অ্যাপ্লাইং ওএসএইচ প্রাক্টিসেস ইন দ্যা ওয়ার্কপ্লেস
৩ সপ্তাহ

1. সূচিপত্র

যেভাবে সক্ষমতাভিত্তিক এই শিখন উপকরণ ব্যবহার করতে হবে 

মডিউলের বিষয়বস্তু 

শিখনফলঃ ১- ওএসএইচ ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং রিপোর্টকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.১-১ কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিসমূহ

সেলফল চেক ২.১-১

উত্তরপত্র ২১-১

কার্যক্রম পত্র ২.১

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা ২,১-১

ইনফরমেশন শিট ২,১-২ নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত

সেলফ চেক ২.১-২

উত্তরপত্র ২.১-২

শিখনফল-২: নিরাপদে কাজ করা 

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.২-১ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত মানদন্ড

সেলফ চেক ২.২-৩

উত্তরপত্র ২.২-১

ইনফরমেশন শিট ২.২-২ ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম

সেলফ চেক ২২-২

উত্তরপত্র ২.২-২

শিখনফল-৩: জরুরি মুহূর্তে সাড়াদান প্রক্রিয়া অনুসরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.৩-১- কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত হতাহতের এবং তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা

সেলফ চেক ২.৩-১

উত্তরপত্র ২.৩-১

কার্যক্রমপত্র ২.৩-১

কার্যসম্পাদন মানদত্তের তালিকা ২,৩-১

ইনফরমেশন শিট ২.৩-২- আগুন নেভানাে প্রক্রিয়ার উপযুক্ত ব্যবহার

সেলফ চেক ২.৩-২

উত্তরপত্র ২.৩-১

শিখনফল-৪: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.৪-১ ফাইভ এস পদ্ধতি

সেলফ চেক  ২.৪-১

উত্তরপত্র ২.৪-১

ইনফরমেশন শিট ২.৪-২ দূর্ঘটনার কারণ এবং সাধারণ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ

কার্যক্রম পরিচালনা পত্র ২.৪-২

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা ২.১-১

সক্ষমতাসমূহের পুনরালোচনা-

জেনেরিক

যেভাবে সক্ষমতাভিত্তিক এই শিখন উপকরণ ব্যবহার করতে হবে 

মডিউলের বিষয়বস্তু 

শিখনফলঃ ১- ওএসএইচ ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং রিপোর্টকরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.১-১ কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিসমূহ

সেলফল চেক ২.১-১

উত্তরপত্র ২১-১

কার্যক্রম পত্র ২.১

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা ২,১-১

ইনফরমেশন শিট ২,১-২ নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত

সেলফ চেক ২.১-২

উত্তরপত্র ২.১-২

শিখনফল-২: নিরাপদে কাজ করা 

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.২-১ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত মানদন্ড

সেলফ চেক ২.২-৩

উত্তরপত্র ২.২-১

ইনফরমেশন শিট ২.২-২ ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম

সেলফ চেক ২২-২

উত্তরপত্র ২.২-২

শিখনফল-৩: জরুরি মুহূর্তে সাড়াদান প্রক্রিয়া অনুসরণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.৩-১- কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত হতাহতের এবং তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা

সেলফ চেক ২.৩-১

উত্তরপত্র ২.৩-১

কার্যক্রমপত্র ২.৩-১

কার্যসম্পাদন মানদত্তের তালিকা ২,৩-১

ইনফরমেশন শিট ২.৩-২- আগুন নেভানাে প্রক্রিয়ার উপযুক্ত ব্যবহার

সেলফ চেক ২.৩-২

উত্তরপত্র ২.৩-১

শিখনফল-৪: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ

শিখন কার্যক্রম

ইনফরমেশন শিট ২.৪-১ ফাইভ এস পদ্ধতি

সেলফ চেক  ২.৪-১

উত্তরপত্র ২.৪-১

ইনফরমেশন শিট ২.৪-২ দূর্ঘটনার কারণ এবং সাধারণ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ

কার্যক্রম পরিচালনা পত্র ২.৪-২

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা ২.১-১

সক্ষমতাসমূহের পুনরালোচনা-


সম্পন্ন হয়েছে

এই মডিউলে প্রশিক্ষণ উপকরণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই কার্যক্রমগুলো আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে। ওয়ার্ক ইন দ্যা সিরামিক একটি অন্যতম সক্ষমতা। এই সক্ষমতাটি এনটিভিকিউ লেভেল-১ পেশার মেশিন চালানোর জন্য প্রয়োজন। এই পেশার একজন মিডিয়াম পর্যায়ের দক্ষ কর্মীর জন্য যে জ্ঞান, দক্ষতা ও আচরণ প্রয়োজন তা এই কোর্সে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

এই মডিউলে বর্ণিত শিখনফল অর্জনের জন্য আপনাকে কতগুলো ধারাবাহিকভাবে শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এইসব কর্মকান্ড একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে বা অন্যত্রও সম্পন্ন করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট কর্ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য শিক্ষণীয় বিষয়ও কর্মীদেরকে আয়ত্ব করতে হবে।

শিক্ষা কার্যক্রমের ধারা জানার জন্য মডিউলে বর্ণিত “শিখন কার্যক্রম” অংশটি অনুসরণ করুন। ধারাবাহিকভাবেজানার জন্য সূচিপত্রে ইনফরমেশন শিট, শিখন কার্যক্রম, শিখন ফল এবং উত্তরপত্রে পৃষ্ঠা নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট পাঠের সাথে সঠিক সহায়ক উপাদান সম্পর্কে জানার জন্য “শিখন কার্যক্রম” অংশটি দেখতে হবে। এই শিখন কার্যক্রম অংশ আপনার সক্ষমতা অর্জনের জন্য রোড ম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।

ইনফরমেশন শিটটি পড়ুন। এতে কাজ সম্পর্কে এবং সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করার সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। ইনফরমেশন শিটটি পড়া শেষ করে‘সেলফ চেক শিট’ এ উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করুন। শিখন গাইডের ইনফরমেশন শিট অনুসরণ করে‘সেলফ চেক’ করুন। একজন কর্মী কীভাবে কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে সেটি জানতে ‘সেলফ চেক’ আপনাকে সহযোগিতা করবে। ‘সেলফ চেক’ কতটা সঠিক হয়েছে তা জানার জন্য উত্তরপত্র দেখুন। একজন কর্মী কীভাবে কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করেছে সেটি জানতে ‘সেলফ চেক শিট’ আপনার সহযোগিতা করবে। ‘সেলফ চেক শিট’ কতটা ভালো করেছেন তা জানতে ‘উত্তরপত্র’ দেখুন।

কার্যক্রমপত্রে নির্দেশিত উপায়ে যাবতীয় কর্মসম্পাদন করুন। এখানেই আপনি নতুন সক্ষমতা অর্জনের পথে আপনার নতুন জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবেন।

এই মডিউল অনুযায়ী কাজ করার সময় নিরাপত্তা বিষয়টি সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকবেন। কোনো বিষয়ে জানার থাকলে ফ্যাসিলিটেটরকে প্রশ্ন করতে সংকোচ করবেন না।

এই শিখন গাইডে নির্দেশিত সব কাজ শেষ করার পর অর্জিত সক্ষমতা অ্যাসেস করা হবে যে, আপনি পরবর্তী মূল্যায়নের জন্য কতটুকু উপয্ক্তু। প্রয়োজনীয় সব সক্ষমতা অর্জন হয়েছে কিনা তা জানার জন্য মডিউলের শেষে সক্ষমতা মানদন্ড এর।


মডিউলের শিরোনাম- কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ অনুশীলন ও প্রয়োগ

মডিউলের বর্ণনা

কর্মক্ষেত্রে পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যে সব জ্ঞান, দক্ষতা এবং মনোভাব সনাক্ত এবং প্রয়োগ করতে হবে তার সবই এই মডিউলে রয়েছে। এই মডিউলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ঝুঁকি সনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং রিপোর্টকরণ, নিরাপদে কর্মসম্পাদন, জরুরি মুহূর্তে সাড়াপ্রদান প্রক্রিয়ার অনুসরণ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রাখা, নিরাপদ পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানো। এই মডিউলে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তথ্যপত্র, স্ব-মূল্যায়ন এবং কার্যক্রমপত্র।

ন্যূনতম সময়ঃ ৩০ ঘন্টা

শিখনফল

এই মডিউলটি শেষ করার পর আপনি যা করতে সমর্থ হবেন তা হলো-

১. ওএসএইচ ঝুঁকি সনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং রিপোর্ট করতে পারবেন।

২. নিরাপদে কর্মসম্পাদন করতে পারবেন।

৩. জরুরি মুহূর্তে সাড়াপ্রদান প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারবেন।

৪. কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তার উন্নয়ন করতে পারবেন ।

 

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১. কাজ শুরুর আগে কিংবা কাজ চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরনের ওএসএইচ ঝুঁকি আছে কিনা তানিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।

২. ঝুঁকি এবং অপ্রত্যাশিত কার্যক্রম চিহ্নিত এবং সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

৩. ওএসএইস ঝুঁকি এবং দুর্ঘটনায় কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে সঠিক ব্যক্তির নিকট রিপোর্ট করতেপারবেন।

৪. নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত চিহ্নিতকরণ এবং তা অনুসরণ করতে পারবেন।

৫. কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ অনুশীলনের প্রয়োগ করতে পারবেন।

৬. সঠিকভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম বাছাই করে এবং তা পরিধান করতে পারবেন।

৭. জরুরি পরিস্থিতি চিহ্নিত করতে এবং কর্মক্ষেত্রে রিপোর্টিংয়ের নিয়মানুযায়ী রিপোর্ট প্রণয়ন করতেপারবেন।

৮. জরুরি মুহূর্তের ধরন এবং কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে জরুরি মুহূর্তের প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতেপারবেন।

৯. দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড এবং জরুরি মুহূর্ত মোকাবেলার জন্য কর্মক্ষেত্রের প্রক্রিয়াগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ যখনই সম্ভব অনুসরণ করতে পারবেন।

১০. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে এবং নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

১১. ঝুঁকি মূল্যায়ন করার পর যেসব সুপারিশ আসবে সেগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ বাস্তবায়ন করতেপারবেন।

১২. ওএসএইচ কার্যসম্পাদন উন্নয়নের সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট তা উত্থাপনকরতে সক্ষম হবেন।

১৩. কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে নিরাপত্তা রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন।



বিষয়বস্তু

১. কাজ শুরুর আগে কিংবা কাজ চলাকালীন সময় কর্মক্ষেত্র নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে দেখা যে কোনোরকম ওএসএইচ ঝুঁকি আছে কিনা।

২. ঝুঁকি এবং অপ্রত্যাশিত কার্যসম্পাদন চিহ্নিত করা এবং সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া।

৩. কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ ঝুঁকি এবং দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী সঠিক ব্যক্তির নিকট রিপোর্ট করা।

৪. নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত চিহ্নিত করা এবং তা অনুসরণ করা।

 

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১. কাজ শুরুর আগে কিংবা কাজ চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের ওএসএইচ ঝুঁকি আছে কিনা তা

নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।

২. ঝুঁকি এবং অপ্রত্যাশিত কার্যক্রম এবং সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

৩. ওএসএইচ ঝুঁকি এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার প্রক্রিয়া অনুসারে সঠিক ব্যক্তির নিকট রিপোর্ট করতে পারবেন।

৪. নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত চিহ্নিত করে তা অনুসরণ করতে পারবেন।

 

