাবলি নষ্ট হবে। ব্যবহারের পূর্বে আবার মাটিতে ময়েশচার যোগ করা এবং এজিং করার প্রয়োজন হবে। তাই মাটিকে শুষ্ক জায়গায় ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে সংরক্ষণ করতে হবে । তাছাড়া পলিথিন বা বায়ু মুক্ত বক্সে বডি সংরক্ষণ করা যায়। মাটিকে এজিং করার সময় অবশ্যই পলিথিন বা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।


নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন -

প্রশ্ন-১:নিডিং বলতে কী বুঝায় লিখুন ?

প্রশ্ন-২:ময়েশচার কনটেন্ট বলতে কী বুঝায় লিখুন ?

প্রশ্ন-৩:প্লাস্টিসিটি বলতে কী বুঝায় লিখুন ?

প্রশ্ন-৪:ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটি বলতে কী বুঝায় লিখুন ?

প্রশ্ন-৫:এজিং বলতে কী বুঝায় লিখুন ?

প্রশ্ন-৬:এজিং এর প্রয়োজনীয়তা কী লিখুন ?


উত্তর-১

নিডিংঃমাটির ভিতরে থাকা সুক্ষè কণার অপদ্রব্য গুলো আস্তে আস্তে হাতের সাহায্যে অপসারণ করাকে নিডিং বলে।

উত্তর-২

ময়েশচার কনটেন্টঃকোন কাঁচামালকে ১১০০ সেঃ তাপমাত্রায় স্থির ওজনে আসা পর্যন্ত তাপ দিলে কাঁচামাল কর্তৃক হারানো ওজকে উহার ময়েশচার কনটেন্ট বলে।

উত্তর-৩

প্লাস্টিসিটিঃক্লেকে পানির সাথে সমসত্বভাবে মিশ্রিত করলে যে ধর্ম সৃষ্টি হয়, যার কারণে চাপ প্রয়োগে ক্লের বিকৃতি হয় এবং ঐ চাপ সরিয়ে নিলে তা বিকৃত অবস্থায়ই থেকে যায়। তাকে ক্লের প্লাস্টিসিটি বলে। 

অথবা

কাঁচামালের যে গুণাবলির সাহায্যে কোন দ্রব্য গঠন করা যায় এবং দ্রব্যকে সঠিক আকার দেওয়ার পর তা বজায় থাকে তাকে প্লাস্টিসিটি বলে। 

উত্তর-৪

ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটিঃকোন দ্রব্য আকৃতি প্রদান করার সময় এর বডিকে কার্যপোযগীতা আনায়নের জন্য যে পরিমান পানি যোগ করার প্রয়োজন হয় তাকেই ওয়াটার অব প্লাস্টিসিটি বলে। 


উত্তর-৫

এজিংঃক্লেকে পানির সাথে মিশ্রিত করে সমসত্ব মিশ্রনে পরিণত করে পচানোর মাধ্যমে উহার কাজের গুনাবলী উন্নয়ন বা আঠালতার গুনাবলি উন্নয়ন করা হল এজিং অব ক্লে।

উত্তর-৬

এজিং এর প্রয়োজনীয়তাঃক্লে জাতীয় কাঁচামালের ভৌত গুনাবলি বৃদ্ধি করতে এজিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ক্লের আঠালতা বৃদ্ধি করতে এজিং এর প্রয়োজন হয়। আর্দ্র ক্লে কে গরম জায়গায় রেখে দিলে বা ক্লেকে এজিং করে অনেক দিন রেখে দিলে উহাতে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাকটেরিয়া এসিডের অবশেষ উৎপন্ন করে এর ফলে ক্লে জেলির মত অবস্থায় উন্নয়ন হয়। যাহা আঠালতা উন্নয়নে সাহায্য করে। ক্লে বডিতে কিছু দ্রবনীয় ক্ষারীয় পদার্থ বিদ্যমান থাকে। এর ফলে উক্ত ক্লে এজিং করলে ক্ষারীয় পর্দাথ ডিফ্লুকোলেন্ট হিসাবে কাজ করে ক্লেকে আঠালতা সম্পন্ন করে। এজিং এর ফলে ক্লেকে যে সমস্ত জৈব পদার্থ থাকে এটি পচানোর মাধ্যমে জৈব যৌগের উন্নয়র হয়, যার ফলে ক্লের আঠালতার উন্নয়নে সাহায্যে করে। ক্লে বডিতে আঠালতা উন্নয়নের ফলে ক্লে বডি দ্বারা সহজেই দ্রব্যের আকৃতি প্রদান করা যায়। ক্লে বডি সাধারণত এক থেকে তিন সপ্তাহ এজিং করার প্রয়োজন হয়। ক্লে বডি এজিং না করলে মাটির আঠালতা কম থাকে ফলে অতিরিক্ত বাইন্ডার মিশ্রিত করে দ্রব্যতৈরি করতে হয়। তাই ক্লে বডিকে এজিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 


বিষয়বস্তু

১। ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরির বিভিন্নপদ্ধতি।

২। ফিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরির বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রব্য প্রস্তুতকরণ।

৩। উৎপাদিত দ্রব্য ফিনিশিং করণ।

৪। উৎপাদিত দ্রব্য চেকিং এবং ক্রুটি চিহ্নিত ও প্রতিকারের উপায়।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১। ফিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করতে পারবেন।

২। প্রস্তুতকৃত সিরামিক দ্রব্যকে ফিনিশিং করতে পারবেন।

৩। উৎপাদিত দ্রব্য চেকিং এবং ক্রুটি চিহ্নিত করতে পারবেন।

৪। উৎপাদিত দ্রব্যের ক্রুটি দূর করতে পারবেন।


শর্তাবলি

প্রশিক্ষণার্থীদের অবশ্যই নিচের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে-

