ওয়ার্কিং ইন দ্যা সিরামিক ইন্ড্রস্ট্রি
৬ সপ্তাহ

সূচিপত্র

যেভাবে সক্ষমতাভিত্তিক এই শিখন উপকরণ ব্যবহার করতে হবে  

মডিউল বিষয়বস্তু  

শিখনফল ১ : কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়গুলো চিহ্নিত করা 

শিখন কার্যক্রম  

ইনফরমেশন শিট ১.১-১: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুকি সংক্রান্ত বিষয়সমূহ 

সেলফ চেক ১.১-১

উত্তর পত্র ১.১-১

শিখনফল ২: সিরামিক কারখানায় দলীয় কাজ এবং দ্ব›দ্ব বা সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়াবলী চিহ্নিতকরা  

শিখন কার্যক্রম 

ইনফরমেশন শিট ১.২-১: কর্মক্ষেত্রে দলীয় কাজ এবং দ্ব›দ্ব বা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী 

সেলফ চেক ১.২-১ 

উত্তর পত্র ১.২-১ 

শিখনফল ৩ : সিরামিককারখানার বিভিন্ন ভূমিকা ও দায়িত্ব এবং অবস্থান চিহ্নিত করা 

শিখন কার্যক্রম 

ইনফরমেশন শিট ১.৩-১: সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে ভূমিকা, দায়িত্ব এবং অবস্থান 

সেলফ চেক ১.৩-১  

উত্তরপত্র ১.৩-১ 

কার্যক্রমপত্র ১.৩-১ 

স্পেসিফিকেশন শিট ১.৩-১

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা 

সক্ষমতাসমূহের পুনরালোচনা  

সেক্টর

যেভাবে সক্ষমতাভিত্তিক এই শিখন উপকরণ ব্যবহার করতে হবে  

মডিউল বিষয়বস্তু  

শিখনফল ১ : কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়গুলো চিহ্নিত করা 

শিখন কার্যক্রম  

ইনফরমেশন শিট ১.১-১: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুকি সংক্রান্ত বিষয়সমূহ 

সেলফ চেক ১.১-১

উত্তর পত্র ১.১-১

শিখনফল ২: সিরামিক কারখানায় দলীয় কাজ এবং দ্ব›দ্ব বা সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়াবলী চিহ্নিতকরা  

শিখন কার্যক্রম 

ইনফরমেশন শিট ১.২-১: কর্মক্ষেত্রে দলীয় কাজ এবং দ্ব›দ্ব বা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী 

সেলফ চেক ১.২-১ 

উত্তর পত্র ১.২-১ 

শিখনফল ৩ : সিরামিককারখানার বিভিন্ন ভূমিকা ও দায়িত্ব এবং অবস্থান চিহ্নিত করা 

শিখন কার্যক্রম 

ইনফরমেশন শিট ১.৩-১: সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে ভূমিকা, দায়িত্ব এবং অবস্থান 

সেলফ চেক ১.৩-১  

উত্তরপত্র ১.৩-১ 

কার্যক্রমপত্র ১.৩-১ 

স্পেসিফিকেশন শিট ১.৩-১

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা 

সক্ষমতাসমূহের পুনরালোচনা  



সম্পন্ন হয়েছে

এই মডিউলে প্রশিক্ষণ উপকরণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই কার্যক্রমগুলো আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে। ওয়ার্ক ইন দ্যা সিরামিক একটি অন্যতম সক্ষমতা। এই সক্ষমতাটি এনটিভিকিউ লেভেল-১ পেশার মেশিন চালানোর জন্য প্রয়োজন। এই পেশার একজন মিডিয়াম পর্যায়ের দক্ষ কর্মীর জন্য যে জ্ঞান, দক্ষতা ও আচরণ প্রয়োজন তা এই কোর্সে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

এই মডিউলে বর্ণিত শিখনফল অর্জনের জন্য আপনাকে কতগুলো ধারাবাহিকভাবে শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এইসব কর্মকান্ড একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে বা অন্যত্রও সম্পন্ন করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট কর্ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য শিক্ষণীয় বিষয়ও কর্মীদেরকে আয়ত্ব করতে হবে।

শিক্ষা কার্যক্রমের ধারা জানার জন্য মডিউলে বর্ণিত “শিখন কার্যক্রম” অংশটি অনুসরণ করুন। ধারাবাহিকভাবেজানার জন্য সূচিপত্রে ইনফরমেশন শিট, শিখন কার্যক্রম, শিখন ফল এবং উত্তরপত্রে পৃষ্ঠা নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট পাঠের সাথে সঠিক সহায়ক উপাদান সম্পর্কে জানার জন্য “শিখন কার্যক্রম” অংশটি দেখতে হবে। এই শিখন কার্যক্রম অংশ আপনার সক্ষমতা অর্জনের জন্য রোড ম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।

ইনফরমেশন শিটটি পড়ুন। এতে কাজ সম্পর্কে এবং সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করার সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। ইনফরমেশন শিটটি পড়া শেষ করে‘সেলফ চেক শিট’ এ উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করুন। শিখন গাইডের ইনফরমেশন শিট অনুসরণ করে‘সেলফ চেক’ করুন। একজন কর্মী কীভাবে কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে সেটি জানতে ‘সেলফ চেক’ আপনাকে সহযোগিতা করবে। ‘সেলফ চেক’ কতটা সঠিক হয়েছে তা জানার জন্য উত্তরপত্র দেখুন। একজন কর্মী কীভাবে কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে সেটি জানতে ‘সেলফ চেক শিট’ আপনার সহযোগিতা করবে। ‘সেলফ চেক শিট’ কতটা ভালো করেছেন তা জানতে ‘উত্তরপত্র’ দেখুন।

কার্যক্রমপত্রে নির্দেশিত উপায়ে যাবতীয় কর্মসম্পাদন করুন। এখানেই আপনি নতুন সক্ষমতা অর্জনের পথে আপনার নতুন জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবেন।

এই মডিউল অনুযায়ী কাজ করার সময় নিরাপত্তা বিষয়টি সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকবেন। কোনো বিষয়ে জানার থাকলে ফ্যাসিলিটেটরকে প্রশ্ন করতে সংকোচ করবেন না।

এই শিখন গাইডে নির্দেশিত সব কাজ শেষ করার পর অর্জিত সক্ষমতা অ্যাসেস করা হবে যে, আপনি পরবর্তী মূল্যায়নের জন্য কতটুকু উপয্ক্তু। প্রয়োজনীয় সব সক্ষমতা অর্জন হয়েছে কিনা তা জানার জন্য মডিউলের শেষে সক্ষমতা মানদন্ড এর।


মডিউলের শিরোনামঃ ওয়ার্কিং ইন দ্যা সিরামিক ইন্ড্রস্ট্রি।

মডিউলের বর্ণনা

এই মডিউলের মূল বিষয়বস্তু হলো জ্ঞান, দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত করা। বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের সাথে সাথে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যগুলো একীভূত করা। কাজের অগ্রগতি সেট করার পাশাপাশি সিরামিক পণ্যের কারখানার পেশাগত মান বৃদ্ধি ও উন্নতি বজায় রাখা। এছাড়াও এই মডিউলের মধ্যে কারখানার কাজের পরিবেশ, কারখানায় কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে পারস্পারিক সম্পকর্, সহযোগিতা এবং কাজের সময়সীমা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

এগুলো ছাড়াও, এই মডিউলে রয়েছে ইনফরমেশন শিট, সেফল চেক এবং উত্তরপত্র।

সময়ঃ ২০ ঘন্টা

শিখনফলঃ

এই মডিউলটি শেষ করার পর একজন প্রশিক্ষণার্থী অবশ্যই-

১। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়সমূহ চিহিৃত করতে পারবেন।

২। সিরামিক কারখানায় দলীয়ভাবে কাজ বা দ্বন্দের বিষয়সমূহ চিহ্নিত করতে পারবেন।

৩। সিরামিক কারখানার কাজের বিভিন্ন দায়িত্ব ও পজিশন চিহ্নিত করতে পারবেন।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১।  বিপদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজের শুরুতে বা কাজের সময়, পূর্বে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজের স্থান নিয়মিত পরীক্ষা করতে পারবেন।

২।  বিপজ্জনক ও অপ্রত্যাশিত কার্যকলাপ চিহ্নিত করতে পারবেন।

৩।  কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মানদন্ড (ওএসএইচ) অনুযায়ী নিজের দায়িত্বের মধ্যে থেকে বিপজ্জনক ও অপ্রত্যাশিত কার্যাবলী সনাক্ত করতে পারবেন।

৪।  কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী ঝুঁকির্পূণ যন্ত্রপাতি চিহ্নিত করে রির্পোট করতে পারবেন।

৫।  কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তিকে সনাক্তকরন এবং দ্রæত জরুরি অবস্থা চিহ্নিত করে রিপোর্ট করতে পারবেন।

৬।  দায়িত্বরত অবস্থায় দুর্ঘটনা, অগ্নিসংযোগ এবং আকষ্মিক ঘটনা মোকাবেলার জন্য কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা অনুসরণ করতে পারবেন।

৭।  সিরামিক কারখানায় কাজের ভূমিকা এবং দায়িত্ব চিহ্নিত করতে পারবেন।

৮।  সিরামিক কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারবেন।

৯।  একই ধরনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কাজ সঠিক ব্যক্তির কাছে তুলে ধরতে বা বিস্তারিত বর্ণনা করতে পারবেন।

১০।কর্মস্থলের পরিবেশ অনুযায়ী নিজের কাজগুলো নির্ধারণ করতে পারবেন।

১১।অন্যের সাথে পারস্পারিক সম্পর্ক স্থাপন বা কাজকর্মে অবদান রাখার ক্ষেত্রে নিজের উপযুক্ত দক্ষতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

১২। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাহিদা, বৈশিষ্ট্য ও পরিবেশ অনুযায়ী নির্ধারিত কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

১৩।সহকর্মীদের সাথে কাজের মাধ্যমে কাজের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।



বিষয়বস্তু

১। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্বসমূহ চিহ্নিত করা।

২। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মক্ষেত্র প্রাপ্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা।