শর্তাবলি

• প্রশিক্ষণার্থীদের নিম্নলিখিত উপকরণ বা সরঞ্জামগুলো অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে-

• ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম

 

শিখন উপকরণ

• বই, ম্যানুয়াল

• মডিউল বা রেফারেন্স



শিখনফলঃ ওএসএইচ ঝুঁকি সনাক্তক, নিয়ন্ত্রণ এবং রিপোর্টকরণ।

 

শিখন কার্যক্রম

বিশেষ নির্দেশনা

 

কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ

 

 

 

নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত পরিচিতি করুণ

 

 

 

 

 

• ইনফরমেশন শিট ২,১-১ পড়ুন।

• ২.১-১ এর সেলফ চেক করুন।

• উত্তরপত্র ২.১-১ এর সাথে আপনার উত্তর মিলিয়ে নিন।

• কার্যক্রমপত্র ২.১-১ অনুসারে কাজ করুন।

• কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা ব্যবহার করে যাচাইকরুন।

• ইনফরমেশন শিট ২.১-২ পড়ুন।

• সেলফ চেক ২.১-২ এর উত্তর করুন।

• উত্তরপত্র ২.১-২ এর সাথে আপনার উত্তর মিলিয়ে নিন।



শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি

চিহ্নিত করতে পারবেন।

কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি 

সাবধানতা অবলম্বন এবং সাধারণ জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। একটি নিরাপদ কাজের পরিবেশে সাধারণত কোনো দুর্ঘটনা ঘটে না। চাকরি নিরাপদ করতে হলে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে। কর্মরত সবাইকে কীভাবে কর্মক্ষেত্রে নিরাপদে রাখা যায় সেই কাজগুলো করতে হবে। যেকোনো চাকরিতেই সম্ভাব্য অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে। সেটি শিল্পকারখানাতেই হােক আর হস্তচালিত কাজেই হোক। এইসব ঝুঁকির মধ্যে নিরাপদে কাজ করতে শেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি কীভাবে একজন দক্ষ শ্রমিক হতে হয় তা শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

 নতুন চাকরিতে প্রবেশ করলে আপনাকে অবশ্যই নিরাপত্তার কথাটা মাথায় রাখতে হবে। আপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনার নিজের। আর আপনাকে অবশ্যই সেই দায়িত্ব নিতে হবে।

 কিছু কিছু ঝুঁকি আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে আহত বা অসুস্থ করে ফেলতে পারে। আবার কিছু কিছু ঝুঁকি আপনাকে হয়ত অনেক ধীরে ধীরে আহত কিংবা অসুস্থ করে তুলতে পারে। সে কারণে শ্রমিকদের উচিত সব ধরনের ঝুঁকিকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। এমন কি তাৎক্ষণিকভাবে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা নেই এমন ঝুঁকিকেও গুরুত্ব দিতে


পরিবেশগত ঝুঁকি

১. শারীরিক ঝুঁকি: বস্তু এবং শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে সাধারণত এই ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়ে থাকে।


• অত্যধিক শব্দ

• অপর্যাপ্ত আলো।

• অত্যধিক তাপমাত্রা

• অত্যধিক চাপ

• ভাইব্রেশন

• রেডিয়েশন

• অপর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন

• এলোমেলো জায়গা

• শ্রমিকের অসাবধানতা

২। রাসায়নিক ঝুঁকি: বাষ্প, গ্যাস, ধুলা, উগ্র বা ঝাঁঝালো গন্ধের ধোঁয়া, কুয়াশা ইত্যাদি নিঃশ্বাসের সাথে এগুলো শরীরে প্রবেশ করে ঝুঁকির সৃষ্টি করে। শরীরের ত্বকে এগুলো লেগে ঝুঁকির সৃষ্টি করে।


• হালকা কুয়াশা: তরল পদার্থের ক্ষুদ্রকণিকা যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়।

• গ্যাস: বস্তু যা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। কিন্তু কক্ষের তাপমাত্রায় এটি ভাসমান থাকে।

• বাষ্প: তরল বস্তু যখন কক্ষের তাপমাত্রায় বাস্পীভূত হয়।

• ধুলা- ক্ষতিকর কঠিন বস্তু যখন চিত্র ২ রাসায়নিক অনুঘটক মেশিন দ্বারা গুঁড়ো করা হয়, কাটা হয় কিংবা চূর্ণ করা হয়।

• উগ্রগন্ধের ধোয়া- বাতাসে গ্যাস ঘন অবস্থায় থাকে। রাসায়নিকভাবে এটি পরিবর্তিত হয়ে সুক্ষ্ম কণায় পরিণত হয়। এটি বাতাসে ভেসে বেড়ায়।


শরীরে ক্ষতিকর বস্তু প্রবেশের চারটি পথ

১. নিঃশ্বাসঃ নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস শরীরে প্রবেশের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। এটি সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ।

২. গলাধঃকরণঃ বিষাক্ত বস্তু খাদ্যনালির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।

৩. বিশোষণ: বিষাক্ত বস্তু ত্বকের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করে।

৪. ইনজেকশন: বিষাক্ত বস্তু ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। যেমন- সূচের মাধ্যমে। তবে এটা সাধারণত কম ঘটে থাকে। এই পথেই শরীরে সরাসরি বিষাক্ত বস্তু প্রবেশ করে।

৩. জৈবিক ঝুঁকি: 

 

জীবন্ত বস্তু থেকে যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয় সেটি হলো জৈবিক ঝুঁকি। যেমন- পোকামাকড়, ছত্রাক, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট দূষণ, স্যানিটেশন, হাউসকিপ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকলে। যেমন- পানযোগ্য পানিতে,কারখানার বর্জ্য অপসারণ, খাদ্য এবং ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকলে এ ধরনের দূষণ হতে পারে।


জৈবিক ঝুঁকির উপাদানসমূহ

১. ব্যাকটেরিয়া: সাধারণত এককোষী জীবটা ক্ষতিকর হতে পারে। আবার হতে পারে।

২. ভাইরাস: এই অনুজীবের বিকাশ এবং প্রজনন পোষক কোষের ওপর নির্ভরশীল।

৩. ছত্রাক: ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ পরজীবি অরগানিজম যা জীবন্ত অথবা মৃত উদ্ভিদ এবং প্রাণির ওপর জন্মে।

৪. রিকেটসিয়া : দন্ড আকৃতির ক্ষুদ্র অনুজীব। এটা ব্যাকটেরিয়ার চাইতেও ক্ষুদ্র। বংশবৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য যার আশ্রয়ের দরকার পড়ে। ক্ষুদ্র অনুজীবের সঞ্চার ঘটে মূলত মশা, পরজীবি কিট এবং উকুনের মাধ্যমে।


জৈৰিক ঝুঁকি থেকে সৃষ্ট সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা

• যক্ষ্মা

• ধনুষ্টংকার

• ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিস

• এইচআইভি এবং এইডস


ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ

• উচ্চ শ্বাসনালী সংক্রমণ

• হেপাটাইটিস বি সংক্রমণ

• এইডস

• জলাতঙ্ক


৪. কর্মদক্ষতার ঝুঁকি

কর্মক্ষেত্রে সাধারণত কর্মদক্ষতার ঝুঁকি পরিলক্ষিত হয় তা হলো- কর্মক্ষেত্র বা যন্ত্রপাতির অনুপযুক্ত ডিজাইন, অসঙ্গত লিফটিং, দুর্বল দৃশ্যমান অবস্থা, অকওয়ার্ড অবস্থা এবং গতির পুনরাবৃত্তি ইত্যাদি। এগুলোই মৃত্যু ঝুঁকির জন্য দায়ী। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত পরিবেশে চাপ বা ক্লান্তি সাধারণত দুর্ঘটনা ঘটায়।



কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিণতি

   • উৎপাদন হ্রাস পায়।

   • ভুলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়

   • উপকরণ এবং সরঞ্জামের অপচয় হয়।


কর্মক্ষেত্র ঝুঁকির কারণে স্বাস্থ্যগত যে সমস্যা হতে পারে

   • হাড় ও মাংশপেশির সমস্যা

   • নালীঘটিত সমস্যা

   • দৃষ্টি সমস্যা

   • শ্রবণ সমস্যা

   • ত্বকের সমস্যা

   • মানসিক সমস্যা।


বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিচের বক্তব্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সঠিক উত্তরটি যাচাই করুন। এরপর আপনার উত্তর পত্রে শুধু মাত্রসঠিক উত্তরটি লিখুন।


১. একটি বস্তু এবং শ্রমিকের মধ্যে শক্তির সঞ্চারের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকিকে বলা হয়-

ক. রাসায়নিক ঝুঁকি

খ. শারীরিক ঝুঁকি

গ. জৈবিক ঝুঁকি

ঘ. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি


২. ওয়েল্ডিংয়ের সময় সঠিক স্থানে হাত না রাখার কারণে ওয়েন্ডারের হাত অবশ হয়ে পড়ে। এটি কোন

ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে?

ক. রাসায়নিক ঝুঁকি

খ. শারীরিক ঝুঁকি

গ. জৈবিক ঝুঁকি

ঘ. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি


৩. বিভিন্ন বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের ঝুঁকিকে কী বলে?

ক. রাসায়নিক ঝুঁকি

খ. শারীরিক ঝুঁকি

গ. জৈবিক ঝুঁকি

ঘ. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি


৪. বিষাক্ত বস্তু গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল অর্গানের ভেতর দিয়ে অতিক্রম করলে তাকে কী বলে?

ক. গলধঃকরণ

খ. শ্বাস গ্রহণ

গ. বিশোষণ

ঘ. ইনজেকশন


৫. যে সমস্ত লোকজন প্রাণি, প্রাণিজাত পণ্য অথবা বর্জ্য নিয়ে কাজ করে তাদের সংক্রমণের যেঝুঁকিটি সবচেয়ে     বেশি কাজ করে তাকে কী বলে?

ক. রাসায়নিক ঝুঁকি

খ. শারীরিক ঝুঁকি

গ. জৈবিক ঝুঁকি

ঘ. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি


১.     খ

২.     খ

৩.     খ

৪.     ক

৫.     গ



কার্যক্রম শিরোনাম

কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ

উদ্দেশ্য

পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও অনুশীলন

উপকরণ

কাগজ, কলম

প্রক্রিয়া

 

১.প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একটি কক্ষ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য আপনার

২. আপনাকে যে কক্ষ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে সেই কক্ষের সব ঝুঁকিচিহ্নিত করুন।

৩. একটি কাগজে আপনার পর্যবেক্ষণগুলোর তালিকা করুন। এরপর সংশোধনের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা লিখুন।

অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি

কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা


বৈশিষ্ট্য

আমি কি...

হ্যাঁ

না

১. কাজ শুরুর আগে এবং কাজের সময় ওএসএইস ঝুঁকি পরীক্ষা করে দেখেছি?

 

 

২. ঝুঁকির ক্ষেত্র এবং কর্মক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য কাজসমূহ চিহ্নিকরণ করতে পেরেছি?