* ক্লে বডি

* বিকার

* পানি

* টুলস



শিখনফলঃ ফ্রিহেন্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করণ।

শিখন কার্যক্রম

বিশেষ নির্দেশনা

ফ্রিহেন্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করণ।

ইনফরমেশন শিট ১.৪-১ পড়ুন

সেলফ চেক ১.৪-১ এর উত্তরকরুন।

উত্তর পত্র ১.৪-১ এর সাথে মিলিয়ে নিন। 


শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করতে সমর্থ হবেন। 


ফ্রিহেন্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরির পদ্ধতি

সিরামিকে দ্রব্য তৈরি করার অতি প্রচীন পদ্ধতি হলো ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে বা খালি হাতের সাহায্যে সিরামিকের দ্রব্য তৈরি। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পদ্ধতি। তবে এই পদ্ধতিতে সিরামিকে দ্রব্য তৈরি করতে অনেক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার প্রয়োজন। হাতের সাহায্যে কোন প্রকার যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই শুধু কিছু টুলস ব্যবহার করে এই প্রকার দ্রব্য প্রস্তুত করা হয়। তাই এই প্রকার দ্রব্য উৎপাদন অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। হাতের সাহায্যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে দ্রব্য উৎপাদন করা যায়। তবে হাতের সাহায্যে দ্রব্য উৎপাদনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি গুলো হলোঃ-

১। পিনচিং (pinching) পদ্ধতি

২। কয়েল (coil) পদ্ধতি

৩। স্লাব (slab) পদ্ধতি 

বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরির প্রক্রিয়া নি¤েœ বর্ণনা করা হলোঃ-

পিনচিং পদ্ধতি

সাধারণত আর্ট ওয়্যার বা সৌখিন দ্রব্যাদি এ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতিতে দ্রব্য তৈরি কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ। এ পদ্ধতির দ্রব্যের গাত্র সর্বদাই অসমান হয়।

প্রথমে যে দ্রব্য তৈরি করতে হবে তার একটি আদল তৈরি করা হয়। এবার সামান্য একটু মাটি নিয়ে গোল বা লম্বা করে হাতের আঙ্গুল, ছুরি বা কোন কাঠি দিয়ে ঐ দ্রব্যের গায়ে লাগানো হয়। এ লাগানোর কাজই পিনচিং। এভাবে অসংখ্যবার পিনচিং করার পর দ্রব্যের একটি নতুন আকার ফুটে উঠে যা অসমান কিন্তু বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। মোট কথা খালি হাতে আদলকৃত দ্রব্যকে টিপে টিপে আকৃতি দানই পিনচিং পদ্ধতির মূল কথা।

Pinch pot step one   

Pinch pot step six  pinch pot construction technique sculpting seashell with clay

চিত্রঃ পিনচিংপদ্ধতিতে দ্রব্য তৈরি

তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার বাটি, মগ, ফলদানী ইত্যাদিও এই পদ্ধতিতেতৈরি করা যায়। প্রথমে একটুকরে মাটি নিয়ে দুই হাতের তালুতে ঘুড়িয়ে গোল আকৃতি করা তারপর হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে মাটির কেন্দ্র বরাবর চাপ প্রদান করে আস্তে আস্তে গর্তটি বড় করতে হবে এবং অন্যান্য আঙ্গুলের সাহায্যে এটিকে চাপ প্রয়োগ করে এক হাতে তালুতে দ্রব্যটি রেখে অন্য হাতের আঙ্গুল ব্যবহার করে একটি বাটি বা মগের আকার প্রদান করা যায়। এরপর দ্রব্যের বটম বা তলা সমান করার জন্য দ্রব্যটিকে টেবিলে বসিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে হবে এবং দ্রব্যের ভিতর ও বাহিরে পৃষ্ঠ মসৃণ করতে রিব (rib) এবং স্ক্যাপার (scraper) ব্যবহার করা হয়। দ্রব্যকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণিয় করার জন্য হাতের তালুতে অল্প মাটি নিয়ে আঙ্গুল দ্বারা চাপ প্রয়োগ করে পাতলা ¯øাব তৈরি করে বিভিন্ন নকশা বা ফলের আকৃতি তৈরি করে দ্রব্যের বাহিরের পৃষ্ঠে যেখানে নকশাটি লাগাতে হবে সেখানে দ্রব্যের গায়ে অল্প আচড় কেটে নকশাটির পিছন দিকে ঘন তরল মাটি বা স্লিপ (slip) অল্প লাগিয়ে দ্রব্যের আচড় কাঁটা জায়গায় লাদিয়ে দিতে হবে এবং দেখতে হবে যেন অতিরিক্ত স্লিপ দ্রব্যের গায়ে লেগে না থাকে। তাই নিডল দিয়ে জয়েন্টের জায়গাটি ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর স্পঞ্জ দিয়ে দ্রব্যের উভয় পৃষ্ঠ ভালভাবে পানি দিয়ে ফিনিশিং করতে হবে। মনে রাখতে হবে যেন স্পঞ্জে অতিরিক্ত পানি না থাকে। স্পঞ্জটি পানিতে ডুবিয়ে ভাল করে চিপে পানি অপসারণ করে তার পর স্পঞ্জটি ব্যভহার করতে হবে।   