৩। সিরামিক কারখানায় ব্যবহৃত পিপিই এর ধরনগুলো সনাক্ত করা।

৪। কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি এবং অপ্রত্যাশিত কর্মক্ষমতা চিহ্নিত করা।

৫। দুর্ঘটনা, অগ্নিসংযোগ এবং জরুরি ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা অনুসরণ করা।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দায়িত্বসমূহ নিশ্চিত করতে পারবেন।

২। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদেরনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য অধিকার বিবেচনা করতে পারবেন।

৩। সিরামিক কারখানায় ব্যবহৃত পিপিই এর ধরণসমূহ সনাক্ত করতে পারবেন।

৪। কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি ও অপ্রত্যাশিত পারদর্শিতা সনাক্ত করা এবং কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা অনুযায়ী রির্পোট করতে পারবেন।

৫। দুর্ঘটনা, অগ্নিসংযোগ এবং জরুরি ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করতে পারবেন।

শর্তসমূহ

প্রশিক্ষণার্থীগণকে অবশ্যই নিম্নে বর্ণিত উপকরণ সরবরাহ করতে হবে

ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম (পিপিই)

শিখন উপকরণ

বই, ম্যানুয়াল

মডিউল, রেফারেন্স


শিখনফল : কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত বিষয়াবলী চিহ্নিত করতে পারবেন।

                      শিখন কার্যক্রম

               বিশেষ নির্দেশনা

  • কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা  স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত বিষয়াবলী চিহ্নিত করা

  • ইনফরমেশন শিট .- পড়ুন
  • সেলফ চেক .- এর উত্তর করুন
  • উত্তরপত্র .- এর সাথে উত্তর মিলিয়ে নিন


কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়সমূহ

শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি কর্মক্ষেত্রের প্রত্যেক কর্মীর নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে ঝুকি এবং সক্ষমতা চিহিৃতকরণ এবং পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় কর্মক্ষেত্রের নিয়মাবলী অনুসরণ করতে পারবেন।

ভূমিকা

আপনি কি সিরামিক কারখানায় নতুন চাকুরি অথবা অন্যত্র যোগদানের কথা চিন্তা করছেন? মূলত একটি নতুন চাকরি খোঁজা বা শুরু করা ভয়ের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি আপনার প্রথম চাকুরি হয়। যখন আপনি একটি নুতন চাকুরি খুঁজবেন, মনে রাখতে হবে যে শুধুমাত্র কাজ করা ও অর্থ উপার্জনের চেয়ে একটি চাকুরি পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। প্রত্যেকটি কর্মক্ষেত্রেই ঝুঁকি আুমিটা

স্বাস্থ্য  নিরাপত্তা

স্বাস্থ্যসম্মত  নিরাপদ পরিবেশের জন্য কে দায়ী?

আইন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব হলো পাশের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে রক্ষা করা। এ দায়িত্ব আপনার, আপনার সহকর্মী ও আপনার সুপারভাইজারসহ প্রত্যেকেরই। এই সকল দায়িত্ব সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি নিরাপদে কাজ করতে পারবেন। আর একটি নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবেন।

শ্রমিক হিসেবে দায়িত্ব

  • চাকুরির সাথে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন ও অনুসরণ করুন;
  • আপনি কোনো কিছু নিরাপদে রাখা সম্পর্কে না জানলে, কাজ শুরু করার র্পূবে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন। প্রশিক্ষণের সময় জিজ্ঞাসা করুন;
  • নিরাপদে কাজ করুন এবং পাশাপাশি সহকর্মীকেও উৎসাহিত করুন;
  • তাৎক্ষণিকভাবে কোন ধরণের অনিরাপদ অবস্থাগুলো ঠিক করুন(যেমন-বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ সমস্যা সংক্রান্ত) অথবা আপনার সুপারভাইজারকে অবহিত করুন;
  • আহত হওয়া মাত্রই প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য কাছের কাউকে অথবা সুপাভাইজারকে রির্পোট করুন।

কর্মীদের দায়িত্ব-কর্তব্য

  • একটা নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা;
  • এটি নিশ্চিত যে, আপনি এবং আপনার সহকর্মী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, এবং প্রশিক্ষণের রেকর্ড আপনার তত্ত্বাবধানে রাখা;
  • নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্বলিত একটি লিখিত পলিসি (আপনি এক কপি দেখতে পারেন) এবং ঘটনা অনুসন্ধান প্রক্রিয়াসহ একটা বড় ধরনের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রম প্রদান করা;
  • সুপারভাইজার, নিরাপত্তা কো-অর্ডিনেটর এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিষয়ক কার্যক্রমে সহায়তা করা। একজন যোগ্য কর্মী সবসময় নিরাপদে কাজ করতে উৎসাহিত করে;
  • সম্ভাব্য বিপদজনক পরিস্থিতিতে শ্রমিক বা সুপারভাইজার রিপোর্ট করা মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া। বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করা;
  • পর্যাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা ও সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা;
  • প্রয়োজন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা। 

সুপারভাইজার এর দায়িত্ব-কর্তব্য

  • নিরাপদে কাজ করার বিধিমালা সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া;
  • সব ধরনের কাজে নিজেকে প্রশিক্ষিত করা এবং নিরাপদে কাজ করার প্রতি লক্ষ্য রাখা;
  • এটি নিশ্চিত করা যে, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীগণই ঝুঁকিপূর্ন উপকরণ ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করবেন;
  • সরঞ্জামাদি ও উপকরণের যথার্থ পরিচালনা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা;
  • প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি  বিষয়ক ব্যবস্থা জোরদার করা;
  • নিরাপত্তাহীন আইন ও অবস্থা সংশোধন করা
  • শ্রমিকদের সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করা যা তাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে পারে;
  • প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ফলোআপ করা;
  • নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত নীতি প্রণয়ন করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্র পরিদর্শন করা
  • যদি আপনাকে অন্য শ্রমিকদের সুপারভাইজ করতে বলা হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, আপনি আপনার কাজে প্রশিক্ষণপ্রপ্ত। আর আপনার দায়িত্বগুলো সম্পর্কে জানেন বা বুঝেন।
  • কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার অধিকারসমূহঃণপ্রপ্ত। আর আপনার দায়িত্বগুলো সম্পর্কে জানেন বা বুঝেন।

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার অধিকারসমূহঃ

শুধুমাত্র নিরাপদে কাজ করাই আপনার কর্তব্য নয়, শ্রমিক হিসেবে আপনার নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত অনেক মৌলিক অধিকার রয়েছে।

  • জানার অধিকার ও প্রশিক্ষণ- সামগ্রিকভাবে নিরাপদ কাজের অনুশীলন করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সনাক্ত করা;
  • রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার-নূন্যতম ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে পারা;
  • নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি অধিকার-একটি নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিটি বা শ্রমিক প্রতিনিধির মাধ্যমে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে অংশগ্রহণের অধিকার;
  • কাজ প্রত্যাখ্যান করার অধিকার- যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে কাজের পদ্ধতি, সরঞ্জামাদি অথবা পরিবেশ যেকোনো ব্যক্তির জন্য হুমকিস্বরুপ তবে, কাজ প্রত্যাখ্যান করার অধিকার;
  • কাজ শুরুর পূর্বে অবশ্যই নিয়োগদাতা আপনাকে নিরাপদে কাজ করার জন্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি কাজ করার জন্য জ্ঞানসম্পন্ন বা দক্ষ না হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে সরাসরি কোনো দক্ষ ব্যক্তির অধীনে কাজ করতে হবে। যখন আপনি নতুন কোনো কাজ শুরু করেন, তখন আপনার কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত মৌলিক তথ্যাবলি সম্পর্কে জানা উচিত। 

যেমন:-বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তামূলক প্রশিক্ষণ অথবা শিক্ষা আপনার জন্য প্রয়োজন হবেঃ

  • আপনার সুপারভাইজারের নাম ও যোগাযোগের তথ্য;
  • আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য;
  • কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি;
  • নিরাপদে কাজ করার নির্দেশনা ও বাহ্যিক প্রকাশ;
  • যদি আপনি একা বা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেন তখন কী করতে হবে;
  • কীভাবে কর্মক্ষেত্রে নিজকে সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে;
  • ঝুঁকির্পূণ দ্রব্য বাবস্তুুর মাঝে আপনি কীভাবে নিরাপদে কাজ করবেন;
  • কী কী ধরনের পিপিই প্রয়োজন, কীভাবে ও কখন এটা পরিধান করবেন;
  • কীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা পাবেন;
  • আহত বা অন্য ঘটনায় কীভাবে রিপোর্ট করবেন;
  • কীভাবে সম্ভাব্য ঝুঁকিএবং অনিরাপদকাজের অবস্থা রিপোর্ট করবেন;
  • তাৎক্ষণিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হতে বের হওয়ার জন্য জরুরিভাবে কী করতে হবে;
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য কে দায়ী (তার সাথে যোগাযোগ করা) এবং কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে;
  • যদি আপনি প্রশিক্ষণ না নিয়ে থাকেন, তবে আপনি আপনার সুপারভাইজারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন।

নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য কর্মীদের কাছে নিয়োগদাতা যেভাবে পৌঁছাবে

নিয়োগদাতা বিভিন্নভাবে কর্মচারীদের কাছে নিরাপত্তার তথ্য পৌঁছাতে পারেন। যেমন-

  • প্রশিক্ষণের মাধ্যমে;
  • সুপারভাইজারের মাধ্যমে;
  • কর্মী সভার মাধ্যমে;
  • ই-মেইলে;
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে;
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির মাধ্যমে (স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রতিনিধি, যদি সম্ভব হয়)।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম (পিপিই) পরিধান করার প্রয়োজনীয়তা

পিপিই হচ্ছে নিরাপত্তার সরঞ্জাম বা বস্ত্র যেটি সার্বিকভাবে কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আপনাকে আহত বা সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে। সব ধরনের কারখানায় কাজের সময় ঝুঁকি এড়াতে পিপিই খুবই দরকার