 

 


শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা চিহ্ন ও সংকেত চিহ্নিত করতে সক্ষম হবেন।

 

নিরাপত্তা প্রতীক ও চিহ্ন

নিরাপত্তা চিহ্ন হলো মূলত একটি চিত্র যাকে কখনও কখনও পিকটোগ্রাফ বা পিকটোগ্রাম বলে। এগুলো লিখিত শব্দ ব্যবহার করার পরিবর্তে চিত্র বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই চিহ্নগুলো সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করতে ব্যবহৃত হয়। কেননা ছবি শব্দের চাইতে বেশি তথ্য প্রদান করে থাকে। কর্মক্ষেত্রের প্রধান বিপদ চিহ্ন হিসেবে এগুলো ব্যবহার হয়। যেমন- ওয়েল্ডিং অথবা কাটাকাটির ঝুঁকি।

পূর্ব সতর্কতা হিসেবে চিহ্নের ব্যবহার করা হয়। এগুলো নিম্নলিখিত কারণে সুপারিশ করা হয়ে থাকে।

• ঝুঁকি দ্রুত বুঝতে সাহায্য করে।

• যারা পড়তে পারে এবং যারা পড়তে পারে না এমন সবাই এই চিহ্ন বুঝতে পারে ।

• চিহ্নগুলো বহুভাষী হয়ে থাকে এবং এই চিহ্ন সাধারণত সৰ ভাষাতেই অনুবাদ সম্ভব।

শিল্প কারখানাগুলোতে সাধারণত মানসম্পন্ন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এখানে এমন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যেন ব্যবহারকারী বিভ্রান্তিতে না পড়ে। এটিকে লিখিত বার্তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এটি লিখিত বক্তব্যের চেয়ে শক্তিশালী হয়।

 

শব্দ (word)

লেভেলের ওপরে যে বড় শব্দ থাকে সেটাকে বলা হয় সতর্ক শব্দ। সুনির্দিষ্ট রঙিন ব্যাকগ্রাউন্ড এবং নিরাপত্তা সংকেত

চিহ্নের একটি সংমিশ্রণ থাকে। ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকির গুরুত্বের মাত্রা বুঝতে সুবিধা হয়। এটির রঙিন ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে প্রথমেই নজর কাড়ে। সতর্কতা শব্দ সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে।


১. DANGER; তাৎক্ষণিক বিপদ ঘটাত পারে এমন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি বোঝাতে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি মেনে না চললে মৃত্যু অথবা মারাত্নক আহত হবার সম্ভাবনা থাকে। 



২. WARNING: এটি সম্ভাব্য ঝুঁকি নির্দেশ করে। এটি মেনে না চললে মৃত্যু অথবা মারাত্নক আহত হবার সম্ভাবনা থাকে।


৩. CAUTION: এটি সম্ভাব্য ঝুঁকি নির্দেশ করে। এটি মেনে না চললে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এই সতর্ক শব্দটি ব্যবহৃত হতে পারে কোনো রঙিন চিত্র ছাড়াই (যেমন- বিস্ময় চিহ্ সম্বলিত ত্রিভুজ এর মাধ্যমে।)

রঙ

যেহেতু রঙ হচ্ছে মনোযোগ আকর্ষণের প্রথম একটি মাধ্যম। রঙ দিয়ে যে সংকেতের পূর্ণ আকৃতি তৈরি করা যায় তা অর্থ উপলদ্ধির প্রথম ধাপ। আপনি এই চিহ্নের যত কাছে যাবেন গ্রাফিক চিহ্ন যে তথ্য দিয়ে থাকে তার সঙ্গে এর সুনির্দিষ্ট পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

নিরাপত্তা চিহ্নের প্রকারভেদ

১. নিয়ন্ত্রণ চিহ্ন: এই সমস্ত চিহ্নে থাকে নির্দেশনা। এই নির্দেশনা মেনে না চললে তা আইন অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ। কোম্পানির এই নিয়ম অবশ্যই পালন করতে হবে।

ক. বাধ্যবাধকতামুলক চিহ্ন: এই চিহ্নটি হলো এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ চিহ্ন যা মেনে চলতে বাধ্য। একটি নীল পাতের ওপর সাদা রঙ ব্যবহার করে এই চিহ্ন তৈরি করা হয়।



খ. নিষিদ্ধ চিহ্ন: কোনো কিছু করা অনুমোদিত নয় বোঝাতে এই চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। একটি কালো চিহ্নের ওপর লাল বৃত্ত এবং একটি লাল রঙের ব্লাশ চিহ্ন দেয়া থাকে।


২. Warning Signs: জীবনের জন্য ঝুঁকি নাও হতে পারে, এমন ধরনের ঝুঁকি অথবা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি বোঝাতে এই চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।ওয়ার্নিং চিহ্নের ওপর কালো ত্রিভুজ থাকে। আর ত্রিভুজের মধ্যে থাকে হলুদ রঙ এবং কালো চিহ্ন।


৩. Danger Signs: এই চিহ্নটি ব্যবহার করা হয় জীবনের হুমকির জন্য এমন ধরনের ঝুঁকি অথবা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়ার জন্য এই চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।

৪. Fire Signs: ফায়ার অ্যালার্ম অথবা ফায়ার ফাইটিং সরঞ্জামের ওপর এই চিহ্নগুলো দেয়া থাকে।



৪. Fire Signs: ফায়ার অ্যালার্ম অথবা ফায়ার ফাইটিং। সরঞ্জামের ওপর এই চিহ্নগুলো দেয়া থাকে।

৫. জরুরি তথ্য চিহ্ন: এই চিহ্ন জরুরি মুহূর্ত সম্পর্কিত সুযোগ সুবিধার স্থান এবং নির্দেশনা নির্দেশ করে থাকে। এই চিহ্নগুলো হলো- বহির্গমন পথ, প্রাথমিক চিকিৎসা, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ইত্যাদি। এই চিহ্নে নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে। সাদা চিহ্ন অথবা সাদা অক্ষর থাকে।

৬. সাধারণ তথ্য চিহ্ন : ভুল বোঝাবুঝি কিংবা বিভ্র্রান্তি এড়াতে এ ধরনের চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এই চিহ্নগুলো হাউসকিপিং এবং মালপত্রের ওপর ব্যবহৃত হয়।



বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিচের বক্তব্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সঠিক উত্তরটি যাচাই করুন এবং আপনার উত্তর পত্রে শুধুমাত্র সঠিক উত্তরটি লিখুন।

১. শ্রমিকদের নিরাপত্তাজনিত অনুশীলন অবহিত করতে যে ছবি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাকে কী বলে?

• Cautions (সতর্কত)

• Warnings (সাবধানতা)

• prohibition (নিষিদ্ধসমূহ)

• Safety signs (নিরাপত্তা চিহ্নসমূহ)


২. নিরাপত্তা লেভেলের দিকে তাকালে প্রথমেই কোনটি আপনার চোখে পড়ে?

• শব্দ

• রঙ

• ব্যাকগ্রাউন্ড

• সতর্কতা শব্দ


৩. সম্ভাব্য ঝুঁকি নির্দেশ করে। এটি মেনে না চললে সামান্য আহত হবার সম্ভাবনা থাকে।

• Danger (বিপদ)

• Caution (সতর্কতা)

• Warning (সাবধানতা)

• Emergency (জরুরি মুহূর্ত)


৪. নিষিদ্ধ চিহ্নের আকৃতি কেমন হয়ে থাকে?

• লাল বৃত্ত

• প্রতীকসহ অক্ষর

• অ-অনুমোদিত কাজকে নির্দেশ করে

• কালো চিহ্নের ওপর একটি লাল বৃত্ত এবং একটি ফ্ল্যাশ


৫. আইন মেনে চলতে বাধ্য এমন চিহ্ন কোনটি?

• নিয়ন্ত্রণ চিহ্ন

• বাধ্যতামূলক চিহ্ন

• নিষিদ্ধ চিহ্ন

• ওয়ার্নিং চিহ্ন



১.   ঘ

২.  ঘ

৩.  খ

৪.  ঘ

৫.  খ


শিখনফল ২- নিরাপদে কাজ করা


বিষয়বস্তু

১. কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ অনুশীলনের প্রয়োগ।

২. সঠিকভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম বাছাই ও পরিধান।


অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

১. কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ অনুশীলনের প্রয়োগ করতে পারবে।

২. সঠিকভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম বাছাই এবং তা পরিধান করতে পারবেন।


শর্তাবলি

প্রশিক্ষণার্থীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত উপকরণ বা সরঞ্জামগুলো সরবরাহ করতে হবে-

• ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম ।


শিখন উপকরণ

• বই, ম্যানুয়াল

• মডিউল বা রেফারেন্স


শিখনফল : নিরাপদে কাজ করা

শিখন কার্যক্রম

বিশেষ নির্দেশনা

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান চিহ্নিতকরণ

 

 

 

 

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরিচিতি

 -  ইনফরমেশন শিট ২.১ -১ পড়ুন।

-  সেলফ চেক-২.১ -১ এর উত্তর করুন।

-   উত্তরপত্র ২.১-১ এর সাথে মিলিয়ে নিন।

-  ইনফরমেশন শিট - ২.২-২ পড়ুন।

-  সেলফ চেক ২.২-২-এর উত্তর করুন।

-  উত্তরপত্র ২.২-২ এর সাথে মিলিয়ে নিন।


শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান চিহ্নিতকরণ এবং অনুশীলন করতে সক্ষম হবেন।


পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক মানদন্ড

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক মানদন্ড (ওএসএইচ) হলো একটি আইন ও মানদন্ড। এটি কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি কমাতে সবাই মেনে চলতে বাধ্য।

ওএসএইচ মানদন্ডের লক্ষ্য হলো ন্যূনতম সুরক্ষা প্রদান করা। যা ক্ষত, অসুস্থতা বা মৃত্যুর মতো বিপদ থেকে রক্ষাপেতে প্রত্যেক শ্রমিক অবশ্যই মেনে চলবেন। ওএসএইচ সংক্রান্ত সরকারের যে বিধি রয়েছে তা হলোপুলিশি ক্ষমতার অনুশীলন। এর উদ্দেশ্য হলো শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন।


ওএসএইচ এর ব্যাপ্তি

সকল কারখানা, কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য কর্মকান্ডে ওএসএইচ এর ব্যবহার রয়েছে। সেটি লাভজনক হোক বা না হোক। যেমন- এছাড়াও কৃষিজ এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবহার।

১. আবাসিক এলাকায়

২. স্থল,সমুদ্র, এবং আকাশ পথে যাতায়াতের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত (এগুলোর ড্রাই ডকার, গ্যারেজ,হ্যাঙ্গার এবং মেইনটেনেন্স, মেরামত, কারখানা এবং অফিস)।

৩. খনি খনন কার্যক্রমে নিরাপত্তার জন্য ওএসএইচ ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও খনিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, খনিজ পদার্থ সংরক্ষণ ও দূষণ থেকে রক্ষা পেতে এ প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ এর ব্যবহার হয়।


কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার ন্যূনতম মানদন্ড

কর্মক্ষেত্রকে ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখার জন্য প্রত্যেক কোম্পানিতে ওএসএইচ-এর প্রয়োজন। তা না হলে শ্রমিকদের শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

মালিকপক্ষকে অবশ্যই নিম্নলিখিত সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে-

• যথাযথ সিট, লাইটিং এবং ভেন্টিলেশন;

•প্যাসেজ, বহির্গমন পথ, এবং অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম

• মহিলা এবং পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেট এবং লকার সুবিধা;

• মেডিকেল, ঔষধ সরবরাহ অথবা ফাস্ট এইড কিটস;

• বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং সুবিধাদি।


নিরাপত্তা প্রক্রিয়াগুলো কারখানার অভ্যন্তরেই থাকতে হবে

• কারখানার অভ্যন্তরেই পর্যাপ্ত পরিমান এবং সবসময় চোখে পড়বে এমন রঙের এবং আকৃতির অগ্নি, জরুরি অথবা বিপদ সংকেত চিহ্ন এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা থাকবে।