কয়েল পদ্ধতি

কয়েল পদ্ধতিতে সাধারণত ফুলদানী, কলমদানী, ছাইদানী, মগ ইত্যাদি করা হয়।

কয়েল পদ্ধতিতে দ্রব্য তৈরির জন্য প্রথমে আঠালো মাটিকে ২৪-২৫ ভাগ পানি দিয়ে হাতে ভাল মত দলিত মথিত করে নেয়া হয়। এ কাজ এমনভাবে করা হয় যাতে মাটি কয়েল তৈরির সময় ফেটে না যায় বা হাতে লেগে না থাকে। এখন তৈরি মাটি থেকে সামান্য কিছু মাটি হাতে নিয়ে সমতল মেঝে বা টেবিলে রেখে দুই হাতের তালু দিয়ে ডলে লম্বা কেচোঁর মত কয়েল তৈরি করা হয়। কয়েল তৈরির সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে একই কয়েলে সর্বত্র যেন একই ব্যাস থাকে এবং সব কয়েল যেন একই রকম হয়। তবে যদি সহজে একই আকৃতি ও মাপের কয়েল তৈরি করতে হয় তবে অবশ্যই এক্সট্রুডার ব্যবহার করতে হবে। কারণ এক্সট্রুডার মাধ্যমে চাপে ঠেলে ডাইয়ের ছিদ্রের  মাধ্যদিয়ে সুষম আকৃতির কয়েল তৈরি করা সম্ভব। তৈরিকৃত কয়েল যেন ফেঁটে বা ভেঙ্গে না যায়। এভাবে কয়েল করে তা ভিজা কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে যাতে দ্রæত শুকাতে না পারে।

তৈরিকৃত কয়েলকে একটি একটি করে পেঁচিয়ে দ্রব্যের আকার দেওয়া হয়। এভাবে পেঁচিয়ে আকার দেওয়ার সময় যথেষ্ট নরম হাতে কয়েল ধরা হয় যাতে কয়েলের গায়ে আঙ্গুলের দাগ না লাগে। পেঁচানোর পূর্বে কয়েলের যে অংশ জোড়া লাগবে সে অংশের গায়ে হালকাভাবে আড়াআড়ি করে আচড় কেটে নিতে হয় এবং দুই কয়েলের মাঝে ক্লে স্লিপ দিয়ে কয়েলকে জোড়া লাগানো হয়। এতে করে একটি কয়েলের সাথে অন্য কয়েলটি সহজে জোড়া লেগে যায়। তাছাড়া একটির থাকে অন্য কয়েলটি পেঁচানোর সময় সামান্য পানি দিয়েও চাপ দেওয়া হয়। এ চাপ দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখা হয় যেন কয়েল বিকৃত না হয়। এই পদ্ধতিতে এভাবে দ্রব্যের আকার দেওয়া হয়।

     coil pot construction technique

      

চিত্রঃ কয়েল পদ্ধতিতে দ্রব্য তৈরি

কয়েল দিয়ে দ্রব্যের আকার দানের পর জোড়ক স্থানসমূহ যদি কোথাও ফাঁকা দেখা যায় বা কোন অসামঞ্জস্য থাকে তবে ছুরিতে নরম মাটি নিয়ে তা ঠিক করা হয়। এভাবে ছুরি দিয়ে কয়েলের প্রান্ত ভাগসমূহও মসৃণ করে ফিনিশিং কাজ সম্পন্ন করা হয়।

স্লাব পদ্ধতি

স্ল্যাবের মাধ্যমে যে দ্রব্য তৈরি করা হয় তা সাধারণত বিভিন্ন অংশ বিশিষ্ট হয়। প্রথমে দ্রব্যটির প্রত্যেক অংশের লম্বা চওড়া মাপ কিরূপ হবে তা নির্ণয় করে নিতে হবে। এবার তৈরি মাটিকে হাতে নিয়ে চেপটা আকৃতির বানাতে হবে। এ অবস্থায় মাটিকে সমতল মেঝে বা টেবিলে সজোরে নিক্ষেপ করে রুটির আকার দেয়া হয়। স্ল্যাবের পুরুত্ব লম্বা চওড়া ইত্যাদি ঠিক রাখার জন্য স্ল্যাব রোলার বা স্ল্যাবম্যাট (slabmat) ব্যবহার করা যায়। তবে হাতের তালুর চাপ দিয়েও এ কাজ করা যায়। দুই পার্শ্বে দুটি সমান পূরুত্বের স্কেল বা কাঠের টুকরা বসিয়ে মাঝখানে ক্লে বডি রেখে ক্লে রেলিং পিন ব্যবহার করে রুটির তৈরির মত বডিকে প্রসস্থ করে সহজেই স্ল্যাব তৈরি করা যায়।

using rolling pin for clay slab  

চিত্রঃ স্লাব তৈরির পদ্ধতি

মাটির তৈরি রুটি থেকে প্রয়োজনীয় মাপ মত দাগ দিয়ে এই দাগ বরাবর স্কেল ধরে ছুরি দিয়ে কেটে স্ল্যাব তৈরি করা হয়। এভাবে একাধিক সংখ্যক স্ল্যাব কেটে নিতে হয়। স্ল্যাব দিয়ে দ্রব্য তৈরি করতে প্রথমে দ্রব্যের নীচের অংশের স্ল্যাবটিকে টেবিলের সমান জায়গায় রাখা হয়। এবার এক একটি স্ল্যাব নিয়ে জোড়ক স্থানসমূহ ভাল ভাবে আঁচড় কাটা এবং ঐ স্থানে হালকা পানি বা তরল মাটি দিয়ে যথা স্থানে বসিয়ে হালকা চাপের জোড়া লাগানো হয়। এভাবে একটি একটি অংশে জোড়া লাগিয়ে দ্রব্য তৈরি করা হয়। দ্রব্যের জোড়াগুলো আলগা মাটি দিয়ে কয়েল বানিয়ে আঙ্গুলের চাপে জয়েন্ট করা হয় এবং প্রতিটি ধার মসৃণ করে ফিনিশিং করা হয়। 