                  পিপিই এর ধরন

                      ব্যবহার

  • এ্যাপ্রোন/নিরাপত্তা পোশাক পরিধান করা

  • যখনদ্রব্য উৎপাদনেরজন্য কাজ করা হয়;

  • হেন্ড গ্লাভস এবং নিরাপত্তা জুতা

  • আবর্জনা সরানো বা স্টোরেজ এলাকায় কাজের সময়;

  • মাস্ক

  • রাসায়নিক পর্দাথ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং পরিষ্কারের সময়;

  • হেয়ারনেট/কেপ

  • সরঞ্জামাদি পরিষ্কার করার সময়;

  • চোখের সুরক্ষা গগজ

  • রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য;

  • শ্রবণ সুরক্ষা

  • উচ্চমাত্রার শব্দ থেকে সুরক্ষিত থাকার ক্ষেত্রে

         

কোনো কিছু ভূল করে ফেললে যা করা উচিত

নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কিত বিষয়ে কার সাথে কথা বলবেন 

আপনার ম্যানেজার বা সুপারভাইজারের সবসময় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে অবগত থাকা উচিত। এছাড়াও আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য প্রতিনিধি অথবা যৌথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কমিটির কাছ থেকে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কাজ করাতে গিয়ে আহত হলে যা করতে হবে

আইন অনুযায়ী, কাজের সময় আহত হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার সুপারভাইজার অথবা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে রির্পোট করুন।

প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধাসমূহ

প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধপত্র সরবরাহ করে। ছোট পরিসরে, কম ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রগুলো সবসময় মেডিকেল সুবিধা বহন করে না, যেটা থাকাটা খুবই জরুরি। বড় ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রুমের পাশাপাশি একজন প্রতিনিধি থাকা দরকার। ওরিয়েন্টেশনের সময় কর্মক্ষেত্রের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত বিষয়াবলী সম্পর্কে আপনার জেনে নেওয়া উচিত যেমন-

  • আহত হলে কখন এবং কীভাবে রিপোর্ট করবেন;
  • কোনো ঘটনা ঘটলে তা কীভাবে রিপোর্ট করবেন; 
  • আপনি কোথায় প্রাথমিক চিকিৎসার প্রতিনিধি বা কক্ষ খুঁজবেন।

হাসপাতালে যাওয়ার জন্য আপনার ট্রান্সপোর্ট প্রয়োজন হলে নিয়োগ কর্তার তা দেয়া উচিত।

নিরাপত্তা টিপস্

আপনার নিয়োগদাতা অথবা সুপারভাইজার আপনাকে কর্মক্ষেত্রের সম্ভাব্য বিপজ্জনক অবস্থা সম্পর্কে বলবেন- এটাই আইন।

মাস্কুলসস্কেলিটল আঘাত

কাজ করার সময় মাস্কুলসস্কেলিটল জনিত আঘাত খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। একে মচকানো বা টান লাগা বলে। এটা মূলত অসতর্কভাবে নড়াচড়া করার কারণে হতে পারে।

নিরাপত্তা টিপস্

  • দীর্ঘসময় ধরে একই নড়াচড়া পরিহার করা-কাজের ফাঁকে ঘোরা, মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া এবং অবস্থান পরিবর্তরন করা।
  • বেপরোয়াভাবে অবস্থান না করা-নিয়ন্ত্রণযোগ্য চেয়ার বা টুল ব্যবহার করা, উঁচু স্থানে কাজ করা এবং কাজ করার সময় সরঞ্জামাদি বা উপকরণসমূহ ঠিকভাবে রাখা;
  • কাজের সময় নিচু জুতা পরিধান করা;
  • কাজের সময় শরীর না মোচড়ানো-পায়ের উপর নির্ভর করে অবস্থান পরিবর্তন করা;
  • কাজের সময় পুরানো বা জীর্ণ সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলতে অনুরোধ করা।

লিফটিং এবং হ্যান্ডলিং উপকরণ

সাধারণত ঘাড় এবং পিঠের আঘাত, হার্নিয়া, কেটে যাওয়া, হাড় ভাঙ্গার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে-ভারী বস্তু লিফটিং এবং হ্যান্ডলিং করা। এই ধরনের আঘাতগুলো পরবর্তী জীবনে বাধার অন্যতম কারণ হতে পারে। উপরে উঠার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে  যে, আপনার শক্তি অনুযায়ী আপনি কতটুকু পরিমাণ ওজন বহন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা  টিপস

  • সম্ভব হলে, উপরে উঠার সময় ভারী ও বেপরোয়া জিনিসপত্র এড়ানোর চেষ্টা করা। এর পরিবর্তে বিভিন্ন যান্ত্রিক ডিভাইস যেমন-ট্রাক, উত্তোলন যন্ত্র, ট্রলি ব্যবহার করা;
  • উপরে উঠার সময় কাঁধ মোচড়ানো বা বাঁকানো পরিহার করা;
  • অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নেয়া;
  • পরিকল্পনা ও সহনীয় মাত্রায় অল্প ভারী জিনিস নিয়ে উপরে উঠা;
  • উপরে উঠার সময় যতটা সম্ভব জিনিসপত্রগুলো শরীরের কাছে নিয়ে উঠা;
  • শরীর বাঁকা না করে যতটা সম্ভব আপনার হাঁটু ও কাাঁধের মধ্যে লোড রাখার চেষ্টা করা;
  • শক্ত করে ধরা। আঙ্গুল ব্যবহার না করে হাত দিয়ে ধরা;
  • দীর্ঘসময় ধরে একই ধরনের ভারী কাজ পরিহার করা। 

আকস্মিক পতন, হোঁচট খাওয়া, ভূপতিত হওয়া

ছোট ছোট কারখানাগুলোতে আকস্মিকভাবে পড়ে যাওয়া, হোঁচট খাওয়া, ভূপতিত হওয়া একটি সাধারণ চিত্র। উদাহরণস্বরুপ-

  • বৃষ্টির দিনে স্টোরে প্রবেশের সময় পিচ্ছিল বা ভেজা ফ্লোর ব্যবহার করা;
  • নির্দ্ধিধায় অন্ধকার, অমসৃণ এবং ভেজা এলাকায় বিশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করা
  • নিরাপত্তা টিপস্
  • নন গ্রিপ জুতা পরিধান করা;
  • চলাচল এবং কাজের এলাকাগুলো থেকে বাক্সগুলো বৈদ্যুতিক তারের আলগা বাক্সগুলো, পরিস্কার করা ;
  • নিজের সাধ্যের বাইরের কোনো জিনিস বহন না করা। অন্য ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া;
  • বড় ধরনের জিনিস বহনের সময় চিন্তা করা;
  • ভারী জিনিস সরানোর সময় হাঁটু ও বুকের মাঝে কাপড় পরানো;
  • উঁচু স্থানে উঠার সময় চেয়ার ব্যবহারের চেয়ে ভাঁজ করা সিঁড়ি ব্যবহার করুন।

বিপজ্জনক পণ্য

বিপজ্জনক পণ্য যেমন-পরিস্কারক বস্তু বা কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই আপনার নিয়োগদাতা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। এই পদ্ধতি আপনাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। এই পদ্ধতি আপনাকে হ্যান্ডলিং, সংরক্ষণ এবং বিপজ্জনক উপকরণ থেকে রেহাই পাওয়ার ক্ষেত্রে যথার্থ তথ্য পেতে সহায়তা করবে।

যদি কাজ করার সময় কীটনাশক ব্যবহার বা কীটনাশক দিয়ে কোনো কিছু পরিস্কার করতে বলা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কীটনাশক ব্যবহার করার জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে। যদি আপনি পুরাপুরিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন, তাহলে নিচের চারটি প্রশ্নের উত্তর দিন-

  • আপনি কী ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্য ব্যবহার করেন?
  • আপনি কীভাবে আপনাকে রক্ষা করবেন?
  • জরুরি অবস্থায় আপনার কী করা উচিত?
  • কোন জায়গা থেকে এই সকল দ্রব্যাদি সম্পর্কে আপনি আরও বেশি তথ্য পাবেন?

নিরাপত্তা টিপস্

  • কেমিক্যালের সম্পর্কে পড়ুন;
  • নিয়োগদাতা বা উৎপাদনকারীর পরামর্শ নিয়ে সংরক্ষিত সরঞ্জামাদি ব্যবহার করুন;
  • কাজ শেষে যথাযথভাবে কেমিক্যাল সংরক্ষণ করুন;
  • নির্দেশনা অনুযায়ী কোমিক্যাল ব্যবহার করুন।

শারীরিক ঝুঁকি

খুচরা বিক্রয় কারখানায় সাধারণত রক্ত বা বডি ফ্লুইডের সংস্পর্শে আসেনা। তবে কখনও আসতেও পারে। রক্ত এবং বডি ফ্লুইডের সংস্পর্শে আসা হেপাটাইটিস, এইচআইভি এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যদি কর্মক্ষেত্রে এজাতীয় কোনো ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে তবে নিয়োগকারী অবশ্যই কর্মীরা নিরাপদে কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে।

পরিস্কার রাখা 

বাথরুম পরিস্কারের সময় আপনার নানা রকমের বর্জ্য পদার্থ পরিস্কার করতে হতে পারে। যেমন-রক্ত ময়লা আবর্জনা, বমি ইত্যাদি। এগুলোর জন্য নির্দেশগুলো হলো-

  • পানি প্রতিরোধক গ্ল্যাভস রিধান করা;
  • জিনিসপত্র পরিস্কারের সময় তোয়ালে বা কাপড় জাতীয় কিছু ব্যবহার করা;
  • ব্যবহারের পরে ময়লা তোয়ালে বা গ্লাভস পানি প্রতিরোধ করে এমন আবর্জনার মধ্যে ফেলা।

ছুরি, বক্স কাটার এবং ধারালো বস্তু

দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকদের কাছে ছুরি, বক্স কাটার এবং ধারালো বস্তু থাকাটা একটা সাধারণ বিষয়। নিরাপদে কাজ করার অভ্যাস আপনার সময়কে অনেক বাঁচিয়ে দেয়।