• মটর গাড়ি চালকদের জন্য অন্যান্য দৃশ্যমান চিহ্ন দেয়া থাকবে। যেমন- থামুন, রাস্তা ছাড়ুন এবং প্রবেশ করবেন না ইত্যাদি চিহ্ন। নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে বিশেষ করে রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই চিহ্নগুলো কারখানার কম্পাউন্ডের ভেতর সঠিক স্থানে লাগাতে হবে।

• প্রতিবন্ধী কর্মচারিদের জন্য অবশ্যই কিছু নির্ধারিত কর্মস্থল থাকতে হবে। কারখানার মধ্যে তাদের এমন জায়গা থাকতে হবে যা তাদের চলাফেরার জন্য সুবিধাজনক হয়।

• ভবন, আঙিনা, মেশিন, সরঞ্জাম পরিষ্কার, নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ এবং স্টোরেজ, ফিলিং ম্যাটেরিয়াল ও অপারেশন প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খলভাবে সাজানোর মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

• নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা ড্রেসিং রুম, লকার রুম, বিশ্রাম রুম এবং বাথরুম থাকতে হবে।


ওএসএইচ এর অধীনে কর্তৃপক্ষ এবং কর্মচারিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব

• মানদন্ডের বিধি অনুসারে কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশাসনিক নীতিমালা গ্রহণ করা।

• যে নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তা যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করা।

• প্রতি তিনমাস পর পর নিরাপত্তা কার্যসম্পাদন, নিরাপত্তা কমিটির মিটিং এবং সুপারিশ ও সুপারিশ বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পেশ করা।

• নিরাপত্তা বিষয়ক সুপারিশ অনুসারে কাজ করা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করা।


কর্মচারির দায়িত্ব

• নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণ করা।

• অনিরাপদ কোনো কিছু দেখলে সুপারভাইজারের নিকট রিপাের্ট করা।

• স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কমিটিতে কাজ করা।

• স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কমিটিকে সহায়তা করা।

• সরকারি এজেন্সিকে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা পরিদর্শনে সহায়তা করা।


১. কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা বিষয়ক কমপক্ষে পাঁচটি মানদন্ডের তালিকা করুন।

ক. যথাযথ সিট,লাইটিং এবং ভেন্টিলেশন।

খ. পর্যাপ্ত প্যাসেজ, বহির্গমন পথ এবং ফায়ারফাইটিং সরঞ্জাম, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক টয়লেট এবং লকার সুবিধা।

গ. সঠিক নিরাপত্তা পোশাক। যেমন- প্রোটেকটিভ গিয়ার, মাস্ক, হেলমেট, সেফটি বুট, কোট অথবা গগলস।

ঘ. ওষুধ, মেডিকেল সরবরাহ কিংবা ফাস্ট এইড কিটস।

ঙ. বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা।

 

২. কারখানার ভেতরের ৫টি নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপের তালিকা করুন।

·  কারখানার অভ্যন্তরেই পর্যাপ্ত পরিমান এবং সবসময় চোখে পড়বে এমন রঙের এবং আকৃতির অগ্নি জরুরি অথবা বিপদ সংকেত চিহ্ন এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা থাকবে।

·  মটর গাড়ি চালকদের জন্য অন্যান্য দৃশ্যমান চিহ্ন দেয়া থাকবে। যেমন- থামুন, রাস্তা ছাড়ুন এবং প্রবেশ করবেন না ইত্যাদি চিহ্ন। নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে বিশেষ করে রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই চিহ্নগুলো কারখানার কম্পাউন্ডের ভেতর সঠিক স্থানে লাগাতে হবে।

·  প্রতিবন্ধী কর্মচারিদের জন্য অবশ্যই কিছু নির্ধারিত কর্মস্থল থাকতে হবে। কারখানার মধ্যে তাদের এমন জায়গা থাকতে হবে যা তাদের চলাফেরার জন্য সুবিধাজনক হয়।

·  ভবন, আঙিনা, মেশিন, সরঞ্জাম পরিষ্কার, নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ এবং স্টোরেজ, ফিলিং ম্যাটেরিয়াল ও অপারেশন প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খলভাবে সাজানোর মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

·  নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা ড্রেসিং রুম, লকার রুম, বিশ্রাম রুম এবং বাথরুম থাকতে হবে।

৩. ওএসএইস এর অধীনে কর্তৃপক্ষের তিনটি দায়িত্বের তালিকা করুন।

·  নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণ করা।

·  অনিরাপদ কোনো কিছু দেখলে সুপারভাইজারের নিকট রিপোর্ট করা।

·  স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কমিটিতে কাজ করা।

·  স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কমিটিকে সহায়তা করা।

·  সরকারি এজেন্সিকে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা পরিদর্শনে সহায়তা করা।

৪. ওএসএইচ এর অধীনে কর্মচারির তিনটি দায়িত্বের তালিকা করুন।

·  নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণ।

·  সুপারভাইজারের নিকট অনিরাপদ কোনো কিছু দেখলে রিপোর্ট কারা।

·  স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কমিটিতে কাজ করা।

·  স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কমিটিকে সহায়তা করা।

·  সরকারি এজেন্সিকে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা পরিদর্শনে সহায়তা করা।


১. কর্মক্ষেত্রের কমপক্ষে পাঁচটি স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাজনিত মানদন্ডের তালিকা করুন।

২. কারখানার ভেতরের ৫টি নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপের তালিকা করুন।

৩. ওএসএইচ এর অধীনে কর্তৃপক্ষের তিনটি দায়িত্বের তালিকা করুন।

৪. ওএসএইচ এর অধীনে কর্মচারির তিনটি দায়িত্বের তালিকা করুন।



শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম

ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম হলো এক ধরনের পোশাক অথবা বস্তু। এটা মানুষকে আহত হওয়ার অথবা অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম-এ যা থাকে

  • ইয়ার মাফস এবং ইয়ার প্লাগস।
  • রেসপিরেটরস।
  • চোখ এবং মুখ সুরক্ষার জন্য গগলস।
  • সেফটি হেলমেট এবং সান হ্যাট।
  • গ্লোভস এবং সেফটি বুট।
  • পোশাক, যেমন- এপ্রোন, ইউনিফর্ম, ভেস্ট, লাইফ জ্যাকেট ইত্যাদি।



কান সুরক্ষা

  • কর্মক্ষেত্রের অতিরিক্ত শব্দ থেকে কানকে সুরক্ষা করার জন্য ইয়ার মাস ব্যবহার করা হয়। এটি এমনভাবে তৈরি যেন এটি কানকে পুরোপুরি ঢেকে রাখতে পারে।


  • ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা হয় কর্মক্ষেত্রের অতিরিক্ত শব্দ থেকে কানকে সুরক্ষা করার জন্য। এটি এমনভাবে তৈরি যেন এটি কানকে পুরাপুরি ঢেকে রাখতে পারে।


ফুসফুস সুরক্ষা

  • রেসপিরেটর বাতাস থেকে ধুলা এবং ক্ষুদ্র কণিকা ফিল্টার করে। ধুলাবালি থেকে ফুসফুসকে রক্ষার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

মুখ সুরক্ষা।

  • সেফটি গগলস (মুখ-বর্ম) মুখের সুরক্ষার জন্য সবচাইতে ভালো। এটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় ওয়েল্ডিং হেলমেটের নিচে|


  • চোখকে ধূলাবালির হাত থেকে রক্ষা করতে এই সেফটি গগলস ব্যবহার করা হয়।



হাত সুরক্ষা

  • হাত সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে গ্লোভস। এটি তাপ, কোনো কিছু ছিটকে পড়া, রেডিয়েশন ইত্যাদি থেকে হাতকে নিরাপদ রাখে।

পা সুরক্ষা

  • চামড়া দিয়ে এমনভাবে সেফটি জুতা তৈরি করা হয় যা কোনো পড়ন্ত বস্তুর হাত থেকে পাকে রক্ষা করে।


শরীর সুরক্ষা

  • লেদার এপ্রোন হলো ক্রোম লেদার দিয়ে তৈরি। এটি একজন ওয়েল্ডারকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ এবং গরম ধাতুর ঝুঁকি থেকে বুক হতে হাঁটু পর্যন্ত রক্ষা করে।


ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জামের সঠিক ব্যবহার

নিরাপত্তা প্রচেষ্টার একটি সাধারণ উদ্দেশ্য হলো ভৌত পরিবেশে একটি পরিবর্তন নিয়ে আসা। যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। অর্থনৈতিক কারণেই এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাজনিত উন্নয়নের জন্য পিপিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও একটি স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তামূলক কর্মপরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণ না করে এগুলো স্থায়ীভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় ।

 

যথাযথ প্রশিক্ষণ

শ্রমিকদের পিপিই ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

  1. কোন কোন ক্ষেত্রে কর্মীদের অবশ্যই এই নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে তা উপলব্ধি করতে হবে।
  2. কর্মীরা যেন এই নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জামগুলো খুব সহজে এবং আরামে পরতে পারে।
  3. কর্মীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমর্থন প্রয়োজন রয়েছে।

 

মাথা সুরক্ষা

প্রত্যেকবার সেফটি হেলমেট ব্যবহার করার আগে তা ভালো করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

  1. ফাটল ধরা, ছিড়ে যাওয়া কিংবা অন্য কোনো ধরনের সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। 
  2. ব্রিম অথবা সেলে ফাটলের কোনো চিহ্ন আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এগুলো থাকলে বুঝতে হবে যে অতিরিক্ত তাপ নির্গত হয়েছে অথবা অতিরিক্ত রেডিয়েশন হয়েছে।
  3. ব্যবহারের আগে যে সমস্ত তাপ পরিবাহী উপাদান সরানো যায় না সেগুলোকে আগে থেকেই সরিয়ে রাখতে হবে।


সেফটি হ্যাটে অবশ্যই কোনো আচড় বা দাগ ফেলা যাবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দেয়া যাবে না। ছুড়ে মারা যাবে।কেননা এতে হেলমেটটি তার সুরক্ষা প্রদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।


চোখ এবং মুখমন্ডলের সুরক্ষা

চোখ সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহারে অবশ্যই ন্যূনতম কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন-

  1. যেসব বস্তুর ঝুঁকি থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য এটা তৈরি সেগুলো থেকে যেন এটি চোখকে যথেষ্ট সুরক্ষা করে।
  2. এটি পরতে যেন আরামদায়ক হয়।
  3. পরিধানকারীর চোখে যেন ভালো ভাবে খাপ খায় ।
  4. এটি যেন দেখতে সুন্দর হয়।
  5. এটা থেকে যেন কোনো সংক্রমণ না ঘটে।
  6. সহজ পরিষ্কারযাগ্যে
  7. পরিষ্কার এবং ব্যবহার উপযোগী।
  8. গুগলস্ এর নিরাপদ চশমার ফিটিং এবং কার্যকারীতা। প্রক্রিয়া ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে হবে। আর নিরাপদ চশমার জন্য বিশেষ ফ্রেমের প্র জন হয়।


কান সুরক্ষা

অতিরিক্ত শব্দ দূষণ থেকে শ্রবণেন্দ্রিয়কে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হলো এটি। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ করা যেতে পারে। এই নিয়ন্ত্রণে কাজ না হলে একমাত্র উপায় হলো এই কান সুরক্ষা ব্যবহার করা।

কিছু কিছু ইয়ার প্লাগ আছে, যা কেবল মাত্র একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া যায়। তবে ওয়ান টাইম নয়, এমন ইয়ার প্লাগ প্রতিবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার করতে হবে।

ইয়ার মাফ কানকে পুরোপুরি ঢেকে রাখে এবং এটি খুবই কার্যকরী। লম্বা চুল, চশমা, মুখের নড়াচড়া যেমন- চুইংগাম চিবানো এর সুরক্ষা কার্যকারিতা কমিয়ে ফেলতে পারে। চশমা এবং দাঁড়ির জন্য বিশেষ ধরনের কান সুরক্ষাকারী পাওয়া যায় ।



পায়ের সুরক্ষা

পড়ন্ত বস্তু, গড়িয়ে পড়া বস্তু, ধারালো বস্তু, গরম বস্তু এবং ভেজা পিচ্ছিল বস্তু থেকে পা রক্ষা করতে হবে। এজন্য শ্রমিকদের অবশ্যই ফুট গার্ড, সেফটি সু, বুট এবং লেগিংস ব্যবহার করতে হবে। গরম ধাতু অথবা ওয়েল্ডিংয়ের জিনিসপত্র নিয়ে কাজ করার সময় কখনোই খালি পায়ে কাজ করা যাবে না।



১. পিপিই কী?