   

     

slab vase design    C:\Users\Mujahid\Desktop\CBLM\Forming\Picture\30c724dd09ac9d4ce1ae8984de4d9a8e--clay-vase-clay-pots.jpg       Image result for slab method clay

চিত্রঃ স্লাব পদ্ধতিতে দ্রব্য তৈরি

এছাড়াও ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে নকশা করা মোল্ডে ক্লে বডিকে চাপের মাধ্যমে স্লাব তৈরি করা হয়। অনেক সময় দ্রব্য তৈরির পর স্লাবকে বিভিন্ন ডিজাইনের কেটে অথবা খুদাই করেও দ্রব্যকে আকর্ষণীয় নকশাতৈরি করা হয়। আবার স্লাবের উপর আলগা নকশা তৈরি করে লাগিয়ে দেওয়া যায়। 

উৎপাদিত দ্রব্য ফিনিশিং করণ

ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদন করার পর এর ফিনিশিং করা প্রয়োজন। কারণ দ্রব্য ফিনিশিং না করলে দ্রব্য আকর্ষণীয় হবে না। দ্রব্যের চতুর দিকে ভালভাবে খেয়াল করতে হবে যেন কোন জায়গা বাঁকা না থাকে। দ্রব্যের গায়ে কোন রূপ আঙ্গুলের ছাপ বা মোল্ডের দাগ না থাকে। দ্রব্য তৈরির পর হালকা পানিতে স্পঞ্জ ভিজিয়ে ভালভাবে চিপে পানি অপসারণ করে দ্রব্যের চর্তুপাশ্বে মুছে দিতে হয়। জয়েন্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন স্থানে ফাঁকা দেখা না যায়। যদি ফাঁকা থাকে তবে তা নরম মাটি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। দ্রব্যের চতুর পার্শ্বের ধারগুলোও সমান করতে হবে। 

উৎপাদিত দ্রব্য চেকিং এবং ক্রটি চিহ্নিত ও প্রতিকারের উপায়

উৎপাদিত দ্রব্যকে ভালভাবে চেকিং করা প্রয়োজন। কারণ দ্রব্য চেকিং করলে দ্রব্যের উৎপাদন ক্রুটি লক্ষ্য করা যাবে এবং ক্রুটি দূর করার জন্য প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। দ্রব্যাদি চেকিং করার জন্য পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। দ্রব্যাদি একটি একটি করে চেকিং করতে হবে। চেকিং করার সময় ব্যান্ডিং হুইল ব্যবহার করা যেতে পারে। দ্রব্যাদি চেকিং এ কোন ক্রুটি ধরা পড়লে সাথে সাথে তা মার্কার দিয়ে মাকির্ং করতে হবে এবং দ্রব্যটিকে আলাদা করে রাখতে হবে। চেকিং এর সময় পিপিই অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। চেকিংকৃত দ্রব্যাদি লিখিত রেকর্ড রাখতে হবে। 

উৎপাদিত দ্রব্যেরকয়েকটি কমন ক্রটি 

দ্রব্যের পৃষ্ঠ অসমান বা উঁচুনিচুঃ দ্রব্য উৎপাদনের পর অনেক সময় দেখা যায় দ্রব্যের পৃষ্ঠে ওয়েভ বা উঁচুনিচু থাকে। এটি একটি ক্রুটি। সাধারণত অসমান স্থানে স্লাব তৈরি করলে এই ধরণের ক্রটি হতে পারে। হাতের সাহায্যে চাপের মাধ্যমে স্লাব তৈরি করলেও এই ক্রটি হয়। কারণ হাতের মাপ সবসময় সমান হয় না।

প্রতিকারঃ অসমান পৃষ্ঠ ক্রটি দূর করার জন্য স্লাব তৈরির সময় সমান জায়গা বা মেঝেতে স্লাব তৈরি করতে হবে। 

দ্রব্যের পূরুত্ব অসমানঃ  ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে দ্রব্য উৎপাদনে দ্রব্যের পূরুত্ব সঠিক রাখা কঠিন। কারণ দ্রব্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার কিছু কিছু দ্রব্য হাতের সাহায্যে চাপ প্রয়োগ করে তৈরি করা হয়। সেই ক্ষেত্রে দ্রব্যের পূরুত্ব সঠিক থাকেনা। দ্রব্যের পৃষ্ঠ কোথাও পূরুত্ব বেশি আবার কোথাও পূরুত্ব কম থাকে। 

প্রতিকারঃ  দ্রব্য উৎপাদনের সময় সর্তকতার সাথে পূরুত্ব নির্ণয় এবং পূরুত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোথাও মোটা বা পাতলা পূরুত্ব হলে অতিরিক্ত অংশ কেটে অথবা পাতলা জায়গায় অতিরিক্ত মাটি যোগ করে পূরুত্ব সমান করা যায়। হাতে চাপ প্রদান করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন বডি বিকৃত না হয়ে যায়।