ছুরি এবং বক্স কাটার এর ব্যবহার

  • কাজের সময় সঠিক জিনিসপত্র ব্যবহার করা এবং এগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া;
  • কোনো কিছু কাটার সময় শরীরের কাছ থেকে দুরে রাখা;
  • ধারালো জিনিসপত্র একটু আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করা;
  • কাটার সময় সমতল জায়গা ব্যবহার করা;
  • কাটা ছুরি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার না করা;
  • ছুরি সবসময় হাতের মধ্যে শক্ত করে ধরা;
  • ছুরি পরিস্কার রাখা;
  • কাজের সময় চামড়া বা শক্ত জাতীয় গ্ল্যাভস পরিধান করা।

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম

  • প্রশিক্ষণ না থাকলে অথবা অনুমতি ছাড়া কখনোই বৈদ্যুতিক উপকরণ বা এধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার 
  • ব্যবহারের পূর্বে যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে নিন। শুধুমাত্র ভালোভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন। প্রতিদিন বৈদ্যুতিক সংযোগ ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। দেখুন, কোনো তার ছেঁড়া বা কাটা আছে কিনা, সংযোগ ছেঁড়া কিনা  যেমন- প্লাগ এর সাথে তারের সংযোগ এবং তারের সাথে যন্ত্রের সংযোগ ঠিক আছে কিনা) এবং ভূ-সংযোগ দুর্বল কিনা। সমস্ত ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি সম্পর্কে আপনার সুপারভাইজারকে অবহিত করুন। এছাড়াও এ ধরনের যন্ত্রপাতিগুলোতে "ব্যবহার অযোগ্য" কথাটি লিখে চিহিৃত করে রাখুন;
  • সকল নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে দেখুন সঠিক জায়গায় আছে কিনা এবং সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। কোনো যন্ত্র বৈদ্যুতিক সংযোগে প্রবেশ করানোর আগে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ আছে কিনা দেখে নিন। শুধুমাত্র অপারেটরের যন্ত্রটি চালু করা উচিত।

সরঞ্জামাদি বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময়

  • চলমান বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা উপকরণের কাছাকাছি অবস্থান করুন;
  • আপনি যে মেশিনটি ব্যবহার করছিলেন তা সর্র্র্ম্পূণ থেমে যাওয়ার আগে মেশিন থেকে দুরে সরে যাবেন না। বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ করার পর এর পাখা সম্পূর্ণ থেমে যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই অল্প সময়েও এর দ্বারা কেউ আহত হতে পারে কারণ যন্ত্রের পাখা তখনও ঘুরছে;
  • যন্ত্রের কাটার অংশটি যেন কোনোভাবে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসতে না পারে তা নিশ্চিত করুন;
  • যেকোন ধরনের সেটিং পরিবর্তন করার পূর্বে বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ করুন। যন্ত্রের সেটিংস পরিবর্তন করা বা সমন্বয় করার প্রয়োজন হলে সবসময় যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। কারণ এটি না করলে যন্ত্রটি হঠাৎ করে চালু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শব্দ দুষণ

কিছু কিছু এলাকায় এমন কিছু শক্তিশালী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় যেগুলো শ্রবণশক্তি হ্রাস করার জন্য দায়ী। ৮ ঘন্টা ধরে কাজ করার সময় শব্দ প্রতিরোধক উপকরণ ব্যবহার করা প্রয়োজন। যদি শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিবলের বেশি হয়। শব্দের মাত্রা ৮২ ডেসিবলের বেশি হলে সকল শ্রমিকদের জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন।

নিরাপত্তা টিপস্

  • উঁচু মাত্রার শব্দযুক্ত এলাকা অথবা অল্প বা বেশি শব্দের মধ্যে কাজ করতে যাবার সময় পরীক্ষিত শব্দ প্রতিরোধক বস্তু পরিধান করা। কারণ যেকোনো সময় শব্দের মাত্রা বাড়তে বা কমতে পারে;
  • নিশ্চিত হয়ে নেয়া যে, আপনার শব্দ প্রতিরোধক বস্তু‘টি পরিবেশ বান্ধব এবং আরামদায়ক;
  • উচ্চ মাত্রায় গান না শোনা। কারণ এটি শ্রবণ শক্তি কমানোর অন্যতম কারণ হতে পারে এবং অনেক সময় সতর্ক সংকেত শোনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

জরুরি অবস্থায় ব্যবস্থা

প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে জরুরি অবস্থায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। আপনার চাকরির প্রথম দিনেই অথবা রিফ্রেসার্স ট্রেইনিং এর মাধ্যমে আপনার সুপারভাইজারের উচিত আপনাকে কর্মক্ষেত্রের জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো। যদি আপনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন, তাহলে আপনি নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে সমর্থ হবেন-

  • জরুরি ফোন নম্বরগুলো কোথায় আছে?
  • অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কোথায় আছে? কীভাবে এবং কখন ব্যবহার করা উচিত?
  • ফায়ার এলার্ম ও ফায়ার এক্সিট কোথায়?
  • বিল্ডিং থেকে অপসারণ পরিকল্পনা কী?
  • ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত?
  • জরুরি অবস্থায় বিশেষ কী ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় এবং কীভাবে করতে হয়?
  • কর্মক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা সম্পর্কিত পরিকল্পনা বা নীতিমালা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করা।

ভূমিকম্প

ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত?

নিম্নোক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করুন-

  • টেবিল অথবা ডেস্কের নিচে যান যতক্ষণ পর্যন্ত ঝাঁকুনি না থামে;
  • ঝাঁকুনি থামার আগ পর্যন্ত টেবিলের খুঁটি বা শক্ত জিনিস ধরে থাকুন;
  • পড়ে খাওয়ার সম্ভবনা আছে এমন জিনিসপত্রের নিচ থেকে সরে যাওয়া;
  • কাঁচের গ্লাস থেকে দূরে থাকা;
  • যদি আপনি গাড়িতে থাকেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেমে পড়ুন। ব্রিজ, গাছ ও পাওয়ার স্টেশন থেকে দূরে থাকুন।

আগুন

আগুন বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। যেমন-গরম করার দ্রব্য, রান্না, জলন্ত সিগারেট, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাসায়নিক দ্রব্যের সংরক্ষণ। আগুন প্রাথমিক অবস্থায় জরুরি পদক্ষেপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দূর্ভাগ্যবশত, অধিকাংশ মানুষই জানে না কীভাবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়। আগুন লাগার ক্ষেত্রে কী কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেটা পরীক্ষা করা। এজন্য নিম্নোক্ত বিষয়াবলী মনে রাখা উচিত-

  • ভবনের পরিত্যক্ত বিষয়াবলী সম্পর্কিত পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা;
  • অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অবস্থান সম্পর্কে জানা;
  • অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি আপনি আগুন ধরিয়ে দেন, তাহলে আওয়াজ করুন;
  • আপনি যদি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন, তবেই মাত্র ওই যন্ত্রটি ব্যবহার করুন।

প্রাথমিক চিকিৎসা

আহত হওয়া মাত্রই আহত ব্যক্তির কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা পৌছানো খুবই জরুরি। সবধরনের কাজের ক্ষেত্রে পাশে একটি করে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স রাখা উচিত। অধিকাংশ ছোট খাটো কর্মক্ষেত্রগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসার জিনিসপত্র রাখা হয়। যেমন-ব্যান্ডেজ,কাঁচি, গ্লাভস ইত্যাদি রাখা প্রয়োজন। আর এই সকল চিকিৎসার জিনিসপত্র কর্মক্ষেত্রে কোথায় এবং কীভাবে পাওয়া যাবে, কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়ে আপনাকে তথ্য প্রদান করা। আপনি যদি প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন, তবে এই বিষয়ে আপনার যা জানা উচিত-

  • আঘাতপ্রাপ্ত হবার পর কোনো এ্যাম্বুলেন্স না থাকলে আপনি কীভাবে সাহায্য পাবেন;
  • কে ঘটনার রির্পোট করবে;
  • প্রাথমিক চিকিৎসার রুম বা ফার্স্ট এইড কিট সহজলভ্য কিনা।


নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন –

প্রশ্ন-১: সুস্থ ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র পরিচালনার জন্য শ্রমিকদের কী কী দায়িত্ব থাকা দরকার?

প্রশ্ন-২: পিপিই কী? কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত কিছু পিপিই উল্লেখ করুন?

প্রশ্ন-৩: কীভাবে বিপজ্জনক পণ্য থেকে দুর্ঘটনা এড়াবেন?

প্রশ্ন-৪: জরুরি অবস্থায় কী করবেন?


উত্তর-১

সুস্থ ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র পরিচালনার জন্য শ্রমিকদের যে সকল দায়িত্ব থাকা দরকার, সেগুলো নিম্নোক্ত-

  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানা বা অনুসরণ করা;
  • কাজ শুরু করার র্পূবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা;
  • নিরাপদে কাজ করা এবং সহকর্মীকে একইভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করা;
  • তাৎক্ষণিকভাবে অনিরাপদ অবস্থাগুলো সংশোধন করা;
  • আঘাত পাওয়া মাত্রই সুপারভাইজারকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রির্পোট করা।

উত্তর-২

পিপিই হচ্ছে নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা বস্ত্র যেটা সার্বিকভাবে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আপনাকে আহত বা সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে। কর্মক্ষেত্রে যেসকল পিপিই ব্যবহৃত হয়-

  • এ্যাপ্রোন/নিরাপত্তা পোশাক- যখন দ্রব্য উৎপাদনের কাজ করা হয়;
  • হ্যান্ড গ্লাভস এবং নিরাপদ জুতা- আবর্জনা সরানো বা স্টোরেজ এলাকায় কাজের সময় পরিধান করা;
  • মাস্ক- রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং পরিস্কার করার সময়;
  • হেয়ারনেট/কেপ- সরঞ্জামাদি পরিস্কার করার সময় পরিধান করা;
  • চোখের সুরক্ষা গগজ- রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরিধান করা;
  • শ্রবন সুরক্ষা- উচ্চমাত্রার শব্দ থেকে সুরক্ষিত থাকার ক্ষেত্রে পরিধান করা।