২. প্রত্যেক প্রকার পিপিই-এর উদাহরণ দিন।

ক. কান সুরক্ষা

খ. চোখ ও মুখমন্ডল সুরক্ষা

গ. ফুসফুস সুরক্ষা।

ঘ. হাত এবং পা সুরক্ষা

ঙ. শরীর সুরক্ষা


উত্তর-১

ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম হলো এক ধরনের পোশাক বা বস্তু। যা মানুষকে আহত করতে অথবা অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।

উত্তর-২

পিপিএর উদারহণ

ক. কান সুরক্ষা- ইয়ার মাফস এবং ইয়ার প্লাগস।

খ. চোখ ও মুখমন্ডল সুরক্ষা - গগলস এবং মুখবর্ম।

গ. ফুসফুস সুরক্ষা- ফুসফুস সুরক্ষা রেসপেরিটর বা মাস্ক।

ঘ. হাত এবং পা সুরক্ষা - গ্লোক্স, সেফটি বুট, লেগিংস।

উ. শরীর সুরক্ষা- এপ্রোন, ইউনিফর্ম, ভেস্ট, লাইফ জ্যাকেট।



বিষয়বস্তু

  1. কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় শর্তানুসারে জরুরি পরিস্থিতি চিহ্নিতকরণ এবং রিপোর্টকরণ।
  2. জরুরি মুহূর্তের ধরন অনুসারে এবং কর্মক্ষেত্রের প্রক্রিয়া অনুসারে জরুরি মুহূর্তের প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা।
  3. দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড এবং জরুরি মুহূর্ত মোকাবেলার জন্য কর্মক্ষেত্রের যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক যখনই সম্ভব অনুসরণ করা।

 

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

  1. কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় শর্তানুসারে জরুরি পরিস্থিতি চিহ্নিত এবং রিপোর্ট করতে পারবেন।
  2. জরুরি মুহূর্তের ধরন অনুসারে এবং কর্মক্ষেত্রের প্রক্রিয়া অনুসারে জরুরি মুহূর্তের প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে পারবেন।
  3. দূর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড এবং জরুরি মুহূর্ত মোকাবেলার জন্য কর্মক্ষেত্রের যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক যথাযথ অনুসরণ করতে পারবেন।

শর্তাবলি

প্রশিক্ষণার্থীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত উপকরণ বা সরঞ্জামগুলো অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে-

  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম

শিখন উপকরণ

  • বই, ম্যানুয়াল
  • মডিউল বা রেফারেন্স


শিখনফল : জরুরি মুহূর্তে সাড়াদান প্রক্রিয়া অনুসরণ

শিখন কার্যক্রম

বিশেষ নির্দেশনা

কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত হতাহত এবং ফাস্ট

এইড ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে পরিচিতি লাভ

 

  • ইনফরমেশন শিট- ২.৩-১ পড়ুন।
  • সেলফ চেক-২.৩-১ এর উত্তর করুন।
  • উত্তরপত্র ২.৩-১ এর সাথে মিলিয়ে নিন।
  • কার্যক্রমপত্র ২.৩-১ অনুসারে কাজ করুন।
  • কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা অনুসারে •আপনার কাজ যাচাই করুন ২.৩-১।

ফায়ার এক্সটিংগুইশারের সঠিক ব্যবহার

 

  • ইনফরমেশন শিট ২.৩-২ পড়ুন।
  • সেলফ চেক - ২.৩-২ এর উত্তর দিন।
  • উত্তরপত্র ২.৩-২ এর সাথে মিলিয়ে নিন।


শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর আপনি নানান ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত হতাহতের এবং তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা এইড চিহ্নিত করতে পারবেন।

কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত হতাহতের প্রকারভেদ

প্রায় প্রত্যেকেই দুর্ঘটনা প্রতিরোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে যারা কাজ করেন, তারা শুধু নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই ভাববেন না, অন্যদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাববেন। দুর্ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান এবং পূর্ব ধারণা যদি একজন দক্ষ শ্রমিকের থাকে তাহলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়। যেকোনো প্রকল্প শুরুর আগে এটা স্মরণ রাখা ভালো যে “এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না”। দুর্ঘটনা সাধারণত ঘটে থাকে অজ্ঞতা এবং অসাবধানতার কারণে। কিছু কিছু ঝুঁকি আছে যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত অথবা অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে। আবার কিছু কিছু ঝুঁকি আছে যেগুলো অনেক পরে হতাহত অথবা অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে। দেখা গেছে যে, যেসকল শ্রমিকেরা একবারদুর্ঘটনার স্বীকার হন তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্ট থাকেন না। 

নিচে ওয়েল্ডিং সংক্রান্ত জখমের বিবরণ দেয়া হলো-

  1. পুড়ে যাওয়া : কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক জখম হচ্ছে পুড়ে যাওয়া।

 পোড়ার প্রকারভেদ বা ধরন

  1. অতি তাপের ফলে পোড়া : শুধুমাত্র আগুনের কারণেই যে পুড়ে যায় তা নয়। গরম বস্তু, দাহ্য বাষ্প, বিস্ফোরণ, গরম তরল এবং বাষ্পের সংস্পর্শেও শরীর পুড়ে যায়।
  2. রাসায়নিক বস্তুর কারণে পোড়া : যতক্ষণ না রাসায়নিক অনুঘটক ত্বকের ওপর থেকে সরানো না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তা ত্বককে পোড়াতে থাকে।
  3. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পোড়া : এই ধরনের জখমের ভয়াবহতা নির্ভর করে বিদ্যুতের কত ভোল্টেজ ছিল, শরীরের কোথায় পুড়ে গেছে এবং কতক্ষণ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিল তার উপর।

পোড়ার প্রকারভেদ

কতটা মারাত্মক জখম হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে পোড়ার শ্রেণিবিভাগ করা হয়।

  • স্বল্প মাত্রার পোড়া: এ ধরনের পোড়াতে ত্বকের ওপরিভাগ লালচে রঙ ধারণ করে এবং ব্যাথা করে। তবে কোনো হাড় ভাঙ্গে না।
  • মধ্যম মাত্রার পোড়া: ত্বকের ওপরিভাগ মারাত্বকভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ফুসকুড়ি পড়ে। হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অতি মাত্রায় পোড়া: ত্বকের ওপরিভাগ এবং ত্বকের নিচের টিস্যু সাদা হয়ে যায় কিংবা পুড়ে যায়। শুরুতে হালকা ব্যাথা থাকে। কারণ স্নায়ুর গোড়া নষ্ট হয়ে যায়।

২. ক্ষত: ক্ষত হলে শরীরের টিস্যু অথবা কলার বাইরের বা ভেতরের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যায়।

ক্ষত দুই প্রকার- ক. বদ্ধ ক্ষত খ. উন্মুক্ত ক্ষত।

ক. বদ্ধ ক্ষতের কারণ ভোতা বস্তু দিয়ে ক্ষত অথবা কালশিরে দাগ ফেলে।

  • বাহ্যিক শক্তির প্রয়োগ

খ. উন্মুক্ত ক্ষতের প্রকারভেদ

  • ফুটো হয়ে যাওয়া : চোখা বস্তু যেমন- নখ, আইস পিক, ড্যাগার ইত্যাদিতে ফুটো হয়ে যাওয়া।
  • ঘষা খাওয়া : খসখসে বস্তুতে ঘষা খাওয়া।
  • ছিড়ে যাওয়া : ভোঁতা বস্তু যেমন- শার্পনেইল, ভাঙ্গা পাথর, ভাঙ্গা গ্লাস ইত্যাদি দিয়ে ছিড়ে যাওয়া।
  • অ্যাভালশন : বিস্ফোরণ, পশুর কামড়, অসাবধানভাবে যন্ত্রের ব্যবহার ইত্যাদি।
  • চেরা : ধারালো যন্ত্রপাতি যেমন- ব্লেড, রেজর ইত্যাদি।

প্রাথমিক চিকিৎসা কী

প্রাথমিক চিকিৎসা হলো আহত অথবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তির তাৎক্ষণিক চিকিৎসা। মেডিকেল সহায়তা না পাওয়া গেলে বা বিলম্ব হলে নিজে নিজে অথবা অন্যের সাহায্য নিয়ে এই চিকিৎসা করা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য

  1. যন্ত্রণা কমানো।
  2. ভবিষ্যতে যেন আর ক্ষত কিংবা বিপদের সম্ভাবনা না থাকে।
  3. জীবনকে আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য।

প্রাথমিক চিকিত্সা প্রদানে বাঁধা

  1. পাশের পরিবেশ প্রতিকূলে না থাকা।
  2. লোকজনের ভিড়।
  3. দুর্ঘটনার স্বীকার ব্যক্তি অথবা তার আত্মীয়-স্বজনের বাঁধা।

প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং সরবরাহ

  1. প্রাথমিক চিকিৎসার মৌলিক সরঞ্জামগুলোকলা-

    • স্পিন বোর্ড
    • শর্টবোর্ড
    • পিন্ট সেট
    • পোল
    • কম্বল

২. প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সে যা যা থাকা প্রয়োজন

  • রাবিং অ্যালকোহল
  • পভিডন আয়োডিন
  • তুলা
  • গজ প্যাড
  • টং ডিপ্রেসর
  • পেলাইট
  • ব্যান্ড এইড

  • গ্লাভস
  • কাঁচি
  • ফরসেপ
  • ব্যান্ডেজ
  • ইলাস্টিক রোলার ব্যান্ডেজ
  • এক্সক্লুসিভ ড্রেসিং
  • প্লাস্টার

৩. প্রাথমিক  চিকিৎসার  সব পোশাক ব্যবহার কমায়

  • ড্রেসিং: ক্ষত বেঁধে দেয়ার জন্য এক ধরনের জীবাণুমুক্ত কাপড় ব্যবহার করা হয়।
  • ব্যান্ডেজ: জীবাণুমুক্ত এক ধরনের কাপড়।

প্রাথমিক চিকিৎসার নির্দেশনা

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পূর্ব থেকে যে কাজগুলো করতে হবে-

  1. কর্মপরিকল্পনা।
  2. প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ।
  3. প্রাথমিক সাড়া প্রদানের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মনে রাখা-

A - ask for help (সাহায্যের জন্য বলা)

I- intervene (মধ্যস্থ করা)

D –do no further harm (পরবর্তীতে আর ক্ষতি না করা )

4. সাহায্যকারীর জন্য নির্দেশনা

জরুরি ভিত্তিতে করণীয়

১. জরিপ এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন

  • ঘটনাস্থল কি নিরাপদ?
  • কী হয়েছে?
  • কতজন আহত হয়েছে?
  • সেখানে কী এমন কেউ আছেন যিনি সাহায্য করতে পারবেন ?
  • ফার্স্ট এইডার হিসেবে আপনি প্রশিক্ষিত কিনা তা চিহ্নিত করুন।
  • সেবা দিতে কি সম্মতি দিয়েছেন?
  • সাড়া পাচ্ছেন কিনা তা যাচাই করুন।

২. ইএমএস চালুকরণ

  • পরিস্থিতি বিবেচনা করে
    • প্রথমে ফোন করুন অথবা দ্রুত ফোন করুন।
    • পাশে যদি কেউ থাকে তাহলে তাকে দিয়ে ফোন করান।
    • পাশে কেউ থাকলে ডাক্তার ডাকতে বলুন।
    • আহতদের স্থানান্তরের জন্য জীবাণুমুক্ত কাপড়ের ব্যবস্থা করার জন্য কাউকে অনুরোধকরুন।
  • চিকিৎসা সহায়তা চালু করতে যে তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে-

    • কী হয়েছে?
    • স্থান কী?
    • কত আহত হয়েছে।
    • আহতের পরিমান কি এবং কতটুকু প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে?
    • আপনি যেখান থেকে ফোন দিচ্ছেন তার টেলিফোন নম্বর?