দ্রব্যের গায়ে দাগঃ  দ্রব্যের গায়ে দাগ বা স্ক্র্যাচ একটি কমন ক্রুটি। অনেক সময় দ্রব্যের গায়ে অতিসুক্ষè দাগ থাকে যা সহজে চোখে পড়ে না। কিন্তু দ্রব্য পুড়ানোর পর দাগটি প্রতিয়মান হয়। দ্রব্য উৎপাদন ও দ্রব্য স্থানান্তর করার সময় অনেক সময় আঙ্গুলের ছাপ লেগে থাকে যা ফায়ারিং এর পর স্পষ্ট দেয়া যায়।

প্রতিকারঃ  দ্রব্য সঠিক ভাবে ফিনিশিং করতে হবে যেন কোন প্রকার দাগ দ্রব্যের গায়ে না দেখা যায়। দ্রব্যকে ভেঁজা অবস্থা সর্তকতার সাথে স্থানান্তর বা নাড়াচরা করা উচিত যেন হাতের কোন অংশের দাগ দ্রব্যের গায়ে লেগে না যায়।

দ্রব্যের জয়েন্ট অসম্পূর্ণঃ  ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে দ্রব্যের জয়েন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্রব্যের জয়েন্ট অনেক সময় অসম্পূর্ণ থাকে ফলে দ্রব্য পুড়ানোর পর জয়েন্টের মাঝখানে ফাঁকা থাকে। দ্রব্য জয়েন্ট সঠিক না হলে দ্রব্যটি বাতিল হয়ে যায়।

প্রতিকারঃ  দ্রব্য জয়েন্ট করার সময় জয়েন্টের জায়গা ভালভাবে আঁচড়ে নরম মাটি বা পানি দিয়ে দুই অংশ হালকা চাপে লাগাতে হবে। জয়েন্ট লাগানোর পর দ্রব্যের জয়েন্টের দিকে খেয়াল করতে হবে যেন জয়েন্টের মাঝখাকে কোন আলো দেখা না যায়। আলো দেখা গেলে বুঝতে হবে জয়েন্ট সঠিক হয় নাই। তখন জয়েন্টি খুলে আবার নতুন করে সঠিক নিয়মে  জয়েন্টের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। 

দ্রব্য খস খসে বা অমসৃণঃ  উৎপাদিত দ্রব্য মসৃণ না হলে দ্রব্য আকর্ষণিয় হয় না। দ্রব্য উৎপাদনের পর যদি সঠিক ফিনিশিং না করা হয় তবে দ্রব্য অমসৃণ থেকে যায়। ফলে দ্রব্য পুড়ানোর পর তা খসখসে দেখায় যা ব্যবাহরের জন্য অনুপযুগী হয়ে যায়।

প্রতিকারঃ দ্রব্য খসখসে বা অমসৃণ ক্রটি দূর করার জন্য দ্রব্য উৎপাদনের পর দ্রব্যকে ভালভাবে ফিনিশিং করা প্রয়োজন। 

দ্রব্যের কিনারা ধারালোঃ দ্রব্য জয়েন্ট করার পর দেখার দ্রব্যের কিনারা গুলো ধারালো বা সার্প থাকে। ফলে দ্রব্য ব্যবহারের সময় ধারালো অংশে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রতিকারঃ  দ্রব্য উৎপাদনের পর দ্রব্যের ধারালো অংশকে মসৃণ করতে হবে। দ্রব্য কাঁচা অবস্থায় দ্রব্যের কিনারা গুলো স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে ধারালো অবস্থার অবসান ঘাটাতে হবে।

দ্রব্য বেঁকে যাওয়াঃ  সিরামিকের দ্রব্য উৎপাদনের সময় সঠিক নিয়মে লোড বা আনলোড না করলে দ্রব্যের আকৃতি বিকৃত হতে পারে। পুড়ানোর পর দ্রব্যের এই বিকৃতি দ্রব্যের মূল কাঠামোকে নষ্ট করে। গোল আকৃতির দ্রব্য বিকৃত হয়ে ওভাল আকৃতি হয়ে যায়। ফলেদ্রব্যের আকার,দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ অসমান হয়ে যায়। 

প্রতিকারঃ  দ্রব্যকে উৎপাদনের সময় সতর্কতার সাথে নাড়াচরা করা দরকার। দ্রব্যকে কোমল হাতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। দ্রব্যাদি পুড়ানোর আগে ভালভাবে লক্ষ্য করতে হবে যেন কোন অংশ বাঁকা না থাকে। আর যদি দ্রব্য পুড়ানোর পূর্বে বাঁকা লক্ষ্য করা যায় তবে তা পুনরায় সংস্থার করে দ্রব্যাদি ফায়ারিং করতে হবে।

দ্রব্য ফেটে যাওয়াঃ  দ্রব্য উৎপাদনের পর দ্রব্য শুস্ক সংকোচরের ফলে দ্রব্য ফেটে যেতে পারে। কাঁচামালের আঠালতা কম হলে দ্রব্য উৎপাদনের পর ফেটে যায়। ক্লে বডিতে পানি বা ময়েশচার বেশি থাকলেও দ্রব্য শুষ্ক হওয়ার সময় ফেটে যেতে পারে। উৎপাদিত দ্রব্যাদি দ্রæত শুষ্ক করলেও দ্রব্য ফেটে যেতে পারে।

প্রতিকারঃ দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্লাস্টিসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ক্লে বডিতে ময়েশচার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দ্রব্য উৎপাদনের পর নিয়ন্ত্রিত হারে আস্তে আস্তে শুষ্ক করতে হবে। দ্রব্য শুকানোর সময় সুষম তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