উত্তর-৩

বিপজ্জনক পদার্থ থেকে নিরাপত্তা টিপসগুলো নিম্নোক্ত দেয়া হলো-

  • কেমিক্যালের ব্যবহার সম্পর্কে পড়ুন;
  • নিয়োগদাতা বা উৎপাদনকারীর পরামর্শ নিয়ে সংরক্ষিত সরঞ্জামদি ব্যবহার করুন;
  • কাজ শেষে যথাযথভাবে কেমিক্যাল সংরক্ষণ করুন;
  • নির্দেশনা অনুযায়ী কেমিক্যাল ব্যবহার করুন।

উত্তর-৪

জরুরি অবস্থায় করণীয়ঃ

  • জরুরি ফোন নম্বর প্রদর্শিত স্থান খুঁজে বের করা;
  • আগুন লাগা মাত্রই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র খুঁজে বের করা;
  • বিল্ডিং এর জন্য পরিত্যাক্ত বস্তু অপসারণের পরিকল্পনা উল্লেখ করা;
  • জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের জন্য বিশেষ যন্ত্র খুঁজে বের করা।


বিষয়

১।  সিরামিক কারখানায় দলবদ্ধভাবে সম্পাদিত কর্ম প্রদর্শন করা।

২।  সহকর্মীদের সঙ্গে সামাজিক পার্থক্য কমানোর জন্য দ্বন্দ্বের সমাধান কৌশল প্রয়োগ।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১।  সিরামিক কারখানায় দলবদ্ধভাবে সম্পাদিত কর্ম প্রদর্শন করতে পারবেন।

২।  সহকর্মীদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব যা দলীয় কর্মসম্পাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন সমস্যা সমাধানে বা দ্বন্দ্বের সমাধান কৌশল প্রয়োগ করতে পারবেন।

শিখন উপকরণ

  • বই,ম্যানুয়াল
  • মডিউল বা রেফারেন্স


শিখনফলসিরামিক কারখানায় দলীয়ভাবে কাজ এবং দ্বন্দ্ব বা সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়াবলী চিহ্নিত-করণ       

                 শিখন কার্যক্রম

          বিশেষ নির্দেশনা

  • সিরামিক কারখানায় দলীয় কাজ এবং  দ্বন্দ্বের বা সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়াবলী চিহ্নিতকরণ

  • সেলফ চেক .- উত্তর করুন
  • উত্তরপত্র .- এর সাথে মিলিয়ে নিন
  • ইনফরমেশন শিট .- পড়ুন


কর্মক্ষেত্রে দলীয় কাজ এবং দ্বন্দ্ব বা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী

শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি অবশ্যই সিরামিক কারখানায় দলবদ্ধভাবে কাজ এবং দ্বন্দ্ব সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়াবলী চিহ্নিত করতে পারবেন। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে একটি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি কীভাবে সহকর্মীদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বা সমস্যাগুলো নিরসন করতে হয়ে, এই বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হবেন।

দলবদ্ধ কাজ বলতে কী বোঝায়?

দল হচ্ছে পারস্পরিক দক্ষতাসম্পন্ন একটি গোষ্ঠি যারা কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনে প্রতিশ্রতিবদ্ধ এবং নিজেদের কৃতিত্ব অর্জনে পারস্পারিকভাবে দায়বদ্ধ। তারা নিজেরা একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি বজায়  রাখে এবং নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের নিমিত্তে পারস্পারিক সহযোগী মনোভাব নিয়ে একত্রে কাজ করে। কাজের  সফলতা তখনই প্রকাশিত হয়, যখন দল তার কাজের উদ্দেশ্য অর্জনে সক্ষম হয়। একত্রে কাজ এবং অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা প্রকাশের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। দলীয় আত্মবিশ্বাসী, পারস্পারিক সম্মান, উপকারী এবং বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাব এই সবকিছুর ওপর ভিত্তি করে একটি সফল দলকে চিহ্নিত করা হয়। শুধুমাত্র একত্রে কাজ করার মানে এই না যে, তারা সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারবে। অথবা একইসাথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। একটি দল এমন কিছু লোকের সমন্বয়ে গঠিত যাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আবেগ এবং সামাজিক চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি তারা যতটা হতাশাগ্রস্থ হতে পারে আবার ততটাই একে অন্যকে সাহায্য করতে  পারে।

কার্যকরী দলবদ্ধ কাজের ফলাফল

  • একটা দল যাদের সদস্য, আকার ও  রিসোর্স কাজের সাথে মিলে যায়;
  • ভালো নেতৃত্ব ও দল গঠনে মনোযোগ;
  • একে অন্যের লক্ষ বুঝতে ও চিহ্নিত করতে দলের দ্বারা প্রতিশ্রতিবদ্ধ;
  • দলের লক্ষ্য উন্নয়ন- একটি যৌথ ভিশন;
  • কাজের একই মালিকানার ধারণা এবং কৃতিত্ব অর্জনের যৌথ দায়িত্ব;
  • সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং কাজগুলো দলের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা;
  • দলের মধ্যে সরাসরি তথ্য আদান-প্রদান;
  • দলের সদস্যদের মধ্যে সততা এবং সরলতা।

কার্যকরী দলীয় কাজের জন্য ০৬(ছয়) টি প্রধান উপাদান

১। দলের পরিচিতি

একটি দলের সদস্যরা কীভাবে আচরণ করবে এবং তারা কী অর্জন করবে এই সবকিছুই দলের সদস্যদেরসমষ্টিগত আচরণের ফলাফল। এটি বোঝা কঠিন হতে পারে যে, কীভাবে একটি দল সঠিকভাবে কাজ করে। দলের বাইরে সদস্যগণের কর্মকান্ড একদিকে দলের এবং অন্যদিকে দলের আচরণগত বিষয়াবলী সম্পর্কে বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এটা আশ্চর্যজনক নয় যে, কার্যকরী দলগত কাজে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।

তথ্য বিনিময়ে উৎসাহিত করা-

  • দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের উৎস এবং এগুলো নিরসনের উপায় সম্পর্কিত একটা দলীয় কর্মশালার আয়োজন করা;
  • আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে নিয়মিত রিপোর্টিং নিশ্চিত করা;
  • ইলেকট্রনিক মেইলের ব্যবস্থা করা যাতে প্রত্যেক সদস্য প্রকল্পের সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে।

দল গঠনে এবং দলের পরিচিতি উন্নয়নে বাস্তব পদক্ষেপ

দলের সদস্যদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করা। মূলত যখন তারা বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠান থেকে আসে তখন-

  • দলীয় নেতা এবং দলীয় সদস্যদের সনাক্ত করা;
  • প্রত্যেক অফিসের মধ্যে একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করা যেন তিনি সমন্বয় এবং সমস্যার সমাধান করিতে পারেন;
  • দিনব্যাপী কর্মশালা এবং সামাজিক ইভেন্টগুলোতে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা;
  • অফিস বা কারখানাগুলোতে ব্যাক্তিকেন্দ্রিক বা দলীয় পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা।


 ২।  দলের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য জানানো

অধিকাংশ লোক তখনই তার কাজগুলো ভালোভাবে সম্পাদন করে যখন সে তার ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত থাকে। একইভাবে, একটা দল যখনই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করবে, তখনই তারা কাজগুলো ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারবে। আর এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দলের সদস্যদের মধ্যে প্রেষণা বা উৎসাহ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে কাজগুলো সফলভাবে অর্জন করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ করে তোলে।

দল সবসময়ই তার লক্ষ্যে পৌছাতে উৎসাহী থাকে। কারণ তারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মূল বিষয়বস্তু  সম্পর্কে জানে। যখন দলের সসদ্যগণ মনে করেন যে, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে যথার্থ অবদান রাখতে পারবেন, তখন তারা নিজেদের মধ্যে এক ধরণের মালিকানা অনুভব করে এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেটা অর্জন করার চেষ্টা করে।


৩। যোগাযোগ

যোগাযোগ হচ্ছে তথ্য ও ধারণা আদান-প্রদানের একটি মাধ্যম যাতে করে একটি দল তাদের চিন্তা এবং ভাবনাগুলো একে অন্যের সাথে বিনিময় করতে পারেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি দলের জন্য খুবই উপযোগী যদি তারা তাদের জ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায়। যোগাযোগের ঘাটতি দলের অর্জনকে কমিয়ে দিতে পারে।

মুক্ত যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময়

  • দলের সদস্যদেরকে পূর্বেই অনুমান করতে সহায়তা করা যখন তারা অন্যের কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করেন;
  • বিস্ময় দ‚র করুন এবং সবার জন্য একত্রে কাজ করা সহজ করে দিন;
  • দলের সদস্যদের মধ্যে পরিচিতি এবং বিশ্বাস অর্জন করুন;
  • দলের মধ্যে একটা দৃঢ় আচরণ তৈরি করুন যেন তারা সঠিক সমাধানের মাধ্যমে নিজে নিজেই সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারেন।



৪। সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ

সহযোগিতা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয় যখন দলের সদস্যগণ তাদের লক্ষ্য ও মূল্যবোধগুলো একে অপরের সাথে বিনিময় করে দলীয় স্পিরিট বৃদ্ধি করে। এজন্য বিশ্বাস, সততা, পারস্পারিক সহানুভুতি এবং সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। দলের সদস্যদের জানা বা লক্ষ রাখা উচিত যখন তারা একজন অন্য জনের কাছে কাজ দিবে তখন যেন কাজটি সঠিকভাবেই হয় বা নষ্ট না হয়। সঠিক দল বা সদস্যরা জানে কীভাবে এটি ধরে রাখতে হয়। তারা সবসময় ও তাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মনের ভেতরে ধারণ করে। যদি তারা কোনো কারণে ব্যর্থ হয়, তবুও তারা দলকে সিডিউলের ভেতরে ধরে রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে একটু কম কার্যকরী দলের সদস্যরা নিজ নিজ কাজে বিশ্বাসী এবং বাহিরের কারো প্রতি খেয়াল রাখে না।