রোগির প্রথমিক অবস্থা চেক করা

  • নিশ্বাস পরীক্ষা করে দেখুন
  • রক্ত সঞ্চালন পরীক্ষা করে দেখুন

৪. মাধ্যমিক জরিপ

  • দুর্ঘটনার স্বীকার ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিন
    • তাঁর নাম জিজ্ঞেস করুন
    • জিজ্ঞেস করুকী হয়েছিল।
    • তার ঘটনার মূল্যায়ন করুন
    • করুতর লক্ষণগুলো যাচাই করুন

পালস রেডিয়াল অথবা কাটয়েড নির্ধারণ (পালস রেট)

প্রাপ্ত বয়স্ক

৬০-৯০/min

শিশু

৮০-১০০/min

বাচ্চা

১০০-১২০/min


  • শ্বাস প্রশ্বাস নির্ধারণ (রেসপিরেশন লেট)

প্রাপ্ত বয়স্ক

১২-২০/min

শিশু

১৮-২৫/min

বাচ্চা

২৫-৩৫/min


  • ডিসিএপি-বিটিসিএস (DCAP - BTCS) এর জন্য মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরীক্ষা করুন।

Deformity- বিকলাঙ্গতা

Contusion- থেতলে যাওয়া

Abration- প্রচন্ড ঘষা খাওয়া।

Puncture- ছিদ্র হয়ে যাওয়া

Burn- পুড়ে যাওয়া

Tenderness- সূক্ষ্মভাবে কেটে যাওয়া

Laceration- কেটে যাওয়া

Swelling- কোনো জায়গা ফুলে যাওয়া।


জরুরি সেবা দেয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণবিধি

১. যা করতে হবে

  • যখন সম্ভব অনুমতি নিয়ে নিন
  • সবচেয়ে খারাপটা ভাবুন। অত্যন্ত খারাপ সম্ভাবনার কথা মাথায় রাখুন ।
  • তাকে মানসিকভাবে সমর্থন দিন এবং তাকে স্বস্তি দিন।
  • তার প্রতি এবং তার শারীরিক গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন।
  • যতটা সম্ভব শান্ত এবং সরাসরি কথা বলুন।
  • সবচেয়ে বেশি জখমের আগে নিন।
  • তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তাকে ওষুধ খাওয়াতে সাহায্য করুন।
  • আহত ব্যক্তির আশেপাশে ভিড় জমানো লোকদের দূরে যেতে বলুন।
  • টাইট জামা কাপড় পরা থাকলে ঢিলা করে দিন।

২. যা করা যাবে না

  • আহতকে তার ক্ষত দেখতে দেবেন না।
  • সাহায্যের জন্য ব্যতীত আহত ব্যক্তিকে কখনই একা ফেলে যাবেন না।
  • কখনই ধারণা করবেন না যে, তার শুধুমাত্র একটি জায়গায় ক্ষত হয়েছে।
  • কোনো অবাস্তব প্রতিজ্ঞা করবেন না।
  • দ্বিধাগ্রস্ত আহত ব্যক্তির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবেন না।

আহত ব্যক্তির সঠিক পরিচর্যা

অনিরাপদ স্থান থেকে নিরাপদ স্থানে দ্রুত স্থানান্তরকে উদ্ধার বলা হয় ।

জরুরি উদ্ধারের সময় বিবেচ্য বিষয়

  1. আগুন অথবা বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকতে পারে;
  2. অক্সিজেনের অভাবে টক্সিক গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে অথবা দমবন্ধ পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে;
  3. মারাত্মক ট্রাফিক জ্যামের ঝুঁকি হতে পারে;
  4. ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে;
  5. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে;
  6. দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।

উদ্ধার পদ্ধতি

  1. কারো সাহায্য ছাড়া তাৎক্ষণিক উদ্ধারের জন্য তাকে টেনে তুলুন।
  2. একজন কর্তৃক টেনে তোলা বা স্থানান্তরের অন্যান্য পদ্ধতিকে উদ্ধার পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার পর আহত ব্যক্তিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়াকে স্থানান্তর বলে। স্থানান্তর পদ্ধতি নির্বাচন করার আগে কিছু ফ্যাক্টর বিবেচনা করতে হবে -

  1. জখমের ধরন এবং ভয়াবহতা;
  2. আহত ব্যক্তির আকৃতি;
  3. প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানকারীর শারীরিক সক্ষমতা;
  4. কতজন আহত এবং কী পরিমান সরঞ্জাম রয়েছে;
  5. দুর্ঘটনার স্থান থেকে বের হওয়ার রাস্তার ধরন;
  6. কতদূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব;
  7. আহত ব্যক্তি পুরুষ না মহিলা।

স্থানান্তরের সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে-

  1. আহত ব্যক্তির জন্য বাতাস চলাচল যেন উন্মুক্ত থাকে;
  2. রক্তক্ষরণ যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে;
  3. আহত ব্যক্তির সঠিক অবস্থানে নিরাপদ রাখতে হবে;
  4. আহত ব্যক্তির অবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে;
  5. সাপোর্টিং ব্যান্ডেজ এবং ড্রেসিং কার্যকরী আছে কিনা তা দেখতে হবে;
  6. পরিস্থিতি অনুসারে স্থানান্তর পদ্ধিতিটি হবে নিরাপদ, আরামদায়ক এবং গতিশীল;
  7. রোগীর শরীরকে একটা ইউনিট হিসেবে নড়াচড়া করতে হবে;
  8. অপেক্ষাকৃত লম্বা প্রাথমিক চিকিৎসাকারী আহত ব্যক্তির মাথার পাশে থাকবেন;
  9. রোগীকে উঠানো এবং বহন করার সময় প্রাথমিক চিকিৎসাকারী অবশ্যই তার শারীরিক সক্ষমতা দেখে নেবেন।

স্থানান্তর পদ্ধতি

১. এক ব্যক্তির মাধ্যমে সাহায্য/বহন করা/টেনে তোলা

  • হাঁটতে সাহায্য করা;
  • হাতে করে বহন করা;
  • শক্ত কাপড়ের বা প্লাস্টিক পদার্থের সরু লম্বা ফিতা দিয়ে বেঁধে বহন করা;
  • পিঠে বোঝার মতো করে বহন করা;
  • ফায়ারম্যান যেভাবে বহন করে সেভাবে বহন করা;
  • ফায়ারম্যান যেভাবে টেনে নেয় সেভাবে টেনে নেয়া;
  • কম্বল দিয়ে টেনে নেয়া;
  • কঁধ দিয়ে টেনে নেয়া;
  • কাপড় দিয়ে টেনে নেয়া;
  • পা-এর সাহায্যে টেনে নেয়া;
  • বাঁকানোভাবে টেনে নেয়া (প্রথমে মাথা- খাঁচা থেকে বের করতে হবে)।

২. দুই ব্যক্তির মাধ্যমে সাহায্য/বহন করা/টেনে তোলা

  • হাঁটতে সাহায্য করা;
  • চার হাতের আসন করে বহন করা;
  • হাত যখন স্ট্রেচার এর মতো ব্যবহৃত হয়;
  • হাত ও পা এর সাহায্যে বহন করা;
  • ফায়ারম্যান যখন তার সহকারীর দ্বারা বহন করে।

৩. তিনজনের মাধ্যমে সাহায্য/বহন করা/ টেনে তোলা

  • বাহকের ধার ঘেঁষে (সরু গলির ক্ষেত্রে) বহন করা;
  • দড়ির তৈরি দোলনা বা বিছানার সাহায্যে বহন করা।

৪. চার /ছয়/ আটজন ব্যক্তি কর্তৃক বহন করা বা টেনে তোলা

৫. কম্বল (কম্বলের সাহায্যে একত্রিত করার প্রক্রিয়া দেখানো, টেস্টিং এবং লিফটিং করা দেখানে)।

৬. দুইটি পোলের সাথে ইপ্রোভাইজড স্ট্রেটচার ব্যবহার

  • কম্বল
  • ফাকা স্যাকস
  • শাট অফ কোর্ট
  • ত্রিকোণী ব্যান্ডেজ।

৭. কমার্শিয়াল স্ট্রেটচার

৮. এম্বুলেন্স বা অপসারণ ভ্যান

৯. অন্যান্য যানবাহন।


বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নির্দেশনা : নিচের বক্তব্য গুলো খুব ভালো ভাবে পড়ুন এবং বিশ্লেষণ করুন। সঠিক উত্তর বেছে নিন। এরপর আপনার উত্তরপত্রে শুধু ‘অক্ষর’ লিখুন।

১. যখন চাকুতে আপনার আঙ্গুল কেটে যায় তখন এটাকে কি বলে?

ক. অ্যাভালশন

খ. চেরা

গ. ফুটো হয়ে যাওয়া

ঘ. ঘষা খাওয়া

২. আহত অথবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তির তাৎক্ষণিক যে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে কী বলে?

ক. যত্ন

খ. সেবা

গ. প্রাথমিক চিকিৎসা

ঘ. প্রাথমিক যত্ন এবং সেবা।

৩. আহত ব্যক্তির জরুরি সেবা দিতে এই নিয়মগুলো গুরুত্বপূর্ণ শুধুমাত্র একটি বাদে

ক. তাকে স্বস্তি এবং মানসিক সমর্থন দিন।

খ. দ্বিধাগ্রস্ত রোগীর রোগ বর্ণনায় বিশ্বাস করুন।

গ. রোগী যেন আপনাকে চিনতে পারে এই ব্যাপারটি খেয়াল রাখুন।

ঘ. গুরুতর জখম ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা আগে করুন।

৪. শুধু মাত্র একটি বাদে অন্যগুলো কর্মক্ষেত্রে জরুরি মুহূর্তে উদ্ধার কাজের জন্য নির্দেশনা-

ক. আগুনের উপস্থিতি

খ. বিস্ফোরণের ঝুঁকি

গ. ভয়ানক ট্রাফিক জ্যামের ঝুঁকি

ঘ. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবার ঝুঁকি

৫. আহত ব্যক্তিকে স্থানান্তরের সময় প্রথমে যে ব্যাপারটি খেয়াল রাখতে হবে

ক. রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে আছে।

খ. তাকে সঠিক অবস্থানে রাখা হয়েছে

গ. আহত ব্যক্তির পরিস্থিতি নিয়মিত পরীক্ষা করা

ঘ. আহত ব্যক্তির জন্য বাতাস চলাচলের পথ উন্মুক্ত রাখা।



১. খ

২. গ

৩. খ

৪. গ

৫. ঘ


শিরোনাম

জরুরি পরিস্থিতির ভূমিকা অভিনয়

উদ্দেশ্য

জরুরি পরিস্থিতির ভূমিকা অভিনয় এবং সে অনুযায়ী সাড়া প্রদান।

উপকরণ

ওয়ার্ক স্টেশন, ফাস্ট এইড কিট, জরুরি মুহুর্তে প্রয়োজনীয় বাক্স।

 

 

প্রক্রিয়া

  1. আপনার ক্লাসের ৫ জন প্রশিক্ষকের একটি গ্রুপ তৈরি করুন।
  2. মডিউলে যে জরুরি মুহুর্তগুলো আলোচিত হয়েছে সেগুলো বাছাই করুন।
  3. অভিনয়ের জন্য একটি পান্ডুলিপি তৈরি করুন।
  4.  আপনার গ্রুপ প্রস্তত হলে প্রশিক্ষককে বলুন।
  5. জরুরি মুহুর্তে কীভাবে সাড়া প্রদান করতে হবে সঠিক অভিনয় করুন।

অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি

  • কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা


মানদন্ড

আমি কি.......