দ্রব্যের কিনারা ভেঙ্গে যাওয়াঃ   দ্রব্য উৎপাদনের পর শুষ্ক দ্রব্য স্থানান্তরের সময় অথবা দ্রব্যাদি একটির সাথে অন্যটি রাখার সময় পরষ্পর আঘাতে দ্রব্যাদির কিনারা ভেঙ্গে যেতে পারে। ফায়ারিং এর জন্য দ্রব্যাদি চুল্লিতে সাজানোর সময় দ্রব্যের কিনারা ভেঙ্গে যেতে পারে। 

প্রতিকারঃ  দ্রব্যাদি স্থানান্তর বা রাখার সময় সতর্কতার সাথে রাখতে হবে। দ্রব্যাদি সাজানোর সময় যেন পরষ্পর আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দ্রব্যে পিনহোলঃ  ক্লে বডি যদি ভাল ভাবে পাগিং করে বায়ু মুক্ত না করা হয় তবে দ্রব্য উৎপাদানের পর দ্রব্যের পৃষ্ঠে পিন হোলের মত ছিদ্র দেখা যায়। অনেক সময় এই পিন হোল দ্রব্যাদি ড্রাইং এর আগেই লক্ষ্য করা যায়। ক্লে বডি যদি ভালভাবে নিডিং না করা হয় তবে ছোট ছোট কাকর কণা বডিতে থাকতে পারে। যা দ্রব্য উৎপাদনের পর পিন হোল আকারে দেখা দিতে পারে।  অনেক সময় দ্রব্যের গায়ে পিনহোল হয়ে ফুসকা পড়তে পারে। 

প্রতিকারঃ ক্লে বডিকে সঠিক ভাবে পাগিং এবং নিডিং করা প্রয়োজন। ক্লে বডি সম্পূর্ণ বায়ু মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পাগিং করতে হবে। বডি হতে সকল প্রকার অপদ্রব্য অপসারণ করতে হবে। 


নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন -

প্রশ্ন-১:ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরির পদ্ধতিগুলো কী কী লিখুন।

প্রশ্ন-২:উৎপাদিত দ্রব্য ফিনিশিং করা হয় কেন লিখুন।

প্রশ্ন-৩:উৎপাদিত দ্রব্য চেকিং করা হয় কেন লিখুন।

প্রশ্ন-৪:উৎপাদিত দ্রব্যের ত্রæটি গুলোর নাম লিখুন।



উত্তর-১

হাতের সাহায্যে দ্রব্য উৎপাদনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি গুলো হলোঃ-

১। পিনচিং (pinching) পদ্ধতি

২। কয়েল (coil) পদ্ধতি

৩। স্লাব (slab) পদ্ধতি 

উত্তর-২

উৎপাদিত দ্রব্য ফিনিশিং করার কারণঃ-

ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য উৎপাদন করার পর এর ফিনিশিং করা প্রয়োজন। কারণ দ্রব্য ফিনিশিং না করলে দ্রব্য আকর্ষণীয় হবে না। দ্রব্যের চতুর দিকে ভালভাবে খেয়াল করতে হবে যেন কোন জায়গা বাঁকা না থাকে। দ্রব্যের গায়ে কোন রূপ আঙ্গুলের ছাপ বা মোল্ডের দাগ না থাকে। দ্রব্য তৈরির পর হালকা পানিতে স্পঞ্জ ভিজিয়ে ভালভাবে চিপে পানি অপসারণ করে দ্রব্যের চর্তুপাশ্বে মুছে দিতে হয়। জয়েন্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন স্থানে ফাঁকা দেখা না যায়। যদি ফাঁকা থাকে তবে তা নরম মাটি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। দ্রব্যের চতুর পার্শ্বের ধারগুলোও সমান করতে হবে। 

উত্তর-৩

উৎপাদিত দ্রব্য চেকিংকরার কারণঃ-

উৎপাদিত দ্রব্যকে ভালভাবে চেকিং করা প্রয়োজন। কারণ দ্রব্য চেকিং করলে দ্রব্যের উৎপাদন ক্রুটি লক্ষ্য করা যাবে এবং ক্রুটি দূর করার জন্য প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। দ্রব্যাদি চেকিং করার জন্য পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। দ্রব্যাদি একটি একটি করে চেকিং করতে হবে। চেকিং করার সময় ব্যান্ডিং হুইল ব্যবহার করা যেতে পারে। দ্রব্যাদি চেকিং এ কোন ক্রুটি ধরা পড়লে সাথে সাথে তা মার্কার দিয়ে মাকির্ং করতে হবে এবং দ্রব্যটিকে আলাদা করে রাখতে হবে। চেকিং এর সময় পিপিই অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। চেকিংকৃত দ্রব্যাদি লিখিত রেকর্ড রাখতে হবে। 

উত্তর-৪

উৎপাদিত দ্রব্যের ত্রæটি গুলোর নামঃ-

দ্রব্যের পৃষ্ঠ অসমান বা উঁচুনিচু ক্রটি

দ্রব্যের পূরুত্ব অসমান ক্রটি

দ্রব্যের গায়ে দাগ ক্রটি

দ্রব্যের জয়েন্ট অসম্পূর্ণ ক্রটি

দ্রব্য খস খসে বা অমসৃণ ক্রটি

দ্রব্যের কিনারা ধারালো ক্রটি

দ্রব্য বেঁকে যাওয়া ক্রটি

দ্রব্য ফেটে যাওয়া ক্রটি

দ্রব্যের কিনারা ভেঙ্গে যাওয়া ক্রটি

দ্রব্যে পিনহোল ক্রটি



শিরোনাম- ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করণ।

উদ্দেশ্য- ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করতে সমর্থ হবেন।

কাজের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও যন্ত্রপাতি-স্পেসিফিকেশন শিটের তালিকা অনুযায়ী।