৫। আলাপ-আলোচনা এবং সমাধান

দলের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ধারণা বা মতামত থাকাটাই স্বাভাবিক। সবার মতামতকে একটি জায়গায় নিয়ে আসাটা দলের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা। দলের মধ্যকার মতপার্থক্য দলের সদস্যদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিন্নতা দলের মধ্যে কাজ করার শক্তি এবং সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহিত করে তোলে।


যে সকল কারণে মতবিরোধ হতে পারে-

  • দুর্লভ সম্পদের উপর বিরোধ;
  • সময়সীমা অথবা দায়িত্ব সম্পর্কে দ্বিমত;
  • ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যখন কোনো ব্যক্তি তার দলের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট পদের জন্য প্রতিযোগিতা করে;
  • বিভিন্ন ধরনের প্রত্যাশা, উচ্চাভিলাষ বা অগ্রাধিকার;
  • ভুল বুঝাবুঝি এবং দুর্বল যোগাযোগ।

৬। রিফ্লেকশন এবং সেলফ অ্যাসেসমেন্ট

অনেক সময় দলের সদস্যরা দলীয় কাজের প্রক্রিয়াকে যথাযথ গুরত্ব না দিয়ে তাদের হাতে যে কাজ আছে তার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। এছাড়া সেলফ অ্যাসেসমেন্ট সম্পর্কে দলের সদস্যদের মধ্যে বিরোধিতা থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমান কাজের পদ্ধতিগুলোর পরীক্ষা করা ও যথাযথ প্রতিফলন বের করার একটি মূল্য বা গুরুত্ব রয়েছে। নিয়মিত পর্যালোচনা করলে নিজেদের শক্তি ও দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি দূর্বলতা এবং সমস্যাগুলো সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি পায় যা দলীয় কাজের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দলীয় কাজের ধারণা প্রদানের মাধ্যমেই দলের সদস্য বুঝতে পারবেন কীভাবে একই প্রত্যাশা নিয়ে একত্রে কাজ করতে হয়। তবে দলীয়ভাবে নিচের বিষয়গুলো আলোচনা হতে পারে-

  • দলের আকার, গঠন এবং সামর্থ্য কি নির্ধারিত কাজের সাথে খাপ খায়?
  • দলের সদস্যরা কি নির্ধারিত কাজের জন্য নিজেকে পুরো দলের দায়িত্বসম্পন্ন একজন সদস্য মনে করেন?
  • দলের প্রত্যেক সদস্য কাজের লক্ষ্য বা চ্যালেঞ্জ কি ভাগ করে নিয়েছেন এবং তা সম্পন্ন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন?
  • দলের সদস্যদের মধ্যে এবং দলের সদস্যদের বাইরের অন্যদের সাথে যোগাযোগ কি কার্যকরী?
  • দলের প্রত্যেক সদস্যদের মধ্যে কি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং পূর্ণ অংশগ্রহণ রয়েছে?
  • দ্বন্দ্ববা সমস্যা সমাধানের জন্য দলের মধ্যে কি গঠনমূলক কোনো পদ্ধতি আছে?


দ্বন্দ্ব জীবনেরই অংশ। এটিকে কার্যকর এবং বোধগম্য উপায়ে নিরসন করলে তা সুসম্পর্ক এবং খারাপ সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। অলাভজনক বিষয়ের ক্ষেত্রেও এই নীতির কোন পার্থক্য নেই। যখন দ্বন্দ্ব জটিল এবং অস্বস্তিকর হয় তখন সহযোগিতা এবং আপোসের মাধ্যমে তা মীমাংসা করাটাই ভালো সিদ্ধান্ত। যে সকল দল একা একা চলে এবং এদের কোন দ্বন্দ্বও নেই এর মানে এই না যে তারা সবচেয়ে কার্যকর দল। পাশাপাশি যেসকল দল দ্বন্দ্ব জড়িয়ে পড়ে তারা সাধারণত ভালো বা কার্যকর দল নয়।দ্বন্দ্ব নিরসন করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই দুইটি নীতিতে সকলের সম্মত হতে হবে-

  • সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে সবার আগে ও সবচেয়ে বেশি বিবেচনা করতে হবে।
  • যখন ভিন্নমত দেখা দেবে, তখন সম্মানের সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করা শিখতে হবে।


দ্বন্দ্ব সংজ্ঞায়িত করা

দ্বন্দ্ব সম্পর্কে বুঝতে হলে প্রথমে জানতে হবে এটি কেন ঘটে এবং এটি প্রতিরোধ করার প্রাথমিক উপায় কী এবং কীভাবে এটি মোকাবেলা করতে হয়? দ্বন্দ্বের বিভিন্ন ধরন ও সংজ্ঞা নিম্নোক্ত উল্লেখ করা হলো-

  • মতের পার্থক্য;
  • সমস্যা মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে বিরোধ;
  • কর্মদক্ষতা এবং নির্দেশনা সম্পর্কে অভিযোগ;
  • আর্থিক মতবিরোধ;
  • আচরণগত সমালোচনা;
  • একে অন্যের সাথে বিবাদ;
  • ক্ষমতা এবং অবস্থান নিয়ে চ্যালেঞ্জ;
  • নিয়ন্ত্রণের বাহিরের হুমকি;
  • যোগাযোগ রক্ষা না করা।

দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনার জন্য আচরণ

নিম্নোক্ত বর্ণিত আচরণসমূহ বোর্ড অথবা সদস্যদের দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনায় বা নিরসনে ভালোভাবে সহায়তা করবে। এটি সাধারণ ব্যাপার মনে হলেও যারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তাদের অবস্থান থেকে চিন্তা করুন এবং দ্বন্দ্ব করুন।

নিজের অবস্থান ব্যাখা করা

যখন কোনো দ্বন্দ্ব হয় তখন আপনি কী অনুভব করেন তা কর্মীদের জানান? তারা কি অনুভব করে তা শুনুন এবং আপনি যে কাজের বাহিরে অন্য কিছু বা দ্বন্দ্ব পছন্দ করেন না তা জানিয়ে দিন।

উদাহরণ- “নির্ধারিত কাজ না করা বা যথাযথ কাজের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করাটা আমি খুবই অপছন্দ করি। এসবের কারণে আমি আমার নির্ধারিত কাজটিই করতে পারি না। তাই এই ধরনের আচরণ আমার কাছে প্রহণযোগ্য নয় এবং এর জন্য আমি কোনো সময়ও দিব না”।

আক্রমণাত্মক না হয়ে প্রত্যয়ী হওয়া

আপনার প্রতিক্রিয়া সরাসরি জানান। আপনি নিজে কীভাবে আচরণ করেন, কথা বলেন, চিন্তা করেন, অনুভব করেন তা জানান। কোনো আচরণের কারণে দ্বন্দ্বের  সূত্রপাত তা চিহ্নিত করুন।

যুক্তিযুক্ত ও শান্তভাবে কথা বলা

এ প্রক্রিয়ায় আপনি অনেক ভালোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

অন্যকে দোষ দেয়া থেকে দুরে থাকা

এটি অবস্থা বুঝতে সহায়তা করবে। এটি স্বীকৃত যে দ্বন্দ্ব দুই পক্ষকেই ক্ষতিগ্রস্থ করে। তাই অন্যকে দোষ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা

এই ধরনের পরিবেশে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কথা শুনবে। প্রত্যেকে বিশ্বাস করবে যে, সবারই নিজ নিজ কথা বলার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেকেরই অন্যের কাছ থেকে শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ পরিবেশে সবাই কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে কাজ করতে উৎসাহী হবে।

ক্ষমা করতে আগ্রহী হওয়া

এটি দ্বন্দ্ব নিরসনের অন্যতম একটি উপায়। দ্বন্দ্ব নিরসনে ক্ষমা করার মাধ্যমে ব্যক্তি তার নিজের উন্নয়ন ঘটান। আসলে এটাই দ্বন্দ্ব নিরসনের একমাত্র উপায়।

ভুলে যাওয়া

যখন কোনো দ্বন্দ্বের সমাধান হয়ে যাবে তখন ভবিষ্যতে আর পুরানো কথা না তোলাই ভালো।

সৎ হওয়া

দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্রে সৎ হতে হবে। আপনি যদি অসৎ উপায় অবলম্বন করে কিছু পেতে চান হয়ত সাময়িক ভাল হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট এর সাথে আপনার দুরত্ব তৈরি হবে। মনে রাখবেন এটি সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নয়।

কি বিষয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে তার চেয়ে মানুষ  কি ভাবছে তার ওপর গুরত্ব দেয়া। দ্বন্দ্ব  নিরসনের ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়ে শোনা একটি বড় কৌশল। শ্রবণের মাধ্যমেই মানুষ কি ভাবছে, দ্বন্দ্ব সম্পর্কে তার অনুভূতি কি তা বুঝা যায়।

নিজের এবং অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা

অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমেও দ্বন্দ্ব নিরসন করা যায়। যদি কেউ অনবরত অসম্মান প্রদর্শন করতে থাকেন তাহলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার না করে বরং দুরে সরে আসাই উত্তম। এতে দ্বন্দ্ব বেশি দ‚র গড়ায় না।

নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া

যদি আপনি কোনো ভূল করে থাকেন তাহলে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেয়া দ্বন্দ্ব নিরসনের সবচাইতে ভালো উপায়।

কোন কিছু মীমাংসা বা মেনে নেওয়ার আগ্রহ

আপনি যদি কোনো বিষয়ে আপনার অবস্থান থেকে সরে না আসেন তাহলে অন্যজন বা অন্য দলও তার অবস্থান থেকে সরে আসার সুযোগ পাবে না। দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য উভয় ব্যক্তি বা দলকেই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।

দ্বন্দ্ব নিরসনের পদক্ষেপ

দ্বন্দ্ব নিরসনের পাঁচটি পদক্ষেপ সম্পর্কে নিম্নোক্ত বর্ণনা করা হলো। যদি এই পাঁচটি পদক্ষেপ সম্পূর্ণভাবে সমাপ্ত করা যায়, তবে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

ধাপ ১। দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত ধারণা পরিস্কার করা। সমস্যাটা আসলে কী?