হ্যাঁ

না

১. কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি এবং সঠিকভাবে নিয়ন্তণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছি?

 

 

২. ওএসএইচ র্কায সম্পাদন উন্নয়নের সুযোগ চিহ্নিত করেছি?

 

 


শিখন উদ্দেশ্য

এই ইনফরমেশন শিটটি পড়ার পর, আপনি আগুন নেভানোর উপযুক্ত প্রক্রিয়াসমূহের র্কায প্রণালী প্রদর্শন করতে পারবেন।

সঠিকভাবে অগ্নি নির্বাপক যন্তের ব্যবহার

আগুন নেভানোর জন্য আগুন এর ত্রিকোণ গরম, জ্বালানি এবং অক্সিজেন এর ব্যবহার ভেঙ্গে যাবে। অধিকাংশ আগুন নেভানোর প্রক্রিয়ায় একসাথে আগুন ঠান্ডা করে দেয় এবং অক্সিজেন দূর করে দেয়। আগুন নেভানোর জন্য কিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয়। আগুন নেভানোর জন্য ওয়েল্ডিং এর দোকানে ফোম, কার্বন- ডাই-অক্সাইড, সোডা এসিড গ্যাসি কার্টিজ এবং পাম্প ট্যাঙ্কসমূহ বা শুষ্ক রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহার বরা হয়।

অনেক সময় আগুন নেভানোর জন্য ফোম ব্যবহার করা হয়। তবে ফোম ব্যবহারের সময়, দগ্ধ তরল পদার্থের দিকে স্টিম সরাসরি স্প্রে করা ঠিক নয়।ফোমসমূহ উপর থেকে আস্তে আস্তে ফেলতে হয়।

যখন আগুন নেভানোর জন্য কার্বন- ডাই- অক্সাইড ব্যবহার করবেন, তখন সরাসরি সংযোগ খুলে ফেলুন। এরপর যত কাছ থেকে সম্ভব কার্বন- ডাই- অক্সাইড প্রয়োগ করুন। আগুনের প্রান্ত থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে কেন্দ্রের দিকে ধাবিত করুন।

আগুন নেভানোর জন্য যখন সোডা এসিড গ্যাস কার্টিজ ব্যবহার করবেন, পা ফুট রেস্টের উপর রাখুন। অগ্নিশিখার দিকে সরাসরি স্ট্রিম প্রয়োগ করুন।

আগুন নেভানোর জন্য শুষ্ক রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহার করলে অগ্নিশিখার উৎপন্ন স্থলে প্রয়োগ করুন। ক শ্রেণির আগুন হলে শুষ্ক রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহার করুন। যেখানে এখনও বস্তু আগুনে পুড়ছে সেখানে প্রয়োগ করুন। তারপর আগুন তৈরির কেন্দ্রে সরাসরি রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করুন। যেখানে জ্বালানি রাখা আছে।

বহনযোগ্য আগুন নেভানোর উপাদান ব্যবহার করে আগুন নেভানোর ধাপসমূহ হলো-

 ১. নূন্যতম ১.৮ মিটার দূর থেকে আগুনের দিকে মুখ করে দাঁড়ান।


২. আগুন নেভানোর যন্তটি শক্ত করে ধরুন এবং লক পিনটি খুলে ফেলুন।


৩. আগুনের উৎসের দিকে মুখ করে দাঁড়ান।


৪. একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরিয়ে সকল জায়গায় অগ্নি নির্বাপক ব্যবহার করুন।



আগুন লাগলে যা করতে হবে

  1. আগুন দেখার সাথে সাথেই ফায়ার ফাইটিংয়ের যে সরঞ্জাম আছে তা দিয়েই আগুন নেভাতে হবে।
  2.  ওই এলাকার সবাইকে সতর্ক করে দিতে হবে।
  3.  একজন সুপারভাইজারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যেন ওই এলাকায় দ্রূত অগ্নি সরঞ্জাম চলে আসে। আর সাথে সাথে একটি ওয়ার্র্নিং ইস্যু করতে হবে। 

কখন আগুনের সাথে লড়াই না করে এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন?

  1. আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে;
  2. বর্হিগমন পথে আগুন লাগার ভয় থাকলে;
  3. বর্হিগমন পথ যদি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকে অথবা আচ্ছন্ন হওয়ার ভয় থাকে।


বহুনির্বাচনীয় প্রশ্ন

নির্দেশনা : বিবৃতিগুলো ভালোভাবে সতর্কতার সাথে পড়ুন।সঠিক উত্তরটি বাছাই করে শুধুমাত্র র্বণটি আপনার উত্তর পত্রে লিখুন।

১. আগুনের কত মিটার দূর থেকে ফাইটার ব্যবহার করতে হবে?

    ক. ১.২ মিটার

    খ. ১.৫ মিটার

    গ. ১.৮ মিটার

    ঘ. ২.০ মিটার


২. জ্বলন্ত তরল পদার্থে স্প্রে করার জন্য কোন ধরনের ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার নিষিদ্ধ?

    ক. ফোয়াম এক্সটিংগুইশার

    খ. সোডা এসিড ফায়ার এক্সটিংগুইশার

    গ. ড্রাই ক্যামিক্যাল ফায়ার এক্সটিংগুইশার

    ঘ. কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফায়ার এক্সটিংগুইশার


৩. ফায়ার এক্সটিংগুইশারের নজেল কোন দিকে তাক করা সবচেয়ে ভালো?

    ক. জ্বলন্ত বস্তুর দিকে

    খ. অগ্নিশিখার কাছে

    গ. অগ্নিশিখার মূলে

    ঘ. অগ্নিশিখার ধারে



১. গ

২. ক

৩. গ


বিষয়বস্তু

  1. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা এবং নিয়ন্তণের পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা।
  2. ঝুঁকি মূল্যায়নের পর সুপারিশগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
  3. ওএসইচ কার্যসম্পাদন উন্নয়নের সুযোগসমূহ চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট তা উথাপন করতে পারবেন।
  4. কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে নিরাপত্তা রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।

অ্যাসেসমেন্ট ক্রাইটেরিয়া

  1. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে এবং নিয়ন্ত্রণের পদগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
  2. ঝুঁকি মূল্যায়নের পর সুপারিশগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক বাস্তবায়ন করতে পারেন।
  3. ওএসইচ কার্যসম্পাদন উন্নয়নের সুযোগসমূহ চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট তা উথাপন করতে পারবেন।
  4. কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে নিরাপত্তা রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।


শর্তাবলি

প্রশিক্ষণার্থীদের নিম্নলিখিত উপকরণ বা সরঞ্জাম অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।

  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম

শিখন উপকরণ

  • বই, ম্যানুয়াল
  • মডিউল বা রেফারেন্স


শিখনফল : কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ।

      শিখনফল

বিশেষ নির্দেশনা

ফাইভ এস উপলদ্ধিকরণ

 

দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিতকরণ এবং সাধারণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ।

  • ইনফরমেশন শিট ২.৪-১ পড়ুন।
  • সেলফ চেক- ২.৪-১ এর উত্তর দিন।
  •  উত্তরপত্রে ২.৪-১ সঙ্গে আপনার উত্তর মিলিয়ে নিন।
  • ইনফরমেশন শিট ২.৪-১ পড়ুন।
  • কার্যক্রম পত্র ২.৪-১ অনুসারে কাজ করুন।
  • উত্তরপত্র ২.৪-১ সঙ্গে আপনার উত্তর মিলিয়ে নিন।


থে এর সম্পর্ক কী তা বুঝতে পারবেন।

 

ফাইভ এস কী?

  • ভালোভাবে কাজ করার জন্য কর্মক্ষেত্রকে সংগঠিত করা, আইন, মানদন্ড এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
  • ফাইভ এস এর অনুশীলন করলে শ্রমিকদের ভেতর একটি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠে এবং একটি দক্ষ ও কার্যকর পরিবেশ গড়ে তোলে।
  • কাজকে সহজ, দ্রুত, স্বল্প খরচ, নিরাপদ এবং আরও অধিক কার্যকরী করে তুলতে এটার ব্যবহার করা হয়।

জাপানি

Seiri (সিয়েরি)

Seiton (সেইটন)

Seiso (সেইসো)

Seikestsu (সেইকেটর)

Shitsuke (সিটসুকে)

ইংরেজি

Sort (সর্ট-বাছাই করা)

Systematize (সিস্টেমাইজ-নিয়মাবদ্ধ করা)

Sweep (সুইপ-কুড়ানো)

Standardize (স্ট্যান্ডাডাইজ-মান সম্পন্ন করা)

Self-discipline (সেল্প ডিসিপ্লিন –আত্নশৃঙ্খলা)


ফাইভ এস পদ্ধতি

১. সর্ট (বাছাই করা)

প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বাছাই করে তাদের ঠিক জায়গা মতো রাখা-

ক. বাঁধা দূর করে কাজকে সহজ করে ফেলতে হবে।

খ. অপ্রয়োজনীয় জিনিসের কারণে যেন কাজের সমস্যা না করে।

গ.  অপ্রয়োজনীয় জিনিসের যত্ন নেয়ার প্রয়োজন নেই।

 ঘ. অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমানোর কোনো প্রয়োজন নেই।


২. Systematize (নিয়মাবদ্ধ করা)

প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে। যেন সেগুলো ব্যবহারের জন্য সহজে পাওয়া যায়।

ক. সবচেয়ে কোন জিনিসের প্রয়োজন বেশি হয় সে অনুসারে জিনিস সাজাতে হবে।

খ. যে সমস্ত যন্তপাতি সবচেয়ে বেশি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো হাতের কাছে রাখুন।

গ. কাজকে সহজ করার জন্য উপকরণ এমন জায়গায় রাখুন যেন দ্রুত রাখা যায় এবং নেয়া যায়।

ঘ. যন্তপাতি, সরঞ্জাম, জিগস ‍ও হাতিয়ার ইত্যাদি যেন পরিষ্কারভাবে দেখা যায়, বোঝা যায় এমনভাবে লেবেল লাগাতে হবে।



৩. Sweep ঝাড়ু (দেয়া বা কুড়ানো)

আপনার কর্মক্ষেত্র সমপূর্ণভাবে পরিষ্কার রাখুন, যেন মেঝেতে এবং যন্তপাতিতে ধুলো ময়লা লেগে না থাকে।

ক. কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার, নিরাপদ এবং আরামদায়ক রাখুন।