পদ্ধতি

* প্রশিক্ষককে অবহিত করুন যে, আপনি কাজের জন্য প্রস্তুত।

* প্রশিক্ষক এখন আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল টুলস, যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল সববরাহ করবেন। 

* ও এস এইচ অনুশীলন করে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। 

* টুলস ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।

* ক্লে বডি প্রস্তুত করে কাজের চাহিদা মোতাবেক ফ্রিহ্যান্ড দ্রব্য তৈরি করতে হবে।

* গুণগতমান আর্জনে উৎপাদিত দ্রব্যের ক্রুটি সমূহ চিহ্নিত করে রির্পোট করতে হবে।

* কাজের নির্দেশনা ও গুণগতমান অনুযায়ী দ্রব্যটি পরীক্ষা করতে হবে।

* বাতিল দ্রব্যগুলো চিহ্নিত ও আলাদা করতে হবে।

* এরপর ফলাফল সংরক্ষণ করতে হবে।

* টুলস,যন্ত্রপাতি এবং কার্যক্ষেত্রকে আদর্শমান অনুযায়ী পরিষ্কার রাখতে হবে।

* সবশেষে অবর্জনা সঠিকভাবে অপসারণ করতে হবে।


অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা প্রদর্শন।



উপরের কাজটি সম্পন্ন করতে নি¤œলিখিত টুলস, যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল প্রয়োজন হবে-

পিপিই (ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জনিত সরঞ্জাম)ঃ-

* হেয়ার নেট

* জুতা

* এপ্রোন

টুলস, যন্ত্রপাতি এবংকাঁচামালঃ-

* বাকেট

* ডাস্টার

* ক্লে

* মডেলিং টুলস (modeling tools)

* লুপ/ট্রিমিং টুলস (loop/trimming tools)

* রিবন (ribbon)

* নিডল (needle)

* স্ক্র্যাপার (scraper)

* রিব (rib)

* ওয়্যার ক্লে কাটার (wire clay cutter)

* ক্লে হ্যামার (clay hammer)

* ক্লে মালেট (clay mallet)

* ক্লে প্যাডেল (clay paddle)

* ক্লে রোলিং পিন (clay rolling pin)

* স্পাউট মেকার (spout maker)

* ক্লে সেপার (clay shaper)

* ক্লে কাটার (clay cutter)

* কারভিং নাইফ (carving knife)

* কারভিং বুউ (carving bow)

* সুইজেল ষ্টিক (swizzle stick)

* ক্যালিপার্স (calipers)

* স্ল্যাব ম্যাট (slab mat)

* স্ল্যাব রোলার (slab roller)

* ক্যানভাস কভার্ড বোর্ড (canvas covered board)

* ব্রাশ (brush)

* স্পঞ্জ (sponge)

* স্কেল (scale)

* ব্যান্ডিং হুইল (banding wheel)

* এক্সট্রুডার (extruder)


বিষয়বস্তু 

১। কর্মক্ষেত্রের আদর্শমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা। 

২। কোম্পানির আইন অনুযায়ী বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া 

১। কার্য সম্পাদনের চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ কার্য অনুশীলন করা এবং পিপিই পরিধান করতে পারবেন।

২। কর্মক্ষেত্রের আদর্শমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করতে পারবেন। 

৩। কোম্পানির আইন অনুযায়ী বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করতে পারবেন।

শর্তাবলিঃ

প্রশিক্ষণার্থীদের অবশ্যই নিচের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে-

* ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জনিত সরঞ্জাম (পিপিই)

* টুলস ও কাঁচামাল

শিখন উপকরণ-

* বই, ম্যানুয়াল

* মডিউল বা রেফারেন্স


শিখনফলঃ কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা।

শিখন কার্যক্রম

বিশেষ নির্দেশনা

কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা।

ইনফরমেশন শিট ১.৫-১ পড়ুন।

সেলফ চেক ১.৫-১ এর উত্তরকরুন।

উত্তর পত্র ১.৫-১ এর সাথে মিলিয়ে নিন।


শিখন উদ্দেশ্য 

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করতেসক্ষম হবেন। 


কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা

ক) অতিরিক্ত ক্লের টুকরা গুলোকে একত্র করে নির্ধারিত বাকেটে রাখা।

খ) অব্যবহৃত কাঁচামাল নির্দিষ্ট জায়গার ফেরত পাঠান।

গ) কর্মক্ষেত্রের মেঝে ও টেবিল ঝাড়– দিয়ে পরিস্কার করা।

ঘ) ময়লা জায়গা পানি ব্যবহার করে পরিষ্কার করা।

যন্ত্রপাতি পরিষ্কার ও সংরক্ষণ করা

অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও সরঞ্জামাদি থেকে কর্মক্ষেত্রকে পরিষ্কার রাখতে হবে যেন কোন ব্যক্তি আঘাত না পায় এবং পড়ে না যায়। কর্মক্ষেত্রের মেঝেতে কোন মাটি বা পিচ্ছিল জাতীয় পদার্থ রাখা যাবে না। পিচ্ছিল মেঝে মারাত্মক বিপদজনক। কাজ শেষে কাপড় ব্যবহার করে মেঝে পরিষ্কার রাখবো। টুলস ও সরঞ্জামাদি পরিষ্কার করে গুদামজাত করতে হবে। কাজ শেষে বিলম্ব না করে টুলস ও অন্যান্য দ্রব্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। 



নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন -

প্রশ্ন-১: কর্মক্ষেত্র পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কী কী কার্যাবলী নিহিত আছে?