  • দ্বন্দ্ব কী?
  • দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলো কী?
  • কে দ্বন্দ্বের সাথে জড়িত?
  • দ্বন্দ্ব কখন শুরু হয় এবং কত সময় ধরে স্থায়ী হয়?
  • দ্বন্দ্ব কী বাস্তব? সঠিক নাকি অতিরঞ্জিত?
  • দ্বন্দ্ব সমাধান কতটা যুক্তিযুক্ত?
  • দ্বন্দ্ব নিরসন না হলে কী হয়?

ধাপ  দ্বন্দ্বে সাথে জড়িত দলগুলোর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা দ্বন্দ্ব সম্পর্কে আপনার মতামত কী?


  • দ্বন্দ্বের সাথে যারা জড়িত তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন;
  • আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং বিষয়গুলো ফোকাস করতে মনোনিবেশ করুন;
  • দলের জন্য কী ভালো জেনে নিন;
  • বোর্ড কী দেখতে চায়;
  • একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে ফলাফলগুলো সংক্ষিপ্ত করুন।

ধাপ  সমাধানগুলো চিহ্নিত করা বিকল্প উপায়গুলো কী হতে পারে?

  • সমস্যার বিভিন্ন সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করা;
  • সমাধানগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা;
  • এই সমাধানের ফলাফল কী তা জানা;
  • যৌথ উদ্যোগে দ্বন্দ্ব সমাধান করা;
  • সমাধানগুলোকে সংকীর্ণ করা এবং এগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া।

ধাপ  উপযুক্ত সমাধান নির্বাচন করা দ্বন্দ্ব নিরসনে আমরা আসলে কী করতে যাচ্ছি?

  • প্রত্যেকের জন্য ভালো সমাধান নির্ণয় করা। দলগুলোকে এই বিষয় পরীক্ষা করতে অনুমতি দেয়া;
  • দলগুলোকে শিক্ষিত করা এবং একটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করতে চুক্তিবন্ধ করা;
  • দলগুলোকে একত্রে নিয়ে আসা এবং সম্মতির ভিত্তিতে সমাধানগুলো সীমাবন্ধ করা;
  • দলগুলোকে সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রতিবদ্ধ করা। আর সাক্ষাতের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারিত করা এবং সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করা।

ধাপ  সমাধানের মূল্যায়ন এবং অনুসরণ “এই প্রক্রিয়া  সমাধান কী ভাবে কাজ করে?

  • সকল ডকুমেন্টের একটি লিখিত রিপোর্ট তৈরি করা;
  • রিপোর্টগুলো ফাইল করা এবং এগুলো আগামী ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা;
  • সকলকে নিয়ে একটা ফলোআপ মিটিং করা এবং নিশ্চিত করুন যে দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব হয়েছে;
  • সবাইকে নিয়ে বিষয়টি উপভোগ করা এবং জানান যে তারা সমস্যার মধ্য থেকে একসঙ্গে কাজ করেছে। আর সমাধান ও বিভিন্ন পদক্ষেপের ভেতর দিয়ে তারা তাদের মিশনটি পরিপূর্ণ করতে পেরেছে।

এখন আমরা চিত্রের মাধ্যমে কিছু দলীয় কাজ সম্পর্কে জানব। এটি আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে একটা কার্যকর ধারণা দিবে।

টিমওয়ার্ক

হেনরি ফোর্ড এর মতে, দলগত কাজ হচ্ছে উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি। এখন আমরা কার্যকরীভাবে দলীয় কাজের অপরিহার্য অংশগুলো সম্পর্কে জানব। নিচের চিত্রটি দেখুন-

 

এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, নেতৃত্ব গ্রহণ, একই ধরনের উদ্দেশ্য, স্পষ্ট ভূমিকা, দৃঢ় সম্পর্ক, কার্যকরী প্রক্রিয়া এই বিষয়গুলো দলগত কাজের অন্যতম চাবিকাঠি।

এগুলোর পাশাপাশি, একটি প্রতিষ্ঠানের টিম মেম্বারদের অবশ্যই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা থাকতে হবে। চলুন, এবার নিচের চিত্রটি দেখি-

  

চিত্র অনুযায়ী, টিম মেম্বারদের অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের ভিশন, মিশন ও লক্ষ্য সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। টিম অবশ্যই দক্ষ মেন্টর দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে। এটি পরবর্তীতে একটা ভালো সফলতা বয়ে আনবে।

সুতরাং, টিম মেম্বারদের মধ্যকার সম্পর্ক কাজের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, এবার নিচের ছবিটি দেখি-

  


এই চিত্রটির মাধ্যমে আমরা টিম মেম্বারদের বন্ধন, টিমের সফলতা এবং ত্যাগ স্বীকার করা দেখতে পাই। 

আমরা দেখেছি, কার্যকর দলীয় কাজের জন্য কোনো উপাদানগুলো খুবই অপরিহার্য্য। চলুন, এবার নিচের ছবিটি দেখি-

চিত্র অনুযায়ী, বিশ্বাসের অভাব, দ্বন্দ্বেরভয়, প্রতিশ্রতির অভাব, জবাবদিহিতার ঘাটতি এবং অসাবধানতা একটি কার্যকর দলীয় কাজের পথে অন্যতম প্রধান বাঁধা।

দ্বন্দ্ব

ব্যক্তি যখন উপলদ্ধি করে যে, কেউ তার সাথে নেতিবাচক আচরণ করছে তখনই দ্বন্দ্বের শুরু হয়।

কাজ সম্পর্কিত দ্বন্দ্ব

যখন প্রকল্পের সদস্যদের মধ্যে কাজ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের মতের অমিল দেখা যায়, তখন দ্বন্দ্বের শুরু হয়।

সম্পর্কের দ্বন্দ্ব

সম্পর্কের দ্বন্দ্ব মূলত সসদ্যদের কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা হিংসার মাধ্যমে শুরু হয়।

 

কিন্তু দ্বন্দ্বের মীমাংসা হচ্ছে একত্রে কাজ করার প্রধান উপায়। নিচের চিত্রটি লক্ষ করুন এবং দেখুন যেভাবে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় এবং সমাধান করা যেতে পারে-



সত্য অথবা মিথ্যা। যদি আপনার উত্তর সত্য হয় তবে সত্য এবং মিথ্যা হলে মিথ্যা দিয়ে প্রত্যেক সংখ্যার পূর্বের খালি জায়গাগুলো পূরণ করুন।

....................

দল হচ্ছে পারস্পরিক দক্ষতাসম্পন্ন একটি গোষ্ঠী যারা কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনে প্রতিশ্রতিবদ্ধ এবং নিজেদের কৃতিত্ব অর্জনে পারস্পারিকভাবে দ্বায়বদ্ধ

....................        

কাজের সফলতা তখনই প্রসারিত হয়যখন দল তার কাজের উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়

...................

ভালো নেতৃত্ব  দল গঠনে সহযোগিতা হচ্ছে কার্যকরী দলীয় কাজের ফলাফল

...................        

সদস্যদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

..................

বিভিন্ন প্রত্যাশাউচ্চভিলাষ বা অগ্রাধিকার থেকে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয় না

..................

ক্ষমা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার সবসময়ইএটা দ্বন্দ্ব  নিরসনের একটা অন্যতম উপায়

..................

দ্বন্দ্ব  নিয়ে আলোচনার প্রথম ধাপ হচ্ছে সমস্যা চিহ্নিতকরণ

..................

ব্যক্তি যখন উপলব্ধি করে যে কেউ তার সাথে নেতিবাচক আচরণ করছে তখনই দ্বন্দ্বের শুরু হয়

..................

দ্বন্দ্ব সম্পর্কে স্পষ্ট করার প্রথম ধাপ হলো সমস্যা চিহ্নিত করা

.................১০

কেউ যখন নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে বা নেতিবাচক আচরণ প্রকাশ করে তখন দ্বন্দ্ব শুরু হয়


উত্তর-১  সত্য

উত্তর-২ মিথ্যা

উত্তর-৩ সত্য

উত্তর-৪  মিথ্যা

উত্তর-৫ সত্য

উত্তর-৬ মিথ্যা

উত্তর-৭ সত্য

উত্তর-৮ মিথ্যা

উত্তর-৯ সত্য

উত্তর-১০ মিথ্যা


বিষয়বন্তু

১। সিরামিক কারখানার বিভিন্ন ভূমিকা ও দায়িত্ব এবং অবস্থান চিহ্নিত করা।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১। সিরামিক কারখানার বিভিন্ন ভূমিকা ও দায়িত্ব এবং অবস্থান চিহ্নিত করতে পারবেন।

শিখন উপকরন

  • বই, ম্যানুয়াল
  • মডিউল বা রেফারেন্স


শিখনফল : সিরামিক কারখানার বিভিন্ন ভূমিকা ও দায়িত্ব এবং অবস্থান চিহ্নিত করা।

                     শিখন কার্যক্রম

                   বিশেষ নির্দেশনা

  • সিরামক কারকানার বিভিন্ন ভূমিকা  দায়িত্ব এবং অবস্থান চিহ্নিত করা

  • ইনফরমেশন শিট .- পড়ুন
  • সেলফ চেক . - এর উত্তর প্রদান করুন
  • উত্তরপত্র . - সাথে  উত্তর মিলিয়ে নিন 


সিরামিক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে ভূমিকা, দায়িত্ব এবং অবস্থান

শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর,সিরামিক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে ভূমিকা ও কর্তব্য সনাক্ত করতে পারবেন।

কারখানার কর্মী

কাজের প্রোফাইল এবং বর্ণনা

সিরামিকশিল্প,চামড়া প্রক্রিয়া, দুগ্ধ প্রক্রিয়া, টেক্সটাইল শিল্প, এবং ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির কারখানায় কর্মীদের কাজ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়। কারখানার দায়-দায়িত্ব নির্ভর করে তারা কোন ধরনের কারখানায় কাজ করে তার উপর। সাধারণত, তাদের দ্বারা সিরামিককাচাঁমাল প্রক্রিয়াকরণ, সিরামিক পণ্য উৎপাদন, প্যাকেজিং, অপারেটিং মেশিন, পণ্য সংরক্ষণের মতো বিস্তৃত কার্যক্রম পরিচালনা করানো হয়।

দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ, পরিমাপ, মেশানো ও কাঁচামাল সংগ্রহ করা।
  • পণ্য তৈরির জন্য স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
  • প্রস্তুতকৃত পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা করা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক ফলাফল লিখে রাখা।
  • যন্ত্র পরিচালনা ও দেখাশুনা করা।
  • প্রক্রিয়াকরণ এলাকা পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা।
  • সিরামিক পণ্য উৎপাদন যন্ত্র পরিচালনা করা।
  • বিভিন্ন পণ্যের মান পরীক্ষা করা।
  • পণ্য উৎপাদনের সময় পর্যবেক্ষণ এবং পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা।
  • পণ্যের নমুনার পরীক্ষা করা এবং সিরামিক পণ্য প্যাকেজিং করার জন্য যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা।
  • শেষবারের মত সিরামিক পণ্য চেক করা।
  • পরিদর্শন ও চুড়ান্ত পণ্য প্যাকিং করা।
  •  সিরামিক পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে একত্রিতকরণ একটি গুরুত্বর্পূণ কাজ।

 দক্ষতা এবং দায়িত্ব

  • কারখানায় শিল্পজাত পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা;
  • স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা  সম্পর্কিত জ্ঞান;
  • মান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝার ক্ষমতা;
  • বিভিন্ন মেশিন এবং ব্যবহারিক দক্ষতা ব্যবহার করার ক্ষমতা;
  • ভালো যোগাযোগ দক্ষতা দলবদ্ধভাবে সম্পাদিত কর্ম প্রদান করে;
  • অনুসরণ এবং নির্দেশাবলী সম্পাদন করতে পারা;
  • সাবধান,ধৈর্যশীল,নির্ভরযোগ্য,সতর্ক এবং সঠিক থাকা।

লাইন কর্মী

উৎপাদন শিল্পে কর্মীদের লাইন শ্রমিকও বলা হয়। তারা ওই সকল ব্যক্তি যারা উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন লাইনে কাজ করছে। একটি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আলাদা আলাদা কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এটি অনেক বড় একটি কাজের অংশ।

লাইন লিডার্স

লাইন লিডার্স হচ্ছেন তারাই যারা বিভিন্ন লাইনে কর্মীদের কাজ মনিটরিং এর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। তারা লাইন এর কর্মীদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব দূর করে মানসম্পন্ন কাজ নিশ্চিত করে।

সুপারভাইজার

একটা উৎপাদন এলাকার বিভিন্ন লাইনের কর্মীদের মনিটরিং করেন সুপারভাইজার। তারা সাধারণত লাইন লিডারদের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

স্যানিটেশন কর্মী

কর্মস্থলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য স্যানিটেশন কর্মীরা কাজ করেন। এটি খুব গুরুত্বর্পূণ কাজ তবে একাজের জন্য খুব বেশি দক্ষতার  প্রয়োজন হয় না। তাই সহজে একাজের জন্য কর্মী পাওয়া যায়।

মেশিন এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী

সিরামিক উৎপাদন কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। মেশিন চালানোর জন্য কর্মীর সংখ্যাও বাড়ছে। ভবিষ্যতে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সচল রাখতে অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন হবে। এধরনের যন্ত্রপাতির মধ্যে ইলেক্ট্রিসিয়ান হচ্ছে কারখানায় সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন।



নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন-

প্রশ্ন-১:  কে বাকোন ব্যক্তি যিনি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন?

প্রশ্ন-২:  কে লাইন অপারেশনে নিয়োজিত থাকা শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা পর্যবেক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত? তারা লাইন কর্মীদের দ্বন্দ্ব নিরসনের পাশাপাশি উন্নতমানের পণ্য উৎপাদনে নেতৃত্ব দেয়?

প্রশ্ন-৩:  কে বা কারা উৎপাদন এলাকায় বিভিন্ন লাইনের কর্মদক্ষতা পর্যবেক্ষণ ও সুপারভাইজ করেন এবং কারা সাধারণত লাইন লিডারদের নির্দেশনা দেয়?

প্রশ্ন-৪:  কে বা কারা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করেন?

প্রশ্ন-৫:  কোন কর্মীর প্রধান কাজ হচ্ছে কারখানায় সুষ্ঠু কাজ নিশ্চিত করার জন্য নতুন সরঞ্জামাদির ব্যবহারের প্রতি নজর রাখা?


উত্তর-১          লাইন কর্মী

উত্তর-২          লাইন লিডার

উত্তর-৩          সুপারভাইজার

উত্তর-৪          স্যানিটেশন কর্মী

উত্তর-৫          যন্ত্রচালক বা রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী



শিরোনাম- সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ চিহ্নিত করণ।

উদ্দেশ্য- সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে সমর্থ হবেন।

সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ চিহ্নিত করণ - স্পেসিফিকেশন শিটের তালিকা অনুযায়ী।

পদ্ধতি

  • প্রশিক্ষককে অবহিত করুন যে, আপনি দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ চিহ্নিত করণেরজন্য প্রস্তুত।
  • প্রশিক্ষক এখন আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজ, কলম, পেন্সিল বা প্রয়োজনীয়সরঞ্জামাদি সববরাহ করবেন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজ, কলম বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ব্যবহারের জন্য সঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
  • নির্দেশনা অনুসরণ করে লেখা সম্পন্ন করতে হবে।
  • লেখা সম্পন্ন হলে তা সংরক্ষণ করতে হবে।
  • লেখা সম্পন্ন হলে কার্যক্ষেত্রকে আদর্শমান অনুযায়ী পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • সবশেষে অবর্জনা সঠিকভাবে অপসারণ করতে হবে।

অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা প্রদর্শন।


সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ চিহ্নিত করতে কাগজ, কলম, পেন্সিল, ইরেজার, র্শ্বাপনারইত্যাদি সরঞ্জামাদি প্রয়োজন হবে।

সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ-

  • প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ, পরিমাপ, মেশানো ও কাঁচামাল সংগ্রহ করা।
  • পণ্য তৈরির জন্য স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
  • প্রস্তুতকৃত পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা করা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক ফলাফল লিখে রাখা।
  • যন্ত্র পরিচালনা ও দেখাশুনা করা।
  • প্রক্রিয়াকরণ এলাকা পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা।
  • সিরামক পণ্য উৎপাদন যন্ত্র পরিচালনা করা।
  • বিভিন্ন পণ্যের মান পরীক্ষা করা।
  • পণ্য উৎপাদনের সময় পর্যবেক্ষণ এবং পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা।
  • পণ্যের নমুনার পরীক্ষা করা এবং সিরামক পণ্য প্যাকেজিং করার জন্য যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা।
  • শেষবারের মত সিরামক পণ্য চেক করা।
  • পরিদর্শন ও চুড়ান্ত পণ্য প্যাকিং করা।
  • সিরামক পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে একত্রিতকরণ একটি গুরুত্বর্পূণ কাজ।



সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ চিহ্নিত করণ

প্রশিক্ষণার্থীর নাম------------                                       তারিখঃ--------------


                        কার্যসম্পাদন মানদন্ড

    হ্যাঁ

    না

আমি কি-

 

 

 ১। নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রের মান বজায় রাখতে পেরেছি।

 

 

২। নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যসম্পন্ন করতে পেরেছি?

 

 

৩। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পেরেছি?

 

 

৪। কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি?

 

 

৫। সঠিক নিয়মে, সঠিক মান বজায় রেখে সিরামক শিল্পকারখানায় কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ চিহ্নিত করতে পেরেছি?    

 

 

৬। লেখা সম্পন্ন হলে রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি?

 

 

৭। লেখা সম্পন্ন হলে কার্যক্ষেত্রকে আদর্শমান অনুযায়ী পরিষ্কার করেছি?

 

 

৮। কারখানার নিয়ম নীতি অনুসারে বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি ?

 

 


ওয়ার্কিং দ্যা সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি মডিউল- সক্ষমতা নির্ণায়ক চেকলিস্ট নিম্নে দেয়া হলো-

 

                         কর্মসম্পাদন মানদন্ড

    হ্যাঁ     

    না

বিপদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজের শুরুতে বা কাজের পূর্বে তাৎক্ষণিকভাবে কাজের স্থান নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়েছে              

    □

বিপজ্জনক  অপ্রত্যাশিত কার্যকলাপ চিহ্নিত করা হয়েছে

দন্ড (ওএসএইচ)কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা  স্বাস্থ্যের মানঅনুযায়ী বিপজ্জনক  অপ্রত্যাশিত কার্যকলাপ দায়-দায়িত্বের মধ্যে থেকে সংশোধন বা দূর করা হয়েছে

কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী ঝুঁকির্পূণ যন্ত্রপাতি চিহ্নিত করার পাশাপাশি রিপোর্ট করা হয়েছে

কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তিকে জরুরি অবস্থা চিহ্নিত করে রিপোর্ট করা হয়েছে

দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনাঅগ্নিসংযোগ এবং আকস্মিক ঘটনা মোকাবেলার জন্য কর্মক্ষেত্রের নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে

সিরামিক কারখানায় কাজের ভুমিকা বা দায়িত্ব চিহ্নিত করা হয়েছে

   □

সিরামিক কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা হয়েছে

   □

একই ধরনের লক্ষ্যউদ্দেশ্য এবং কাজ সঠিক ব্যক্তির কাছে তুলে ধরা বা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে

 □

১০

কর্মস্থলের পরিবেশ অনুযায়ী নিজের কাজগুলোকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন

১১

অন্যের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন বা কাজকর্মে অবদান রাখার ক্ষেত্রে উপযুক্তভাবে নিজের দক্ষতা প্রয়োগ করতে পেরেছেন

১২

কর্মক্ষেত্রে কাজের চাহিদাবৈশিষ্ট্য  পরিবেশ অনুযায়ী নির্ধারিত কাজ পরিচালনা করতে পেরেছেন

১৩

সহকর্মীদের সাথে একত্রে কাজের মাধ্যমে কাজের চাহিদা নিশ্চিত করতে পেরেছেন

                 

 

এখন আমি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করছি

        

স্বাক্ষর -------------                                   তারিখঃ-------------