খ. মানসম্পন্ন উৎপাদনের জন্য পরিবেশ আরো সহজ করে ফেলুন।

গ. যন্তপাতি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ভালো আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।

ঘ. প্রত্যেক মেশিন এবং সরঞ্জামের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের দায়িত্ব দিন।



৪. Standardize (মান সম্পন্ন করা)

সবসময় কর্মক্ষেত্রকে সংগঠিত রাখা এবং পরিচ্ছন্ন রাখতে উচ্চমান বজায় রাখা।

ক. যেসব কারণে কর্মক্ষেত্র নোংরা এবং অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে তা দূর করা।

খ. শ্রমিকদের বিপদজ্জনক অবস্থা থেকে রক্ষা করা।

গ. শ্রমিকদের সৃজনশীলতা এবং মেধা প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে, যেন তারা স্বস্তি বোধ করে।



৫. Self-discipline (আত্ন-শৃঙ্খলা)

নিজ থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে হবে-

ক. সু-সংগঠিত কর্মক্ষেত্রের জন্য সিয়েরি, সেইটন, সেইসো, সেইকেটসু এই ফোর এস হলো একটি পদ্ধতি।

খ. সিটসুকে হলো একটি শর্ত যেখানে প্রত্যেক সদস্য স্বতঃস্ফুর্তভাবে, অব্যাহতভাবে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য ফোর এস অনুশীলন করবেন।

গ. পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সংস্কৃতি গড়ে তোলাই হলো সিটসুকির উদ্দেশ্য। যেখানে প্রেরণা, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই ফোর এস বাস্তবায়নের মাধ্যমে উচ্চ উৎপাদনে সক্ষম একটি পরিবেশ গড়ে তুলবে।

ঘ. কর্তৃপক্ষের উচিতি একটি ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করা।


ম্যাচিংয়ের ধরন

নির্দেশনা : নির্দেশনাগুলো ভালোভাবে পড়ুন। কলাম ‘এ’ – এর সঙ্গে কলাম ‘বি’ – এর মিল করুন। সংখ্যার আগে যে ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে শুধু সঠিক উত্তরের অক্ষর লিখুন। আলাদা একটি উত্তরপত্র ব্যবহার করুন।

কলাম ‘ক

   ------------------- ১. Standardize -মান সম্পন্ন করা

 

          ------------------২. Sort -বাছাই করা

 

        ------------------- ৩. Self-discipline –আত্নশৃঙ্খলা

 

        ------------------- ৪. Systematize -নিয়মাবদ্ধ করা

 

        ------------------- ৫. Sweep –কুড়ানো

 

 

কলাম ‘খ’

ক. আপনার কর্মক্ষেত্র সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার রাখুন মেঝেতে এবং যন্তপাতিতে যেন ধুলো ময়লা লেগে না থাকে।

 

খ. নিজ থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করা।

 

গ. প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বাছাই করে সেগুলো ঠিক জায়গামতো রাখা।

 

ঘ. সবসময় কর্মক্ষেত্রকে সংগঠিত রাখা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

 

ঙ. প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা। যেন সেগুলোকে ব্যবহারের সময় সহজে পাওয়া যায়।



১.     ঘ

২.     গ

৩.     খ

৪.     ঙ

৫.     ক


শিখন উদ্দেশ্য

এই তথ্যপত্রটি পড়ার পর আপনি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রাণের জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া যাবে তা চিহ্নিত করতে পারবেন।

 

দুর্ঘটনার কারণ

কর্মক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এই দুর্ঘটনা ছোটও হতে পারে। আবার মর্মান্তিকও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেউ মারাত্নক আহত হতে পারে কিংবা মৃত্যু্ও ঘটতে পারে।কর্মচারীদের সবসময় দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সজাগ থাকতে হবে। ম্যানেজারদের জানা থাকতে হবে সাধারণ দুর্ঘটনার সবচাইতে বেশি কারণ কোনগুলো।দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সেইসব কারণগুলো আগে থেকেই চিহ্নিত করতে হবে।

একটি দুর্ঘটনা কখনই বলে আসে না। কিন্তু এর পরিণতি হয় নেতিবাচক। তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে তা রোধ করা সম্ভব।

 

দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ

অনিরাপদ কাজ

এখানে মানুষের কাজের কথা বলা হচ্ছে যারা চাকরির নিয়মাবলি, নিরাপত্তা বিধান এবং নির্দেশনা মেনে চলে না।

অনিরাপদ কাজের কারণ-

       ১. অসংগত মনোভাব

       ২. জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব

       ৩. শারীরিকভাবে খাপ না খাওয়া

       ৪. অনুপযুক্ত যান্তিক অথবা শারীরিক পরিবেশ



চিত্র ৩২ : অনিরাপদ পরিস্থিতির উদাহরণ


অনিরাপদ পরিস্থিতি

এখানে বস্তু, মেশিন অথবা পরিবেশের ফিজিক্যাল বা রাসায়নিক গুণ অথবা বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে। যা থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং যেকোনো রকমের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।



সাধারণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ

গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি এবং এই ঝুঁকির ফলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তা চিহ্নিত করতে ওয়ার্কশপ কার্যক্রমের    একটি পদ্ধতিগত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা প্রয়োজন।

সাধারণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ

১. ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ

  • বিকল্প নিয়ন্ত্রণ
  • প্রক্রিয়া বা যন্ত্রাংশের পরিবর্তন


 

  •  সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ



পৃথকীকরণ

কোনো জায়গায় কোনো কিছু প্রবেশ করানোর পূর্বে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান প্রবেশের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে জায়গাটিকে পৃথক করে নিতে হবে।


  • ভেজা পদ্ধতি



  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেনটিলেশন

একটা বদ্ধ জায়গায় অবশ্যই ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।



২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম ব্যবহার

  • কর্মক্ষেত্রের প্রশাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ বা প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ
  • কর্মঘন্টা কমানো
  • কাজের সময়সূচির পরিবর্তন
  • কর্মচারির তথ্য এবং প্রশিক্ষণ
  • জব রোটেশন
  • সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ
  • পরিচ্ছন্নতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ

৩. ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম ব্যবহার

  • ধুলা/গ্যাস রেসপিরেটর
  • নিরাপত্তা চশমা
  • মুখের বর্ম
  • এপ্রোন
  • নিরাপত্তা জুতা
  • হেলমেট
  • গ্লোভস

নিচের টেবিলে কর্মক্ষেত্রে যেসব ঝুঁকি চিহ্নিত হয়েছে সেগুলো এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলো দেয়া হলো-

ঝুঁকি

পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ পরিমাপ

ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ

প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ

পিপিই এর ব্যবহার

১. বৈদ্যুতিক যন্তপাতির (পাওয়ার টুলস) বৈদ্যুতিক শক

পাওয়ার টুলসের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিদর্শন

 

 

২. শব্দ দুষণ

সাউন্ড প্রুফের ব্যবস্থাকরণ

 

ইয়ার প্লাগ সরবরাহ

৩. অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এবং মারাত্নক ক্ষতি

সরঞ্জামের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিদর্শন

 

 

৪. কর্মক্ষেত্রে

 

নিয়মিত পরিষ্কার করা

চোখ এবং রেসপিটরি প্রোটেকশন সরবরাহ করা।

৫. কাটাকাটি এবং গুঁড়ো করার যন্ত্রপাতিতে কোনো মেশিনগার্ড না থাকা।

মেশিনগার্ড সরবরাহকরণ

 

 

৬. কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক তাপমাত্রা

 

 

ভালো ওয়েল্ডিং ক্লথ, বর্ম এবং গগলস সরবরাহ



কাজের শিরোনাম

কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণ

 

উদ্দেশ্য

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপের জন্য পরামর্শ প্রদান।

 

উপকরণ

ওয়ার্ক স্টেশন, কাগজ, কলম

প্রক্রিয়া

১. আপনি একা একা কাজ করতে পারেন অথবা ২, ৩ জনের একটি ছোটদলের সঙ্গেও কাজ করতে পারেন।

২. নির্দিষ্ট করে দেয়া ওয়ার্ক স্টেশন আপনার প্রশিক্ষককে পর্যবেক্ষণ করতে।

৩. ওয়ার্ক স্টেমন পরিদর্শন করুন ও সব নিরাপদ-অনিরাপদ পরিস্থিতিগুলোর তালিকা করুন।

৪. আপনার পর্যবেক্ষণের জন্য নিচের টেবিল ১ কে টেমপ্লেট হিসেবে ব্যবহার করুন।

৫.টেবিল-১ এর কাজ করার পর কর্মক্ষেত্রের চিহ্নিত ঝুঁকিগুলোর জন্য কী কী নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ নিতে হবে সেগুলো টেবিল ২- এ পূরণ করুন।

৬. আপনার কাজ শেষে প্রশিক্ষকের নিকট জমা দিন।

অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি

  • কার্যসম্পাদন মানদন্ডের তালিকা


টেবিল ১.    

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ

 

অনিরাপদ কাজকর্ম

অনিরাপদ পরিস্থিতি

 

 

 

 

 

 

 

 

 


টেবিল ২.

ঝুঁকি

পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ

 

ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ

প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ

পিপিই-এর ব্যবহার

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



মানদন্ড

আমি কি____________

হ্যাঁ

না

১. কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি এবং সঠিক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছি?

 

 

 

২. ওএসএইচ কার্যসম্পাদন উন্নয়নের সুযোগগুলো চিহ্নিত করেছি?

 

 


কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ অনুশীলন প্রয়োগের জন্য নিম্নে অগ্রগতি নির্ণায়ক মানদন্ডের তালিকা দেয়া হলো-

কার্যসম্পাদন মানদন্ড

 

হ্যাঁ

না

১. কাজ শুরুর আগে কিংবা কাজ চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে ওএসএইচ ঝুঁকি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।



২. ঝুঁকি এবং অপ্রত্যাশিত কার্যক্রম চিহ্নিত করা এবং সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।




৩. ওএসএইচ দুর্ঘটনা ঝুঁকি এবং কর্মক্ষেত্রের প্রক্রিয়া অনুসারে সঠিক ব্যক্তির নিকট    রিপোর্ট করা হয়েছে।



৪. নিরাপত্তা চিহ্ন এবং সংকেত চিহ্নিতকরণ এবং তা অনুসরণ করা হয়েছে।



৫. কর্মক্ষেত্রে ওএসএইচ অনুশীলনের প্রয়োগ করা হয়েছে।



৬. সঠিকভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সরঞ্জাম বাছাই করে তা পরিধান করা হয়েছে।



৭. জরুরি পরিস্থিতি চিহ্নিত করা এবং কর্মক্ষেত্রের রিপোর্টিংয়ের নিয়মানুযায়ী রিপোর্ট করা হয়েছে।



৮. জরুরি মুহুর্তের ধরন অনুসারে এবং কর্মক্ষেত্রের প্রক্রিয়া অনুসারে জরুরি মুহুর্তের প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা হয়েছে।



৯.দূর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড এবং জরুরি মুহুর্ত মোকাবেলার জন্য কর্মক্ষেত্রের প্রক্রিয়াগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ যখনই সম্ভব অনুসরণ করেছেন।



১০. কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত এবং নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপগুলোর বাস্তাবায়ন করা হয়েছে।



১১. ঝুঁকি মূল্যায়ন করার পর সুপারিশগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।



১২. ওএসএইচ কার্যসমূহ উন্নয়নের সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট তা উথাপন করা হয়েছে।



১৩. কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।




আমি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে সক্ষমতা অ্যাসেসমেন্টে অংশ নিতে নিজেকে প্রস্তুত মনে করছি।

 স্বাক্ষর :                                                              তারিখ :