প্রশ্ন-২: কর্মক্ষেত্র পরিষ্কারের ক্ষেত্রে তুমি কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে পার ?


উত্তর-১

 কর্মক্ষেত্র পরিষ্কারের ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত কার্যাবলী নিহিত আছেঃ 

ক) অতিরিক্ত ক্লের টুকরা গুলোকে একত্র করে নির্ধারিত বাকেটে রাখা।

খ) অব্যবহৃত কাঁচামাল নির্দিষ্ট জায়গার ফেরত পাঠান।

গ) কর্মক্ষেত্রের মেঝে ও টেবিল ঝাড়– দিয়ে পরিস্কার করা।

ঘ) ময়লা জায়গা পানি ব্যবহার করে পরিষ্কার করা।


উত্তর-২

কর্মক্ষেত্র পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আমি দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যনিম্নের পদক্ষেপ গ্রহন করবোঃ

অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও সরঞ্জামাদি থেকে কর্মক্ষেত্রকে পরিষ্কার রাখবো। যেন কোন ব্যক্তি আঘাত না পায় এবং পড়ে না যায়। কর্মক্ষেত্রের মেঝেতে কোন মাটি বা পিচ্ছিল জাতীয় পদার্থ রাখবো না। পিচ্ছিল মেঝে মারাত্মক বিপদজনক। তাই কাজ শেষে কাপড় ব্যবহার করে মেঝে পরিষ্কার রাখবো। টুলস ও সরঞ্জামাদি পরিষ্কার করে গুদামজাত করবো। কাজ শেষে বিলম্ব না করে টুলস ও অন্যান্য দ্রব্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে রাখবো। 



ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে সিরামিক দ্রব্য তৈরি


প্রশিক্ষণার্থীর নাম----------------------------------------- তারিখঃ----------------

কার্যসম্পাদন মানদন্ড

হ্যাঁ

না

আমিকি-

 

 

১। ওএসএইচ চাহিদা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রের মান বজায় রাখতে পেরেছি।

 

 

২। ওএসএইচ চাহিদা অনুযায়ী কার্যসম্পন্ন করতে পেরেছি?

 

 

৩। টুলস ও যন্ত্রাদি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পেরেছি?

 

 

৪। কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি?

 

 

৫। সঠিক পদ্ধতিতে গুনগতমান বজায় রেখে হাতের সাহায্যে সিরামিক দ্রব্য তৈরি করতে পেরেছি?

 

 

৬। দ্রব্য তৈরির পর দ্রব্যের ক্রুটিসমূহ ভালোভাবে পরীক্ষা করে চিহ্নিত করতে পেরেছি?

 

 

৭। বাতিল দ্রব্য অপসারণ করে রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি?

 

 

৮। কর্মক্ষেত্রের মান অনুসারে কর্মক্ষেত্র ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করেছি?

 

 

৯। কারখানার নিয়ম নীতি অনুসারে বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি ?

 

 


‘‘ফ্রিহ্যান্ড প্রসেসে দ্রব্য তৈরি’’ মডিউলে যোগ্যতা মূল্যায়নের মানদন্ডের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো-

কার্যসম্পাদন মানদন্ড

হ্যাঁ

না

১। প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময়, পূর্বে ও পরে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা বিষয়াবলি বা নিয়ম নীতি মানা হয়েছে।

      □

২। প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময়, পূর্বে ও পরে অনিরাপদ ও ক্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতিসমূহ চিহ্নিত করা এবং নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে সে গুলো মেরামত করা হয়েছে।

     □

৩। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক পরিধান করা হয়েছে।

     □

৪। কারখানার নিয়ম অনুসারে কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

     □

৫। উৎপাদনকারীর নির্দেশনা এবং কার্যনির্দেশনা অনুসারে টুলস এবং যন্ত্রপাতি নির্বাচন ও প্রস্তুত করা হয়েছে।

     □

৬। দ্রব্য তৈরির জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ, বাছাই ও সুবিন্যস্ত করা হয়েছে।

     □

৭। কারখানায় নিয়ম অনুসারে দ্রব্য তৈরি করা হয়েছে।

     □

৮। উৎপাদিত দ্রব্যের বিভিন্ন সমস্যা এবং ক্রুটিসমূহ চিহ্নিত করে ক্রুটি দূর করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

     □

৯। দ্রব্যটি কারখানা কর্তৃক নির্ধারিত গুনগতমান এবং কাজের নির্দেশনা মেনে তৈরি করা হয়েছে।

     □

১০। বাতিল দ্রব্যগুলো অপসারণ এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়েছে।

     □

১১। কর্মক্ষেত্রের ষ্ট্যান্ডার্ড অনুসারে কর্মক্ষেত্র ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করা হয়েছে।

     □

১২। কারখানার নিয়ম নীতি অনুসারে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

     □


এখন আমি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রন্তুত।


স্বাক্ষরঃ -------------------------------    তারিখঃ------------------


https://www.thespruce.com/basic-hand-building-techniques-2745928

http://www.lakesidepottery.com/HTML%20Text/Methods%20of%20Handbuilding.htm

https://www.pinterest.com/explore/hand-built-pottery/

https://www.pinterest.com/pin/117797346482908204/

 

 

Developed by:

Mr. Muhammad Ali Azam Khan Mojahadi, Juinor Instructor (Tech.), Bangladesh Institute of Glass & Ceramics, Dhaka. Mobile: 01716132719, Email:  mojahadi96@yahoo.com

 

 

Editor by:

Mr. Belayet Hossain

Chief Instructor (Tech)

Bangladesh Institute of Glass & Ceramics, Dhaka.